মেথির সাহায্যে চুল গজানোর সহজ উপায় |


চুলপড়া একটি প্রচলিত সমস্যা। তবে চুল গজানোর জন্য কিছু সাধারণ ও সহজ উপায় রয়েছে। আর সেই উপায়টি হলো মেথির ব্যবহার।

মেথি বেশ পরিচিত একটি নাম। এটি অনেক গুণে গুণান্বিত একটি খাবার। আচার মেথি ছাড়া হয় না। এই মেথি চুলের ক্ষেত্রে বেশ ভালো কাজ করে।

মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রাখলে ফুলে ব্ড় হয়ে যায়। এরপর সকালবেলা মেথি পেস্ট করে, সেই পেস্টটি চুল গজানোর জন্য ব্যবহার করতে পারি। আসুন জানি, চুল গজানোর জন্য কীভাবে মেথি ব্যবহার করবেন।

চুল গজানোর ক্ষেত্রে মেথি ব্যবহারের উপায় জানিয়েছে আফরোজা পারভিন। ওয়েস্টার্ন সাজের এই বেজ মেকআপ নিজ হাতে করে দেখিয়েছেন বিউটি বিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভিন। দেশীয় বিউটি ইন্ডাস্ট্রির একটি পরিচিত নাম আফরোজা পারভিন। প্রায় ১০ বছর তিনি কাজ করছেন এ মাধ্যমে। তিনি এসএমএ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে ইন্টারন্যাশনাল মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে সার্টিফাইড। তিনি রেড বিউটি স্টুডিও ও স্যালুনের স্বত্বাধিকারী। সৌন্দর্য পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন ডিবিসি নিউজ ও কালারস এফএমে। তিনি ‘উজ্জ্বলা’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

মেথি পেস্ট তৈরির উপায়

আমরা প্রথমে এক কাপ মেথি নিলাম। এই এক কাপ মেথি আমরা পানিতে ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দেব। সারা রাত রেখে দিলে মেথি ফুলে ওঠবে। এই মেথি ব্ল্যান্ডারে ব্ল্যান্ড করে নিতে হবে। এ পেস্টটি মাথার স্ক্যাল্পে লাগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্রাশ বা হাত দিয়ে মেথি পেস্ট চুলে লাগাতে পারেন।

এটি আপনি চাইলে প্রতিদিনও ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে একদিন পর পরও ব্যবহার করতে পারেন। অন্তত তিন মাস টানা এটি ব্যব্হার করতে হবে। 


চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য কীভাবে মেথি জল তৈরি করবেন - বন্ধ করুন 


How to make Fenugreek water for faster Hair growth - Stop hair fall | Methi/Fenugreek benefits


 মেথির এরূপ ব্যবহার চুলকে কন্ডিশন করে এবং চুলে ময়েশ্চারাইজিং-এর কাজ করে। এটি চুলকে নরম এবং ম্যানেজেবল করে চুলকে সিল্কি এবং চকচকে করে তুলতেও সাহায্য করে। এভাবেই মেথি চুলকে সমস্যামুক্ত রাখতে যুগের পর যুগ রেখে চলেছে স্বতঃস্ফূর্ত ভূমিকা। তাই চুল থাকুক সুন্দর, মসৃণ ও নমনীয়।

মেথি কমাবে চুল পড়া

চুল পড়া সমস্যা আছে কমবেশি সবারই। উপকার দেবে মেথি। চুলচর্চায় মেথির ব্যবহার ও গুণাগুণ সম্পর্কে জানিয়েছেন শোভন মেকওভার স্যালনের রূপবিশেষজ্ঞ শোভন সাহা। লিখেছেন মোনালিসা মেহরিন

অনাদিকাল থেকেই সৌন্দর্যের বড় অংশ চুল। তাই চুলচর্চার কোনো কমতি নেই। কিন্তু চুলই যদি না থাকে তো চর্চা হবে কিসের। বিশ্বজুড়েই নারী-পুরুষের চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা। চিকিত্সকদের মতে দিনে ৫০ থেকে ১০০টি চুল পড়া তেমন কোনো সমস্যা নয়। কারণ চুল যেমন পড়ে তেমনি আবার গজায়ও। কিন্তু অযত্ন, অবহেলা কিংবা অপুষ্টির অভাবে চুল পড়তে শুরু করলে সেটাকে বড় সমস্যা হিসেবেই চিহ্নিত করেন চিকিত্সকরা। এ জন্য সুষম খাবার

খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত চুলের যত্ন নিতে হবে। চুলের যত্নে মেথি দারুণ উপকার দেয়। মেথিতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান যেমন প্রোটিন, নিকোটিনিক এসিড, লেসিথিন, ভিটামিন বি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

♦    অল্প মেথি বীজ একগ্লাস পানিতে রাতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন বীজগুলো বেটে পেস্ট বানিয়ে নিন। পেস্টটি ভালো করে মাথায় লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এটি মাথায় লাগালে চুল পড়া কমে আসবে। সেই সঙ্গে চুলের পুষ্টিগুণও বাড়বে। 

♦    ৫০ গ্রাম মেথি একগ্লাস পানিতে রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে পানিটুকু ছেঁকে নিন। এ থেকে একগ্লাস পানি খালি পেটে পান করুন। মেথিতে থাকা প্রোটিন ও নিকোটিনিক এসিড চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায় এবং চুল মজবুত করে।

♦    অবশিষ্ট পানি মাথার ত্বক ও চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত স্প্রে করুন। আঙুলের ডগার সাহায্যে পুরো মাথা কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। এক ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলুন।

♦    খুশকির কারণেও অনেক সময় চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। মেথি চুলের খুশকি দূর করতেও সাহায্য করে। ২-৩ চা চামচ মেথি ১ কাপ পানিতে রাতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সামান্য পানিসহ মেথি ব্লেন্ড করে পেস্ট বানিয়ে নিন। ২-৩ চা চামচ টক দই মিশিয়ে নিন। প্যাকটি মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

♦    ১ টেবিল চামচ মেথি এবং ১ চা চামচ সরিষা দানা গুঁড়া করে নিন। ৩ টেবিল চামচ কুসুম গরম পানিতে মিশ্রণটি ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ১ চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটা মাথার ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।

♦    ৩ টেবিল চামচ মেথি ১ কাপ পানিতে রাতে ভিজিয়ে সকালে পানিটুকু ছেঁকে নিন। চুল শ্যাম্পু করার পর এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এটা চুলকে কন্ডিশন করে এবং চুলে ময়েশ্চারাইজিংয়ের কাজ করে। চুল নরম, সিল্কি এবং চকচকে করে তোলে। এতে চুল পড়ার হার অনেক কমে।

 

একনজরে মেথির গুণাগুণ

►    চুলের গোড়া মজবুত করে।

►    মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।

►    নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

►    চুল পড়া রোধ করে।

►    চুলের আগা ফাটা দূর করে।

►    খুশকি দূর করে।

►    অকালে চুল পেকে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।  

►    মাথার ত্বকের সংক্রমণ দূর করে।


চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে যেভাবে ব্যবহার করবেন মেথি


মেথিতে রয়েছে আয়রন, প্রোটিন, পটাশিয়াম ও ভিটামিনসহ আরও নানা উপাদান যা চুলের বৃদ্ধিতে অনন্য। সপ্তাহে অন্তত একদিন ব্যবহার করুন মেথির হেয়ার প্যাক। চুলের বৃদ্ধি তো বাড়বেই, পাশাপাশি বন্ধ হবে চুল পড়া। জেনে নিন চুলের যত্নে কীভাবে ব্যবহার করবেন মেথি।


  • ৩ চা চামচ মেথি গুঁড়ার সঙ্গে পরিমাণ মতো নারকেল তেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। ১ ঘণ্টা পর মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন চুল।
  • আধা কাপ নারকেল তেলে ৪ টেবিল চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। পরদিন মেথি মুখবন্ধ বোতলে রেখে দিন। গোসলের ১ ঘণ্টা আগে ব্যবহার করুন এই তেল।
  • মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন বেটে নিন। ২ টেবিল চামচ মেথি বাটার সঙ্গের ১ টেবিল চামচ নারকেলের দুধ মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ভেষজ শ্যাম্পুর সাহায্যে ধুয়ে ফেলুন।
  • মেথি গুঁড়ার সঙ্গে পরিমাণ মতো আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। চুলের গোড়ায় লাগান মিশ্রণটি। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে।
  • মেথি ৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে বেটে নিন। একটি ডিমের সাদা অংশ ও ১ চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। ৪০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।


চুলের সমস্যা | মেথির ৫টি ব্যবহারেই হবে সমাধান!

আদিকাল থেকেই মানুষের চুল নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। চুল নিয়ে বিব্রত থাকতে হয়েছে অনেককে অনেক সময়। কি করে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়, চুলের সুন্দর আকার দেওয়া যায়- এসব ভাবনা কিন্তু সবসময়ই ছিল। সুমেরু সভ্যতার ললনারা বিশেষ করে উচ্চ সম্প্রদায়ের সুন্দরীগণের কাছে বড় চুলই ছিল সৌন্দর্যের প্রতীক। তারা চুলে স্বর্ণরেণু ব্যবহার করতেন, নাম না জানা হলুদ সুগন্ধীও চুলে মাখতেন। এছাড়াও মেহেদী ব্যবহারে চুল কাঁচা করে বয়স ঢেকে রাখার চেষ্টা সব দেশেই ছিল। রোম সাম্রাজ্যের বিস্তৃতকালে যেসব যুদ্ব বন্দিনীর চুলের রং ছিল স্বর্ণালী তাদের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হত। পরে লোহার আঁকশিতে চুলকে কিছুদিন জড়িয়ে রাখার পর যখন চুল জট পাকিয়ে কোঁকড়া মত হত তখন তা এক ধরনের হলুদ সাবান (সম্ভবত মেহেদী) দিয়ে কাঁচা করা হত। এরপর এই সোনালী পরচুলা পরে স্ত্রীরা স্বামীদের কাছে নিজেদের আকষর্ণীয় করে তুলতো।

মুসলিম বিশ্বে বেশ আড়ম্বর সহকারেই কেশচর্চা করা হত। ধনী আরব বণিকরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে খুশবু সংগ্রহ করত। গোসলের চৌবাচ্চায় সেসব খুশবু ঢেলে মরু সুন্দরী তাতার ললনাগণ দিনশেষে সেই পানিতে  গোসল করতো।

বাঙালীদের কেশচর্চার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নানা কৌশলে সুবিন্যস্ত কেশই ছিল তাদের শিরোভূষণ। এমনকি পুরুষরাও লম্বা বাবরীর ন্যায় চুল রাখতেন।

চুল আভিজাত্য, সামাজিক অবস্থান ও সৌখিনতার প্রতীক। রমনীর কেশ বাঙালীর এক অবসেশন। কিন্তু তার উপর রয়েছে চুলের নানা রকম সমস্যা যেমন- চুল পড়া, খুশকী, চুলের অকালপক্কতা, মাথার ছত্রাক সমস্যা এবং আরো অনেক। সঠিকভাবে চুলের প্রকার ও সমস্যা চিহ্নিত করে উপযুক্ত সমাধান বেছে নিতে পারলে এই সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে উঠা সম্ভব। চলুন তবে চুলের যত্নে মেথির ব্যবহারগুলো জেনে নেই!

চুলের সমস্যা সমাধানে মেথি

১. চুল পড়া সমস্যা

চুল পড়া সত্যিই একটি বিব্রতকর সমস্যা। বহুবিধ কারণেই চুল পড়তে পারে। তবে দৈনিক গড়ে ৫০ থেকে ১০০টি পর্যন্ত  চুল পড়াকে স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে বেশী করে চুল পড়া শুরু করলে তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এর জন্য চিন্তার ভারটা মেথির উপর ছেড়ে দেয়াই শ্রেয়। চুল পড়া সমস্যায় এবং চুলের যত্নে মেথির ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকরী।

৫০ গ্রাম মেথি ২০০-৩০০ মিলি পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানিটুকু ছেঁকে নিন। এ থেকে এক গ্লাস পানি খালি পেটে পান করুন।

মেথিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও নিকোটিনিক এসিড রয়েছে যা চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায় এবং চুলকে মজবুত করে। এই পানি প্রতিদিন পান করলে পেটের যাবতীয় পীড়াজনিত ও পরিপাকজনিত সমস্যা দূর হয়। দেহের অতিরিক্ত ওজন ও কমে। বাকী পানিটুকু একটি স্প্রে বোতলে নিয়ে নিন। এবার মাথার ত্বকে এবং চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত এই পানি স্প্রে করুন। এবার আঙুলের ডগার সাহায্যে সারা মাথা ৭-১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। ১ ঘন্টা অপেক্ষা করে চুল ধুয়ে ফেলুন। চাইলে সারারাত এটা মাথায় রাখা যেতে পারে। চুল পড়া কমাতে এবং চুলের ভিত্তিকে মজবুত করতে এর জুড়ি নেই।

২. চুলের খুশকি দূর করতে

খুশকি চুলের অন্যতম প্রধান সমস্যা যা সাধারণত বয়:সন্ধিকালের পূর্বে দেখা যায় না। খুশকি হলে মোটামুটি সবাই লক্ষণ দেখে সহজেই বুঝতে পারে যে মাথায় খুশকি হয়েছে। একটু সচেতনতা ও যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে সহজেই খুশকিমুক্ত ঘন আর দীর্ঘ চুল পাওয়া যায় এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিস্কৃতি লাভ করা যায়। ২-৩ চা চামচ মেথি ১ কাপ পানিতে ১০-১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এবার মেথিসহ কিছুটা পানি ব্লেন্ড করে পেস্ট করে নিন। এতে ২-৩ চা চামচ টক দই যোগ করুন।

এবার এই প্যাকটি মাথার ত্বকে ভালভাবে লাগিয়ে নিন। ৩০-৪০ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। খুব বেশী খুশকি সমস্যা হলে সপ্তাহে অন্তত ১ দিন আর কম হলে ১৫ দিনে একবার এই প্যাকটি ব্যবহার করা যেতে পারে।

খুশকি সাধারণত শুষ্ক ত্বক এবং ছত্রাক সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। মেথি মাথার পুষ্টি যোগায় এবং ছত্রাক সংক্রমণ রোধ করে।

৩. চুলের অকালপক্কতা রোধে

চুল পাকা নিয়ে অনেকেই হতাশায় ভোগেন।  বিশেষ করে অল্প বয়সেই যাদের চুল পাকা শুরু হয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে অপুষ্টি ও অযত্নের জন্যও চুলে অকালপক্কতা দেখা দিতে পারে।  শরীরে আয়োডিন ও ভিটামিনের অভাবে চুলের যে স্তরে রঙের কোষ তৈরী হয়, সেই স্তরের রঞ্জক কোষ তৈরী বন্ধ হয়ে যায় এবং চুল সাদা হতে শুরু করে। অনেক সময় তীব্র মানসিক আঘাতে, জটিল অসুখেও কম বয়সে চুল সাদা হয়ে যেতে পারে। নারিকেল তেলে কমপক্ষে ২দিন মেথি ডুবিয়ে রাখুন

এবার এই তেল কুসুম গরম করে মাথায় ত্বকে ম্যাসাজ করুন।  চুলের ফলিকলের যেকোন সমস্যা সমাধানে এই তেল যাদুর মতো কাজ করে।  এটি চুলে টনিকের মতো কাজ করে চুলের হারানো রঙ ফিরিয়ে আনে।  চুলকে গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত পুষ্টি যুগিয়ে চুলের অকালপক্কতারোধে এটি মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে কাজ করে। এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সমানভাবে কাজ করে।

৪. চুলের বৃদ্ধি এবং নতুন চুল গজাতে

মেথিতে প্রচুর পরিমাণে লেসিথিন রয়েছে যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায় এবং চুলের বৃদ্ধিতে ও চুল গজাতে কার্যকরী।  ১ টেবিল চামচ মেথি এবং ১ চা চামচ সরিষা দানা পাউডার করে নিন। ২-৩ টেবিল চামচ কুসুম গরম পানিতে এই পাউডার ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এতে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিহি পেস্ট তৈরী করুন।

এবার এই পেস্ট ভালোভাবে মাথায় ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি মাসে একবার ব্যবহার করা যেতে পারে। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের রুক্ষভাব দূর হয়। সরিষাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-এ রয়েছে যা চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে উদ্দীপকের কাজ করে। এই প্যাকটি নতুন চুল গজাতে খুবই কার্যকরী। মেথি মাথার ত্বককে ঠান্ডা রাখতেও বিশেষভাবে উপযোগী।

৫. ময়েশ্চারাইজার ও কন্ডিশনার হিসেবে

৩ টেবিল চামচ মেথি ১ কাপ পানিতে সারারাত ভিজিয়ে সকালে পানিটুকু ছেঁকে নিন।

চুল শ্যাম্পু করার পর এই পানিটুকু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। মেথির এরূপ ব্যবহার চুলকে কন্ডিশন করে এবং চুলে ময়েশ্চারাইজিং-এর কাজ করে। এটি চুলকে নরম এবং ম্যানেজেবল করে চুলকে সিল্কি এবং চকচকে করে তুলতেও সাহায্য করে।

এভাবেই মেথি চুলকে সমস্যামুক্ত রাখতে যুগের পর যুগ রেখে চলেছে স্বতঃস্ফূর্ত ভূমিকা। তাই চুল থাকুক সুন্দর, মসৃণ ও নমনীয়।

 

ছবি- হেলদিকাদাই.কম, টেবলস্পুনিং.কম, পিন্টারেস্ট.কম, ইমেজেসবাজার.কম





No comments:

Post a Comment