আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশলআমরা বলেছিলাম বর্তমান যুগে নতুন নতুন গণমাধ্যম ছাড়া আমাদের অবসর সময়গুলো কাটানো সম্ভব হচ্ছে না এবং এক্ষেত্রে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের রয়েছে বিশেষ অবস্থান। স্যাটেলাইট টেলিভিশন, ইন্টারনেট ও কম্পিউটার গেম থেকে পুরোপুরি দূরে থাকা বর্তমান যুগে প্রায় অসম্ভব। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে কম্পিউটার গেমের গ্রাহক ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। বিনোদন হিসেবেও এইসব গেম সবচেয়ে দর্শক-নন্দিত বিনোদনের স্থান করে নিয়েছে। ফলে দৌড়-ঝাঁপমূলক খেলাধুলা ও শরীর-চর্চা বর্তমান যুগের শিশু-কিশোরদের মধ্যে গুরুত্ব ব্যাপক মাত্রায় হারিয়ে ফেলেছে। একটা সময় ছিল যখন শিশু-কিশোররা মাটি বা অন্য কোনো আঠালো কিছু মাধ্যম ব্যবহার করে নানা ধরনের খেলনা বা পুতুল ইত্যাদি বানিয়ে তাদের সৃষ্টিশীল দক্ষতা বৃদ্ধির চর্চা করত। এখন এর জায়গা করে নিয়েছে নানা ধরনের মোবাইল বা ট্যাবলেট-এর মাধ্যমে দৃশ্যমান নানা ধরনের কম্পিউটার গেম । |আরো খবরবাবা-মা বা অভিভাবকরাও শিশু-কিশোরদের স্মার্ট ফোন বা ট্যাবলেট কিনে দিতে বাধ্য হচ্ছেন এইসব নতুন খেলার আনন্দ উপভোগের ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দিতে। এ যুগের শিশু-কিশোররা এখন দৌড়-ঝাঁপ বা শরীর-চর্চা কিংবা হস্তশিল্প নির্মাণ-ভিত্তিক খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ দেখায় না। বরং কম্পিউটার বা ভিডিও-গেমের দিকেই তাদের আগ্রহ বেশি। ফলে গত চার দশকেরও কম সময়ের মধ্যে ভিডিও-গেম নির্মাণ এখন বড় ধরনের বৈশ্বিক লাভজনক ব্যবসার মাধ্যম হয়ে পড়েছে। কম্পিউটার বা ভিডিও-গেমের ব্যাপক জনপ্রিয়তার ক'টি কারণ হল: এসবে রয়েছে খেলার নানা ধরনের নিয়মের মধ্যে ইচ্ছামত বিভিন্ন নিয়ম বেছে নেয়ার ব্যবস্থা ও এইসব নিয়মের ব্যাখ্যাগুলো বোঝার ব্যবস্থা, কাল্পনিক বীর নায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার সুযোগ ও এমনকি নায়কের সক্ষমতার পরীক্ষায় নম্বর দেয়ারও ব্যবস্থার মত আকর্ষণীয় নানা দিক! কম্পিউটার-ভিত্তিক এইসব গেম শিশু-কিশোরদের নানা ধরনের জ্ঞান দিচ্ছে এবং এর মাধ্যমে তারা ধর্ম, সমাজ, সংস্কৃতিসহ অন্য অনেক বিষয়ে বিশেষ চিন্তাধারা ও তথ্যের মুখোমুখি হচ্ছে। অন্য কথায় শিশুদের মন-মগজকে বিশেষ কিছু দিকে অথবা মতবাদে আকৃষ্ট করার বা মগজ ধোলাই করার ব্যবস্থাও রয়েছে এইসব ভিডিও গেমে। এটা ঠিক যে অপরাজনৈতিক নানা লক্ষ্যসহ ভিডিও গেম-মাধ্যমকে যেমন নানা অশুভ লক্ষ্যে ব্যবহার করা যায় তেমনি নানা শুভ লক্ষ্যেও এই মাধ্যমকে ব্যবহার করা সম্ভব। এই মাধ্যম চিত্রাঙ্কনসহ গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও অন্য অনেক কিছু শেখানোর এক ভালো মাধ্যমও বটে। এমনকি ভিডিও গেমের মাধ্যমে নানা রোগের চিকিৎসারও সহায়তা হতে পারে এবং এই মাধ্যম বিনোদনেরও এক উৎকৃষ্ট মাধ্যম। কিন্তু ভিডিও গেম বা কম্পিউটার গেমের নানা ক্ষতিকর দিকের কথাও ভুলে যাওয়া ঠিক হবে না। যেমন, এইসব গেম শিশুদের শরীর ও মনের জন্য নানা ধরনের ক্ষতি বয়ে আনে। ভিডিও গেমের আসক্তি শিশুদের কল্পনা-প্রিয়, অবাস্তবতাবাদী, ঘরকুনো, একাকীত্ব-প্রিয়, আত্মকেন্দ্রিক ও অসামাজিকও করে তুলতে পারে। যারা খুব বেশি এ ধরনের খেলায় মেতে থাকে তারা বাস্তবতার জগত সম্পর্কে এবং পারিপার্শ্বিক সমাজ সম্পর্কেও অসচেতন হয়ে পড়ে এবং এসব বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্বও তারা অনুভব করে না। শারীরিক দিক থেকেও মুটিয়ে পড়ে নানা ধরনের রোগের শিকার হয় এ ধরনের খেলায় আসক্ত শিশু-কিশোররা। ভিডিও-গেম নির্মাতারা শিশু-কিশোরদেরকে দুঃসাহসিক অভিযানের মজা দিতে এইসব খেলার মধ্যে সহিংসতা ও বিচিত্র ধরনের অস্ত্রের ব্যাপক ব্যবহার করছেন। ফলে শিশু-কিশোররা এইসব গেমের প্রভাবে হয়ে উঠছে সহিংস ও হিংস্র। বারবার সহিংসতার ও নিষ্ঠুরতার দৃশ্য দেখতে দেখতে শিশু-কিশোরদের অনেকেরই মনে এসব বিষয় স্বাভাবিক হয়ে পড়ে। ভিডিও গেমের ভেতরে তারা বহু মানুষকে হত্যার ভার্চুয়াল অভিজ্ঞতা অর্জন করে। কোনো কোনো ভিডিও-গেম এমনই যে সেখানে যত বেশি হত্যাযজ্ঞ করা যায় ততই বেশি পয়েন্ট পেয়ে বিজয়ের দিকে এগিয়ে যায় খেলোয়াড়! সহিংসতার দৃশ্য দেখতে দেখতে শিশু কিশোররা মনে করে সহিংসতাই নানা সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে ভালো পন্থা! ফলে এই শিশু কিশোররাই বড় হয়ে যদি নানা অপরাধ ও সহিংস অপকর্মের দিকে ঝুঁকে পড়ে ভিডিও গেমের সুদূরপ্রসারী প্রভাবে তাহলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ও ইউরোপের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাঝে মধ্যে যেসব সশস্ত্র হামলা ও হত্যাযজ্ঞ হয়ে থাকে সেসব গণমাধ্যমের সহিংস দৃশ্যেরই, বিশেষ করে ভিডিও গেমগুলোর সহিংস দৃশ্যগুলোর অন্যতম প্রভাব। শিল্প-বিপ্লবোত্তর যুগে নানা ধরনের প্রযুক্তি ও মাধ্যম পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা বাড়িয়ে দিয়েছে। সন্তানরা এখন ভিডিও গেম, ইন্টারনেট ও এ জাতীয় নানা বিষয়ে মশগুল হয়ে বাবা মায়ের সঙ্গে অতীতের তুলনায় কম যোগাযোগ রাখছে! ফলে দুর্বল হয়ে পড়ছে পারিবারিক বন্ধন। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মা ও অভিভাবকদের উচিত শিশু-কিশোররা যে ধরনের খেলাধুলাতেই মশগুল থাকুক না কেন তারাও যেন অল্প সময়ের জন্য হলেও তাদের সেই সময়কার সঙ্গী হন। ভিডিও গেম একসঙ্গে দেখতে গিয়ে তারা যেন এসব গেমের নানা দোষত্রুটিও তুলে ধরেন এবং এ বিষয়ে মত বিনিময় করেন শিশু-কিশোর সন্তানদের সঙ্গে। প্রয়োজনে এইসব গেইমের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে বাবা মা ও অভিভাবককে। অতীতের খেলাধুলায় যেমন শিশ-কিশোরদের শরীর চর্চাও হয়ে যেত এবং পরস্পরের সঙ্গে বন্ধুত্ব জোরদার হত বর্তমান যুগের ভিডিও গেইম বা কম্পিউটার গেইম ঠিক এর বিপরীত। এখন শিশু ও কিশোররা একা একাই খেলে ট্যাবলেট, মোবাইল বা ল্যাপটপে। ফলে এ ধরনের শিশু-কিশোররা হয়ে উঠতে পারে হতাশাবাদী। ভিডিও প্রযুক্তির এ ধরনের খেলায় পারস্পরিক যোগাযোগ ও সামনাসামনি দেখার ব্যবস্থা না থাকায় তাদের মধ্যে সামাজিক সম্পর্কের চেতনাও গড়ে উঠতে পারে না। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ভাইরাস দেখা দেওয়ায় ও স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরাসরি খোলা না থাকায় শিশু-কিশোরদের মধ্যে ভিডিও গেইমের আসক্তি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই তাদের ওপর অভিভাবকদের নজরদারি জোরদার করা জরুরি হয়ে পড়েছে।# আরো পড়ুন : অসহনীয় অনবরত হাঁচি থেকে মুক্তি পেতে | | সাহায্যপ্রার্থী কাউকে না বলাটা কিছু মানুষের জন্য খুব কঠিন। আর সেই সাহায্যপ্রার্থী যদি হয় পরিবারের সদস্য আর তার চাওয়াটা যদি হয় টাকা, তবে বিষয়টা অত্যন্ত জটিল হয়ে ওঠে। তবে যারা এমন সাহায্য করেছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই বলবেন, এমন পরিস্থিতিতে না বলার কথা। পরিবারের মানুষের মাঝে আর্থিক লেনদেন আসলে সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হবেই হবে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর। যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার আর্থিক-বিষয়ক পরামর্শদাতা লিনেট খালফানি-কক্স বলেন, “কিছু মানুষ নিজে ধার করে পরিবারের মানুষকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেন। আর্থিক সিদ্ধান্ত হিসেবে এটা বড় ধরনের ভুল।” ‘রিয়েল সিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “এসব ক্ষেত্রে আপনাকে শক্ত বিধিনিষেধ তৈরি করতে হবে যে আপনি কাকে কতটুকু সাহায্য করবেন এবং সেটা কোন পরিস্থিতিতে। আর পরিবার মানে পুরো পরিবার। দূর সম্পর্কের আত্মীয় থেকে শুরু করে নিজের সন্তান, ভাইবোন, বৃদ্ধ বাবা-মা সবার জন্য একথা প্রযোজ্য।” কখন না বলতে হবে: সবার জীবনেই খারাপ সময় আসে। অসুস্থতা, দুর্ঘটনা, নোংরা বিবাহ বিচ্ছেদ ইত্যাদি সবই জীবনের অংশ। এমন সময় আর্থিক সাহায্যের প্রার্থণা ফিরিয়ে দেওয়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন, যে কারণে মানুষটা আপনার কাছে সাহায্য চাইছে সেটা কি তার জীবনের কোনো অভূতপূর্ব ঘটনার প্রেক্ষিতে। না কি তার অভ্যাসই এমন। খালফানি বলছেন, “পরিবারের কেউ প্রচণ্ড বিপদে পড়েছে, যে বিপদটা হতে পারে এমনটা চিন্তাও করা যেত না, এমন পরিস্থিতিতে আপনি আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেন। |আরো খবরতবে যে সাহায্য চাইছে সে যদি অর্থ কাজে লাগাতে না জানে, অপচয় অপব্যয় করে এবং তার আশপাশের মানুষ জানতো সে আজ না হয় কাল বিপদে পড়বে, সেই মানুষগুলো আপনার যতই আপন হোক না কেনো তাকে আর্থিক সাহায্য করাটা বোকামি হবে।” “কারও সাহায্যের প্রার্থণা যদি আপনি ফিরিয়ে দিতে না পারেন তবে নিজেকেই প্রশ্ন করুন কেনো এমনটা হয়। নিজের তৈরি নিয়মের বাইরে গিয়ে, জেনে বুঝে কেনো একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিতে আপনি মানসিক চাপ অনুভব করেন। নিজেকে অন্য কারও আর্থিক সমস্যার সমাধান মনে করবেন না কখনই। আর আপনি সাহায্য না করলে যে আরও খারাপ কিছু ঘটে যাবে এমনটা ভেবে নেওয়াও অবাস্তব।” যেভাবে না বলতে পারেন: আপনি কাউকে সাহায্য করবেন না, তো করবেন না, কথা শেষ। কেনো করবেন না তার কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন নেই। খালফানি– কক্স বলেন, “কাউকে না বলার কারণে যদি সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় তবে হতে দিন। সরাসরি বলতে পারেন, তোমাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করা তোমার এবং আমাদের সম্পর্কের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আমি তোমাকে আঘাত দিতে চাই না, তবে আর্থিক দিক দিয়ে আমি শক্ত কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলি।” ন্যাশভিল’য়ের সনদস্বীকৃত ‘ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট’ ক্রিস্টিন ম্যানলি বলেন, “কোনো বন্ধু কিংবা আপনার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে মিলে কাউকে না বলার আলাপটা অনুশীলন করতে পারেন। আপনি হয়ত ভাবছেন এই আলাপ দীর্ঘ একটা আলাপ হবে, যেখানে আপনি কেনো সাহায্য করতে অপারগ তার ব্যাখ্যা দেবেন। আসলে তা নয়। যে সাহায্যগুলো মানুষ চাইলে আপনি অস্বস্তি অনুভব করেন, সেই চাওয়াগুলো যখনই আপনার সামনে আসবে, তখনই না বলে দিতে হবে।” ম্যানলি আরও বলেন, “সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর যদি বাবা-মায়ের ওপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল রয়ে যায়, তবে সেখানেও বাবা-মায়ের শক্ত অবস্থানে যেতে হবে। প্রয়োজনে সন্তানকে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হওয়া পথ দেখাতে পারেন, তাকে পথ তৈরি করে দিতে পারেন।” অপরাধবোধ রাখা যাবে না: পরিবারের কাউকে আর্থিক সঙ্কটের কথা না বলার পর অপরাধবোধ কাজ করাটা স্বাভাবিক। নারীদের ক্ষেত্রে এমনটা হয় বেশি। ম্যানলি বলেন, “অপরাধ বোধ কাজ করা মানে এই নয় যে আপনি কোনো অপরাধ করছেন। আপনার যা ভালোলাগেনি তাকে না বলা দোষের নয়। তাই এই অপরাধবোধ পুষে রাখা যাবে না। অন্যথায় সেটাই আপনাকে পরে হতাশাগ্রস্ত করে তুলবে।” খালফানি বলেন, “পরিবারের ক্ষেত্রে সম্পর্কগুলো অনেক গভীর। সেখানে না বলা, সীমাবদ্ধতা তৈরি করতে গেলে অপরপক্ষের মন খারাপ হবেই। তবে অন্যের মন খারাপের কথা চিন্তা না করে ভবিষ্যত সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য আজকে আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকতে হবে। আর কেউ যদি আর্থিকভাবে সাহায্য না করার কারণে পারিবারিক বন্ধন ত্যাগ করে তবে এমন পারিবারিক সম্পর্ক না থাকাই ভালো।” |
অপরিশোধিত ঋণ ক্ষমা হয় না : ঋণদাতা ক্ষমা না করলে অপরিশোধিত ঋণ কখনো ক্ষমা হয় না। দুনিয়াতে পরিশোধ না করলে পরকালে আমল দিয়ে পরিশোধ করতে হবে। আমল না থাকলে ঋণদাতার পাপ নিজের কাঁধে নিয়ে হলেও ঋণ পরিশোধ করতে হবে। আল্লাহর পথে জীবন উৎসর্গকারী শহীদের সব পাপ ক্ষমা করা হলেও অপরিশোধিত ঋণ ক্ষমা করা হয় না। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ঋণ ছাড়া শহীদের সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (মুসলিম, হাদিস : ৪৯৯১)
ঋণ জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দেয় : ঋণগ্রহণ অনেক সময় জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। ঋণ নিয়ে ভিটে-মাটি হারানোর ঘটনাও রয়েছে। এ জন্য হাদিসে ঋণের মাধ্যমে জীবনকে সংকটাপন্ন করতে নিষেধ করা হয়েছে। উকবা বিন আমের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা তোমাদের নিরাপদ জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়ো না। সাহাবিরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, সেটা কিভাবে? তিনি বলেন, ঋণ। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৭৩২০)
ঋণ মানুষকে মিথ্যুক ও প্রতারক বানায় : ঋণ নিয়ে যথাসময়ে পরিশোধ করতে না পারলে অনেক সময় ইচ্ছা না থাকলেও মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করল, ঋণগ্রস্ত হওয়া থেকে এত বেশি কেন আশ্রয় চান? নবী (সা.) বলেন, ‘মানুষ যখন ঋণী হয়, তখন কথা বললে মিথ্যা বলে এবং অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে।’ (বুখারি, হাদিস : ৭৯৮; মুসলিম, হাদিস : ১৩৫৩)
ঋণগ্রস্থের জানাজা না পড়ানো : নবী (সা.) ঋণগ্রস্থ ব্যক্তির ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা হওয়ার আগ পর্যন্ত জানাজার নামাজ পড়াতে চাননি। সালামা ইবন আকওয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.)-এর কাছে একটি জানাজা আনা হলো, যেন তিনি জানাজার নামাজ পড়ান। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘মৃত ব্যক্তির কি কোনো ঋণ আছে?’ তারা বলল, কোনো ঋণ নেই। তিনি নামাজ পড়ালেন। এরপর অন্য একটি জানাজা আনা হলো। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘মৃত ব্যক্তির কি কোনো ঋণ আছে?’ তারা বলল, হ্যাঁ, আছে। তিনি বলেন, ‘তোমরা তোমাদের সঙ্গীর জানাজার নামাজ আদায় করো।’ আবু কাতাদা (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, তার ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব আমি গ্রহণ করলাম। এরপর তিনি তার জানাজার নামাজ পড়ালেন। (বুখারি, হাদিস : ২১৭৩)
ঋণ থেকে বাঁচতে আল্লাহর আশ্রয় চাওয়া : ঋণ গ্রহণ করার মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া এবং ঋণ থেকে বাঁচতে আল্লাহর আশ্রয় চাওয়া জরুরি। এই মর্মে রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজানি ওয়াল ‘আজঝি ওয়াল কাসালি ওয়াল জুবুনি ওয়াল বুখলি ওয়া দালাইদ-দাইনি ওয়া গলাবাতির রিজাল’। অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে দুঃখ, দুশ্চিন্তা, অক্ষমতা, অলসতা, ভীরুতা, কার্পণ্য, ঋণের বোঝা এবং মানুষের প্রাবল্য থেকে আশ্রয় চাই। (বুখারি, হাদিস : ৬০০৮)
ঋণমুক্ত থাকা জান্নাতে প্রবেশে সহায়ক : ঋণ পরিশোধ না করে মারা গেলে এবং মৃত্যুর পরও তা পরিশোধ করার ব্যবস্থা না হলে নিঃসন্দেহে তা পরকালীন জীবনের সফলতার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে ঋণমুক্ত থাকা জান্নাতে প্রবেশে সহায়ক হয়। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার রুহ এবং শরীর তিন জিনিস থেকে মুক্ত অবস্থায় পৃথক হয় অর্থাৎ মৃতবরণ করে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তিন জিনিস হলো, অহংকার, সম্পদ আত্মসাৎ এবং ঋণ।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৫৭৩)
ঋণ পরিশোধের সদিচ্ছা, প্রচেষ্টা ও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া অব্যাহত থাকলে আল্লাহর সাহায্যে ঋণমুক্ত হওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ।
শেয়ার ব্যবসায় যারা সফল হয়েছেন, তাঁদের সবারই নিজস্ব স্টাইল এবং কৌশল আছে। তবে এক জায়গাতে সবাই একমত, আর সেটা হচ্ছে সবাই শেয়ার মার্কেটে লাভবান হতে চান। কেউ লস করতে চান না।
আপনি যদি অনেকদিন ধরে শেয়ার ব্যবসা করেও নিজস্ব স্টাইল এবং কৌশল ঠিক না করে থাকেন, তাহলে আমরা সাজেস্ট করবো বিশ্ব সেরাদের থেকে কাউকে ফলো করতে। তাই আপনার জন্য আজ আমরা নিয়ে এসেছি বিশ্ব সেরা ৩ শেয়ার ব্যবসায়ীদের ৩ উপদেশ যা সত্যিই কাজের।
১) “১০টি শেয়ার ট্রেড এর মধ্যে মাত্র ৩টি তে লাভ হলেই অনেক লাভ করা সম্ভব, যদি আপনি বাকি ৭টিতে লস কম করেন” – ডেনিস গারটমেন।
বলুন তো আপনি কি দশটি ট্রেড এর মধ্যে ৩টি তে লাভ করা অসম্ভব মনে করেন? তাহলে সমস্যাটা কোথায়? সমস্যা হচ্ছে আপনি বাকি ৭টি তে স্টপ লস করেন না (অর্থাৎ শেয়ার দাম পড়তেই থাকে, তবুও আপনি ধরে বসে থাকেন)। কেনা দামের চেয়ে ৮% কমে গেলেই স্টপ লস করা উচিৎ। তাহলেই যে ৭টি লস করছেন, তা ছাপিয়ে যাবে বাকি ৩টির লাভ।
২) “অসাধারন একটি কোম্পানিকে সাধারণ দামে কিনুন, কারণ এটি সাধারণ কোম্পানিকে অসাধারন দামে কেনার চেয়ে তা অনেক নিরাপদ” – ওয়ারেন বাফেট
৩) “পোর্টফলিও ম্যানেজমেন্ট – এর দোহাই দিয়ে অনেক ভাল শেয়ারে সামান্য টাকা বিনিয়োগ করা বোকামি” – বিল গ্রস
- সূরা ফাতিহার আরবি উচ্চারণ,বাংলা ও ইংরেজি অর্থ জেনে নিন।
- আয়াতুল কুরসির বাঙলা উচ্চারণ অর্থসহ
- সূরা আর রহমান এর উচ্চারণ ও বাংলা অর্থ
সূরা মূলক উচ্চারণ সহ বাংলা অর্থ
- আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ
ঋণমুক্ত থাকা জান্নাতে প্রবেশে সহায়ক
Promotionsপাবনার ১০০% পিউর ঘি পাবনার Original খাঁটি ঘি
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
স্মার্ট প্যারেন্টিং উইথ মুহাম্মাদ (সা.) Pdf Download |
No comments:
Post a Comment