আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশল


আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশল 

রা বলেছিলাম বর্তমান যুগে নতুন নতুন গণমাধ্যম ছাড়া আমাদের অবসর সময়গুলো কাটানো সম্ভব হচ্ছে না এবং এক্ষেত্রে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের রয়েছে বিশেষ অবস্থান।

 স্যাটেলাইট টেলিভিশন, ইন্টারনেট ও কম্পিউটার গেম থেকে পুরোপুরি দূরে থাকা বর্তমান যুগে প্রায় অসম্ভব। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে কম্পিউটার গেমের গ্রাহক ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে।  বিনোদন হিসেবেও এইসব গেম সবচেয়ে দর্শক-নন্দিত বিনোদনের স্থান করে নিয়েছে। ফলে দৌড়-ঝাঁপমূলক খেলাধুলা ও শরীর-চর্চা বর্তমান যুগের শিশু-কিশোরদের মধ্যে গুরুত্ব ব্যাপক মাত্রায় হারিয়ে ফেলেছে।


একটা সময় ছিল যখন শিশু-কিশোররা মাটি বা অন্য কোনো আঠালো কিছু মাধ্যম ব্যবহার করে নানা ধরনের খেলনা বা পুতুল ইত্যাদি বানিয়ে তাদের সৃষ্টিশীল দক্ষতা বৃদ্ধির চর্চা করত। এখন এর জায়গা করে নিয়েছে নানা ধরনের মোবাইল বা ট্যাবলেট-এর মাধ্যমে দৃশ্যমান নানা ধরনের কম্পিউটার গেম ।


বাবা-মা

বা অভিভাবকরাও শিশু-কিশোরদের স্মার্ট ফোন বা ট্যাবলেট কিনে দিতে বাধ্য হচ্ছেন এইসব নতুন খেলার আনন্দ উপভোগের ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দিতে।  এ যুগের শিশু-কিশোররা এখন দৌড়-ঝাঁপ বা শরীর-চর্চা কিংবা হস্তশিল্প নির্মাণ-ভিত্তিক খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ দেখায় না।  বরং কম্পিউটার বা ভিডিও-গেমের দিকেই তাদের আগ্রহ বেশি। ফলে গত চার দশকেরও কম সময়ের মধ্যে ভিডিও-গেম নির্মাণ এখন বড় ধরনের বৈশ্বিক লাভজনক ব্যবসার মাধ্যম হয়ে পড়েছে।


কম্পিউটার বা ভিডিও-গেমের ব্যাপক জনপ্রিয়তার ক'টি কারণ হল: এসবে রয়েছে খেলার নানা ধরনের নিয়মের মধ্যে ইচ্ছামত বিভিন্ন নিয়ম বেছে নেয়ার ব্যবস্থা ও এইসব নিয়মের ব্যাখ্যাগুলো বোঝার ব্যবস্থা, কাল্পনিক বীর নায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার সুযোগ ও এমনকি নায়কের সক্ষমতার পরীক্ষায় নম্বর দেয়ারও ব্যবস্থার মত আকর্ষণীয় নানা দিক!

কম্পিউটার-ভিত্তিক এইসব গেম শিশু-কিশোরদের নানা ধরনের জ্ঞান দিচ্ছে এবং এর মাধ্যমে তারা ধর্ম, সমাজ, সংস্কৃতিসহ অন্য অনেক বিষয়ে বিশেষ চিন্তাধারা ও তথ্যের মুখোমুখি হচ্ছে। অন্য কথায় শিশুদের মন-মগজকে বিশেষ কিছু দিকে অথবা মতবাদে আকৃষ্ট করার বা মগজ ধোলাই করার ব্যবস্থাও রয়েছে এইসব ভিডিও গেমে।


এটা ঠিক যে অপরাজনৈতিক নানা লক্ষ্যসহ ভিডিও গেম-মাধ্যমকে যেমন নানা অশুভ লক্ষ্যে ব্যবহার করা যায় তেমনি নানা শুভ লক্ষ্যেও এই মাধ্যমকে ব্যবহার করা সম্ভব।  এই মাধ্যম  চিত্রাঙ্কনসহ গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও অন্য অনেক কিছু শেখানোর এক ভালো মাধ্যমও বটে। এমনকি ভিডিও গেমের মাধ্যমে নানা রোগের চিকিৎসারও সহায়তা হতে পারে এবং এই মাধ্যম বিনোদনেরও এক উৎকৃষ্ট মাধ্যম।


কিন্তু ভিডিও গেম বা কম্পিউটার গেমের নানা ক্ষতিকর দিকের কথাও ভুলে যাওয়া ঠিক হবে না। যেমন, এইসব গেম শিশুদের শরীর ও মনের জন্য নানা ধরনের ক্ষতি বয়ে আনে। ভিডিও গেমের আসক্তি শিশুদের কল্পনা-প্রিয়, অবাস্তবতাবাদী, ঘরকুনো, একাকীত্ব-প্রিয়, আত্মকেন্দ্রিক ও অসামাজিকও করে তুলতে পারে। যারা খুব বেশি এ ধরনের খেলায় মেতে থাকে তারা বাস্তবতার জগত সম্পর্কে এবং পারিপার্শ্বিক সমাজ  সম্পর্কেও অসচেতন হয়ে পড়ে এবং এসব বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্বও তারা অনুভব করে না। শারীরিক দিক থেকেও মুটিয়ে পড়ে নানা ধরনের রোগের শিকার হয় এ ধরনের খেলায় আসক্ত শিশু-কিশোররা।

ভিডিও-গেম নির্মাতারা শিশু-কিশোরদেরকে দুঃসাহসিক অভিযানের মজা দিতে এইসব খেলার মধ্যে সহিংসতা ও বিচিত্র ধরনের অস্ত্রের ব্যাপক ব্যবহার করছেন। ফলে শিশু-কিশোররা এইসব গেমের প্রভাবে হয়ে উঠছে সহিংস ও হিংস্র। বারবার সহিংসতার ও নিষ্ঠুরতার দৃশ্য দেখতে দেখতে শিশু-কিশোরদের অনেকেরই মনে এসব বিষয় স্বাভাবিক হয়ে পড়ে। ভিডিও গেমের ভেতরে তারা বহু মানুষকে হত্যার ভার্চুয়াল অভিজ্ঞতা অর্জন করে।


কোনো কোনো ভিডিও-গেম এমনই যে সেখানে যত বেশি হত্যাযজ্ঞ করা যায় ততই বেশি পয়েন্ট পেয়ে বিজয়ের দিকে এগিয়ে যায় খেলোয়াড়! সহিংসতার দৃশ্য দেখতে দেখতে শিশু কিশোররা মনে করে সহিংসতাই নানা সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে ভালো পন্থা! ফলে এই শিশু কিশোররাই বড় হয়ে যদি নানা অপরাধ ও সহিংস অপকর্মের দিকে ঝুঁকে পড়ে ভিডিও গেমের সুদূরপ্রসারী প্রভাবে তাহলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ও ইউরোপের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাঝে মধ্যে যেসব সশস্ত্র হামলা ও হত্যাযজ্ঞ হয়ে থাকে সেসব গণমাধ্যমের সহিংস দৃশ্যেরই, বিশেষ করে ভিডিও গেমগুলোর সহিংস দৃশ্যগুলোর অন্যতম প্রভাব।

শিল্প-বিপ্লবোত্তর যুগে নানা ধরনের প্রযুক্তি ও মাধ্যম পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা বাড়িয়ে দিয়েছে। সন্তানরা এখন ভিডিও গেম, ইন্টারনেট ও এ জাতীয় নানা বিষয়ে মশগুল হয়ে বাবা মায়ের সঙ্গে অতীতের তুলনায় কম যোগাযোগ রাখছে! ফলে দুর্বল হয়ে পড়ছে পারিবারিক বন্ধন।


তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মা ও অভিভাবকদের উচিত শিশু-কিশোররা যে ধরনের খেলাধুলাতেই মশগুল থাকুক না কেন তারাও যেন অল্প সময়ের জন্য হলেও তাদের সেই সময়কার সঙ্গী হন। ভিডিও গেম একসঙ্গে দেখতে গিয়ে তারা যেন এসব গেমের নানা দোষত্রুটিও তুলে ধরেন এবং এ বিষয়ে মত বিনিময় করেন শিশু-কিশোর সন্তানদের সঙ্গে। প্রয়োজনে এইসব গেইমের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে বাবা মা ও অভিভাবককে।


অতীতের খেলাধুলায় যেমন শিশ-কিশোরদের শরীর চর্চাও হয়ে যেত এবং পরস্পরের সঙ্গে বন্ধুত্ব জোরদার হত বর্তমান যুগের ভিডিও গেইম বা কম্পিউটার গেইম ঠিক এর বিপরীত। এখন শিশু ও কিশোররা একা একাই খেলে ট্যাবলেট, মোবাইল বা ল্যাপটপে। ফলে এ ধরনের শিশু-কিশোররা হয়ে উঠতে পারে হতাশাবাদী। ভিডিও প্রযুক্তির এ ধরনের খেলায় পারস্পরিক যোগাযোগ ও  সামনাসামনি দেখার ব্যবস্থা না থাকায়  তাদের মধ্যে সামাজিক সম্পর্কের চেতনাও গড়ে উঠতে পারে না।


সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ভাইরাস দেখা দেওয়ায় ও স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরাসরি খোলা না থাকায় শিশু-কিশোরদের মধ্যে ভিডিও গেইমের আসক্তি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।  তাই তাদের ওপর অভিভাবকদের নজরদারি জোরদার করা জরুরি হয়ে পড়েছে।#




আরো পড়ুন : অসহনীয় অনবরত হাঁচি থেকে মুক্তি পেতে




    
যেভাবে তৈরি করবেন পরিবারের জন্য আর্থিক বিধিনিষেধ

সাহায্যপ্রার্থী কাউকে না বলাটা কিছু মানুষের জন্য খুব কঠিন।

আর সেই সাহায্যপ্রার্থী যদি হয় পরিবারের সদস্য আর তার চাওয়াটা যদি হয় টাকা, তবে বিষয়টা অত্যন্ত জটিল হয়ে ওঠে।

তবে যারা এমন সাহায্য করেছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই বলবেন, এমন পরিস্থিতিতে না বলার কথা। 

পরিবারের মানুষের মাঝে আর্থিক লেনদেন আসলে সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হবেই হবে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর।

যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার আর্থিক-বিষয়ক পরামর্শদাতা লিনেট খালফানি-কক্স বলেন, “কিছু মানুষ নিজে ধার করে পরিবারের মানুষকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেন। 

আর্থিক সিদ্ধান্ত হিসেবে এটা বড় ধরনের ভুল।”

‘রিয়েল সিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “এসব ক্ষেত্রে আপনাকে শক্ত বিধিনিষেধ তৈরি করতে হবে যে আপনি কাকে কতটুকু সাহায্য করবেন এবং সেটা কোন পরিস্থিতিতে।

 আর পরিবার মানে পুরো পরিবার। দূর সম্পর্কের আত্মীয় থেকে শুরু করে নিজের সন্তান, ভাইবোন, বৃদ্ধ বাবা-মা সবার জন্য একথা প্রযোজ্য।”


কখন না বলতে হবে: 

সবার জীবনেই খারাপ সময় আসে। অসুস্থতা, দুর্ঘটনা, নোংরা বিবাহ বিচ্ছেদ ইত্যাদি সবই জীবনের অংশ। এমন সময় আর্থিক সাহায্যের প্রার্থণা ফিরিয়ে দেওয়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন, যে কারণে মানুষটা আপনার কাছে সাহায্য

চাইছে সেটা কি তার জীবনের কোনো অভূতপূর্ব ঘটনার প্রেক্ষিতে। না কি তার অভ্যাসই এমন।

খালফানি বলছেন, “পরিবারের কেউ প্রচণ্ড বিপদে পড়েছে, যে বিপদটা হতে পারে এমনটা চিন্তাও করা যেত না, এমন পরিস্থিতিতে আপনি আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেন। 


তবে যে সাহায্য চাইছে সে যদি অর্থ কাজে লাগাতে না জানে, অপচয় অপব্যয় করে এবং তার আশপাশের মানুষ জানতো সে আজ না হয় কাল বিপদে পড়বে, সেই মানুষগুলো আপনার যতই আপন হোক না কেনো তাকে আর্থিক সাহায্য করাটা বোকামি হবে।”

“কারও সাহায্যের প্রার্থণা যদি আপনি ফিরিয়ে দিতে না পারেন তবে নিজেকেই প্রশ্ন করুন কেনো এমনটা হয়। 

নিজের তৈরি নিয়মের বাইরে গিয়ে, জেনে বুঝে কেনো একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিতে আপনি মানসিক চাপ অনুভব করেন।

 নিজেকে অন্য কারও আর্থিক সমস্যার সমাধান মনে করবেন না কখনই। আর আপনি সাহায্য না করলে যে আরও খারাপ কিছু ঘটে যাবে এমনটা ভেবে নেওয়াও অবাস্তব।”

যেভাবে না বলতে পারেন:

আপনি কাউকে সাহায্য করবেন না, তো করবেন না, কথা শেষ। কেনো করবেন না তার কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

খালফানি– কক্স বলেন, “কাউকে না বলার কারণে যদি সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় তবে হতে দিন। সরাসরি বলতে পারেন, তোমাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করা তোমার এবং আমাদের সম্পর্কের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। 

আমি তোমাকে আঘাত দিতে চাই না, তবে আর্থিক দিক দিয়ে আমি শক্ত কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলি।”

ন্যাশভিল’য়ের সনদস্বীকৃত ‘ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট’ ক্রিস্টিন ম্যানলি বলেন, “কোনো বন্ধু কিংবা আপনার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে মিলে কাউকে না বলার আলাপটা অনুশীলন করতে পারেন। 

আপনি হয়ত ভাবছেন এই আলাপ দীর্ঘ একটা আলাপ হবে, যেখানে আপনি কেনো সাহায্য করতে অপারগ তার ব্যাখ্যা দেবেন। আসলে তা নয়।

 যে সাহায্যগুলো মানুষ চাইলে আপনি অস্বস্তি অনুভব করেন, সেই চাওয়াগুলো যখনই আপনার সামনে আসবে, তখনই না বলে দিতে হবে।”

ম্যানলি আরও বলেন, “সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর যদি বাবা-মায়ের ওপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল রয়ে যায়, তবে সেখানেও বাবা-মায়ের শক্ত অবস্থানে যেতে হবে। 

প্রয়োজনে সন্তানকে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হওয়া পথ দেখাতে পারেন, তাকে পথ তৈরি করে দিতে পারেন।”

অপরাধবোধ রাখা যাবে না: 

পরিবারের কাউকে আর্থিক সঙ্কটের কথা না বলার পর অপরাধবোধ কাজ করাটা স্বাভাবিক। নারীদের ক্ষেত্রে এমনটা হয় বেশি।

ম্যানলি বলেন, “অপরাধ বোধ কাজ করা মানে এই নয় যে আপনি কোনো অপরাধ করছেন। 

আপনার যা ভালোলাগেনি তাকে না বলা দোষের নয়। তাই এই অপরাধবোধ পুষে রাখা যাবে না। অন্যথায় সেটাই আপনাকে পরে হতাশাগ্রস্ত করে তুলবে।”

খালফানি বলেন, “পরিবারের ক্ষেত্রে সম্পর্কগুলো অনেক গভীর। সেখানে না বলা, সীমাবদ্ধতা তৈরি করতে গেলে অপরপক্ষের মন খারাপ হবেই। 

তবে অন্যের মন খারাপের কথা চিন্তা না করে ভবিষ্যত সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য আজকে আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকতে হবে।

 আর কেউ যদি আর্থিকভাবে সাহায্য না করার কারণে পারিবারিক বন্ধন ত্যাগ করে তবে এমন পারিবারিক সম্পর্ক না থাকাই ভালো।”                                   



 

আরো পড়ুন–



ঋণমুক্ত জীবন যে কল্যাণ বয়ে আনে-ঋণমুক্ত থাকা জান্নাতে প্রবেশে সহায়ক    
পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা ও অন্যের প্রয়োজনে এগিয়ে আসা ইসলামী সমাজব্যবস্থার অনন্য বৈশিষ্ট্য। সাহায্য-সহযোগিতার নানা ধরন ও উপায়ের মধ্যে অভাবগ্রস্থকে বিনা সুদে ঋণ প্রদান অন্যতম সদকা হিসেবে বিবেচিত। তবে ঋণ প্রদান করা ভালো হলেও ঋণ গ্রহণ করা ভালো কিছু নয়। তাই ইসলামে ঋণ প্রদানে উৎসাহ দিলেও ঋণী হতে নিরুৎসাহী করা হয়েছে। 

অপরিশোধিত ঋণ ক্ষমা হয় না : ঋণদাতা ক্ষমা না করলে অপরিশোধিত ঋণ কখনো ক্ষমা হয় না। দুনিয়াতে পরিশোধ না করলে পরকালে আমল দিয়ে পরিশোধ করতে হবে। আমল না থাকলে ঋণদাতার পাপ নিজের কাঁধে নিয়ে হলেও ঋণ পরিশোধ করতে হবে। আল্লাহর পথে জীবন উৎসর্গকারী শহীদের সব পাপ ক্ষমা করা হলেও অপরিশোধিত ঋণ ক্ষমা করা হয় না। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ঋণ ছাড়া শহীদের সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (মুসলিম, হাদিস : ৪৯৯১)



ঋণ জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দেয় : ঋণগ্রহণ অনেক সময় জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। ঋণ নিয়ে ভিটে-মাটি হারানোর ঘটনাও রয়েছে। এ জন্য হাদিসে ঋণের মাধ্যমে জীবনকে সংকটাপন্ন করতে নিষেধ করা হয়েছে। উকবা বিন আমের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা তোমাদের নিরাপদ জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়ো না। সাহাবিরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, সেটা কিভাবে? তিনি বলেন, ঋণ। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৭৩২০)

ঋণ মানুষকে মিথ্যুক ও প্রতারক বানায় : ঋণ নিয়ে যথাসময়ে পরিশোধ করতে না পারলে অনেক সময় ইচ্ছা না থাকলেও মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করল, ঋণগ্রস্ত হওয়া থেকে এত বেশি কেন আশ্রয় চান? নবী (সা.) বলেন, ‘মানুষ যখন ঋণী হয়, তখন কথা বললে মিথ্যা বলে এবং অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে।’ (বুখারি, হাদিস : ৭৯৮; মুসলিম, হাদিস : ১৩৫৩)    

ঋণগ্রস্থের জানাজা না পড়ানো : নবী (সা.) ঋণগ্রস্থ ব্যক্তির ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা হওয়ার আগ পর্যন্ত জানাজার নামাজ পড়াতে চাননি। সালামা ইবন আকওয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.)-এর কাছে একটি জানাজা আনা হলো, যেন তিনি জানাজার নামাজ পড়ান। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘মৃত ব্যক্তির কি কোনো ঋণ আছে?’ তারা বলল, কোনো ঋণ নেই। তিনি নামাজ পড়ালেন। এরপর অন্য একটি জানাজা আনা হলো। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘মৃত ব্যক্তির কি কোনো ঋণ আছে?’ তারা বলল, হ্যাঁ, আছে। তিনি বলেন, ‘তোমরা তোমাদের সঙ্গীর জানাজার নামাজ আদায় করো।’ আবু কাতাদা (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, তার ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব আমি গ্রহণ করলাম। এরপর তিনি তার জানাজার নামাজ পড়ালেন। (বুখারি, হাদিস : ২১৭৩)

ঋণ থেকে বাঁচতে আল্লাহর আশ্রয় চাওয়া : ঋণ গ্রহণ করার মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া এবং ঋণ থেকে বাঁচতে আল্লাহর আশ্রয় চাওয়া জরুরি। এই মর্মে রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজানি ওয়াল ‘আজঝি ওয়াল কাসালি ওয়াল জুবুনি ওয়াল বুখলি ওয়া দালাইদ-দাইনি ওয়া গলাবাতির রিজাল’। অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে দুঃখ, দুশ্চিন্তা, অক্ষমতা, অলসতা, ভীরুতা, কার্পণ্য, ঋণের বোঝা এবং মানুষের প্রাবল্য থেকে আশ্রয় চাই। (বুখারি, হাদিস : ৬০০৮)

ঋণমুক্ত থাকা জান্নাতে প্রবেশে সহায়ক : ঋণ পরিশোধ না করে মারা গেলে এবং মৃত্যুর পরও তা পরিশোধ করার ব্যবস্থা না হলে নিঃসন্দেহে তা পরকালীন জীবনের সফলতার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে ঋণমুক্ত থাকা জান্নাতে প্রবেশে সহায়ক হয়। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার রুহ এবং শরীর তিন জিনিস থেকে মুক্ত অবস্থায় পৃথক হয় অর্থাৎ মৃতবরণ করে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তিন জিনিস হলো, অহংকার, সম্পদ আত্মসাৎ এবং ঋণ।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৫৭৩)

ঋণ পরিশোধের সদিচ্ছা, প্রচেষ্টা ও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া অব্যাহত থাকলে আল্লাহর সাহায্যে ঋণমুক্ত হওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ।


বিশ্বসেরা ৩ শেয়ার ব্যবসায়ীর ৩ উপদেশ
৩) “পোর্টফলিও ম্যানেজমেন্ট – এর দোহাই দিয়ে অনেক ভাল শেয়ারে সামান্য টাকা বিনিয়োগ করা বোকামি” – বিল গ্রস       ২) “অসাধারন একটি কোম্পানিকে সাধারণ দামে কিনুন, কারণ এটি সাধারণ কোম্পানিকে অসাধারন দামে কেনার চেয়ে তা অনেক নিরাপদ” – ওয়ারেন বাফেট       ১) “১০টি শেয়ার ট্রেড এর মধ্যে মাত্র ৩টি তে লাভ হলেই অনেক লাভ করা সম্ভব, যদি আপনি বাকি ৭টিতে লস কম করেন” – ডেনিস গারটমেন।-- 

   

    শেয়ার ব্যবসায় যারা সফল হয়েছেন, তাঁদের সবারই নিজস্ব স্টাইল এবং কৌশল আছে। তবে এক জায়গাতে সবাই একমত, আর সেটা হচ্ছে সবাই শেয়ার মার্কেটে লাভবান হতে চান। কেউ লস করতে চান না।

আপনি যদি অনেকদিন ধরে শেয়ার ব্যবসা করেও নিজস্ব স্টাইল এবং কৌশল ঠিক না করে থাকেন, তাহলে আমরা সাজেস্ট করবো বিশ্ব সেরাদের থেকে কাউকে ফলো করতে। তাই আপনার জন্য আজ আমরা নিয়ে এসেছি বিশ্ব সেরা ৩ শেয়ার ব্যবসায়ীদের ৩ উপদেশ যা সত্যিই কাজের।

১) “১০টি শেয়ার ট্রেড এর মধ্যে মাত্র ৩টি তে লাভ হলেই অনেক লাভ করা সম্ভব, যদি আপনি বাকি ৭টিতে লস কম করেন” – ডেনিস গারটমেন।

বলুন তো আপনি কি দশটি ট্রেড এর মধ্যে ৩টি তে লাভ করা অসম্ভব মনে করেন? তাহলে সমস্যাটা কোথায়? সমস্যা হচ্ছে আপনি বাকি ৭টি তে স্টপ লস করেন না (অর্থাৎ শেয়ার দাম পড়তেই থাকে, তবুও আপনি ধরে বসে থাকেন)। কেনা দামের চেয়ে ৮% কমে গেলেই স্টপ লস করা উচিৎ। তাহলেই যে ৭টি লস করছেন, তা ছাপিয়ে যাবে বাকি ৩টির লাভ।

২) “অসাধারন একটি কোম্পানিকে সাধারণ দামে কিনুন, কারণ এটি সাধারণ কোম্পানিকে অসাধারন দামে কেনার চেয়ে তা অনেক নিরাপদ” – ওয়ারেন বাফেট

৩) “পোর্টফলিও ম্যানেজমেন্ট – এর দোহাই দিয়ে অনেক ভাল শেয়ারে সামান্য টাকা বিনিয়োগ করা বোকামি” – বিল গ্রস

 

                                                      

Promotions




শেয়ার নিউজ

সবচেয়ে বেশি মুনাফা দেয় যেসব শেয়ার








মার্কিন উদ্যোক্তা, স্টক ব্রোকার-রিসার্চার ও লেখক উইলিয়াম জে ও’নেইলের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি ইনভেস্টর বিজনেস ডেইলির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। কর্মক্ষেত্রে তার সাফল্য বিনিয়োগ মহলে বেশি আলোচিত। 

বেস্ট সেলার ‘হাউ টু মেক মানি ইন স্টকস: এ উইনিং সিস্টেম ইন গুড টাইমস অর ব্যাড’ বইয়ে তিনি সেকেন্ডারি বাজারের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করে টপ পারফর্মিং শেয়ারগুলোর কিছু কমন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন। 
সবচেয়ে ভালো কথা হলো, এ বৈশিষ্ট্যগুলো চোখে পড়ার পর সিংহভাগ ক্ষেত্রেই শেয়ারদরে বড় ও শক্তিশালী ট্রেন্ড দেখা যায়।

 সাতটি বিষয়কে তালিকাভুক্ত করে তিনি সেগুলোর নামের আদ্যক্ষরকে একত্র করে স্টক পিকিংয়ের বহুল আলোচিত কৌশলটির নাম দিয়েছেন ‘ক্যান স্লিম স্ট্র্যাটেজি’(সিএএনএসএলআইএম)। ...........................বিস্তারিত

   

পুঁজিবাজারে লোকসান এড়াতে করণীয় ও বর্জনীয় ।


প্রতিদিন লেনদেন শুরুর আগে স্টক এইক্সচেঞ্জের স্ক্রীনে ভেসে ওঠে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এইক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএইসইসি)
একটি বার্তা।
বার্তাটি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে প্রচারিত। সেই বার্তা কতটুকু গ্রহণ করছেন বিনিয়োগকারীরা?বাস্তবতা বলছে- সিংহভাগ বিনিয়োগকারী সেই বার্তাটি মোটেও আত্মস্থ করেননি। চালচুলোহীন কোম্পানির শেয়ারদর যখন কারণ ছাড়া চোখের পলকেই ৫-৬ গুণ হচ্ছে তখন এইটা বলার সুযোগ কই। 

সাধারণ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী তো বটে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীও যখন সেই শেয়ার কিনছে আকাশচুম্বী দরে- তখন প্রশ্ন ওঠে, তারা কি বিনিয়োগ করছেন, নাকি হুজুগে মেতেছেন। পরণতিতে লোকসান আর পুঁজি হারানোর আর্তনাদই তাদের সম্বল। তবে যদি আপনি কয়েকটি বিষয় মেনে বা মাথায় রেখে .......................বিস্তারিত

   

কোরআনে বর্ণিত

সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়াসমূহ






নবী করিম (সা.) বলেন,

‘দোয়া হলো ইবাদতের মগজ।’ (তিরমিজি : ৩২৯৩)।

দোয়া ছাড়া কেমন যেন ইবাদতের পূর্ণতা-ই আসে না! কিছু ইবাদত এমন রয়েছে যার পর দোয়া করলে সাধারণত কবুল হয়ে থাকে। তন্মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ ও তাহাজ্জুদের নামাজের পরবর্তী দোয়া উল্লেখযোগ্য।

অবশ্য দোয়া করা বা আল্লাহর কাছে চাওয়ার কিছু পদ্ধতি রয়েছে। চাওয়ার মতো চাইতে পারলে আল্লাহ কবুল করবেন নিশ্চয়। এ ক্ষেত্রে জনৈক কবি বলেন, ‘ডাকার মতো ডাকলে খোদা কেমনে শুনেন না!’ দোয়া কবুলের বিষয়ে আল্লাহ নিজেও বলেছেন পবিত্র কোরআনে। তিনি বলেন, ‘আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন : ৬০)






                            


For Advertisement For Advertisement 


আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশল (পর্ব-১)

শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত। তাই তাদের উন্নত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে ও সুশিক্ষিত করতে দরকার সুষ্ঠু ও পরিকল্পিত শিক্ষা আর প্রশিক্ষণ। পূর্ণাঙ্গ ও শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম জীবনের সব ক্ষেত্রের মত এক্ষেত্রেও দিয়েছে জরুরি দিক-নির্দেশনা। একজন দার্শনিককে প্রশ্ন করা হয়েছিল মানুষের প্রশিক্ষণ কখন থেকে শুরু করা উচিত? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, শিশুর জন্মের বিশ বছর আগে। আর এতেও যদি লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব না হয় তাহলে বুঝতে হবে যে আরো আগে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করতে হবে। ............বিস্তারিত


অতিরিক্ত গরমে করণীয় ও বর্জনীয় অর্থাৎ গরমে সুস্থ থাকার ১৪ উপায় ।

বহাওয়াটা সুবিধার নয়। এই ভ্যাপসা গরমের দিনে যে কোনো মুহূর্তে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন যে কেউ।

পরিবেশের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে।

 তাই এ সময় কেউ যদি নিজের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার কৌশল আয়ত্ত করতে পারেন, তাহলেই সম্ভব অসুস্থতার হাত থেকে রেহাই পাওয়া।

অতিরিক্ত গরমে করণীয়-

ঘরে যথাসম্ভব ঠাণ্ডা পরিবেশে অবস্থান করুন। অপ্রয়োজনীয় কারণে দিনে, বিশেষ করে দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা বাইরে বের না হওয়া ভালো।

 বের হলে অবশ্যই ছাতা সাথে নিবেন।


   

মনের অসুখে হেলাফেলা নয়,মস্ত বিপদ হতে পারে



 স্বাস্থ্যকথার আজকের আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ।

 আশা করছি সবাই ভালো আছেন ও সুস্থ্য আছেন।

 মানুষ মনের সুখে নয়; মনের অসুখে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যা প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে অধ্যাপক তাজুল ইসলামের আলোচনা শোনা যাক।

রেডিও তেহরান: অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, আত্মহত্যার চিন্তা, প্রবণতার যেসব প্রেক্ষাপট বাংলাদেশে আছে, 

সেক্ষেত্রে  চিকিৎসার জন্য এই মনের অসুখের রোগীরা কি করবেন, কোথায় চিকিৎসা করবেন এবং কি ধরনের চিকিৎসা করবেন?

   

শেয়ার নিউজ


কখন বুঝবেন গেম্বলিং আইটেম থেকে বেরুতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের সিংহভাগ বিনিয়োগকারীরাই সর্ট টার্মে লাভবান হতে চান। এখানে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ খুব একটা করতে চান না। তারা দ্রুত ক্যাপিটাল গেইন করতে চায়। যে কারণে এখানে শেয়ার নিয়ে গেম্বলিং হয় বেশি। আর তাতে ঝুঁকিতে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু গেম্বলিং শেয়ার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বুঝতে না পারার কারণে লোকসানের কবলে পড়েন তারা। যে কারণে গেম্বলিং আইটেম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়টা বুঝতে পারাটা জরুরী।
বাজার বিশ্লেষকদের অভিযোগ, এদেশের বিনিয়োগকারীরা মূলত অধৈর্য্যশীল। তারা দ্রুত ক্যাপিটাল গেইন করতে চায়। যে কারণে এখানে শেয়ার নিয়ে গেম্বলিং হয় বেশি। আর তাতে ঝুঁকিতে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু গেম্বলিং শেয়ার থেকে বেরিয়ে 

For Advertisement

আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশল (পর্ব-২)

গত পর্বের আলোচনায় আমরা শিশু ও কিশোরদের আদর্শ মানুষ ও মুসলমান হিসেবে গড়ে তোলার পূর্ব শর্ত হিসেবে বিয়ের জন্য উপযুক্ত ও ধার্মিক বর-কনে নির্বাচনের গুরুত্ব সম্পর্কে কথা বলেছি। আজ আমরা সংশ্লিষ্ট আরও কিছু দিক ও বিষয় নিয়ে কথা বলব। 

ইসলামের দৃষ্টিতে মানব প্রজন্ম অব্যাহত রাখা বিয়ের অন্যতম লক্ষ্য। বিয়ে করা তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মহানবী (সা) বলেছেন, সৎ ও নেককার সন্তান হচ্ছে বেহেশতের অন্যতম ফুল। 

মহানবীর (সা) এই বাণী থেকেই স্পষ্ট যে একটি সুন্দর ফুলের জন্ম ও বিকাশের জন্য জরুরি হচ্ছে ভালো বীজ সংগ্রহ করা ও তা উপযুক্ত ক্ষেত্রে রোপণ ও সংরক্ষণ করা। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ভুল, অযত্নও উদাসীনতা ফুলের ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। ............বিস্তারিত


শেয়ার নিউজ

সবচেয়ে বেশি মুনাফা দেয় যেসব শেয়ার








মার্কিন উদ্যোক্তা, স্টক ব্রোকার-রিসার্চার ও লেখক উইলিয়াম জে ও’নেইলের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি ইনভেস্টর বিজনেস ডেইলির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। কর্মক্ষেত্রে তার সাফল্য বিনিয়োগ মহলে বেশি আলোচিত। 

বেস্ট সেলার ‘হাউ টু মেক মানি ইন স্টকস: এ উইনিং সিস্টেম ইন গুড টাইমস অর ব্যাড’ বইয়ে তিনি সেকেন্ডারি বাজারের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করে টপ পারফর্মিং শেয়ারগুলোর কিছু কমন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন। 
সবচেয়ে ভালো কথা হলো, এ বৈশিষ্ট্যগুলো চোখে পড়ার পর সিংহভাগ ক্ষেত্রেই শেয়ারদরে বড় ও শক্তিশালী ট্রেন্ড দেখা যায়।

 সাতটি বিষয়কে তালিকাভুক্ত করে তিনি সেগুলোর নামের আদ্যক্ষরকে একত্র করে স্টক পিকিংয়ের বহুল আলোচিত কৌশলটির নাম দিয়েছেন ‘ক্যান স্লিম স্ট্র্যাটেজি’(সিএএনএসএলআইএম)। ...........................বিস্তারিত

   

পুঁজিবাজারে লোকসান এড়াতে করণীয় ও বর্জনীয় ।


প্রতিদিন লেনদেন শুরুর আগে স্টক এইক্সচেঞ্জের স্ক্রীনে ভেসে ওঠে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এইক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএইসইসি)
একটি বার্তা।
বার্তাটি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে প্রচারিত। সেই বার্তা কতটুকু গ্রহণ করছেন বিনিয়োগকারীরা?বাস্তবতা বলছে- সিংহভাগ বিনিয়োগকারী সেই বার্তাটি মোটেও আত্মস্থ করেননি। চালচুলোহীন কোম্পানির শেয়ারদর যখন কারণ ছাড়া চোখের পলকেই ৫-৬ গুণ হচ্ছে তখন এইটা বলার সুযোগ কই। 

সাধারণ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী তো বটে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীও যখন সেই শেয়ার কিনছে আকাশচুম্বী দরে- তখন প্রশ্ন ওঠে, তারা কি বিনিয়োগ করছেন, নাকি হুজুগে মেতেছেন। পরণতিতে লোকসান আর পুঁজি হারানোর আর্তনাদই তাদের সম্বল। তবে যদি আপনি কয়েকটি বিষয় মেনে বা মাথায় রেখে .......................বিস্তারিত

   

কোরআনে বর্ণিত

সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়াসমূহ






নবী করিম (সা.) বলেন,

‘দোয়া হলো ইবাদতের মগজ।’ (তিরমিজি : ৩২৯৩)।

দোয়া ছাড়া কেমন যেন ইবাদতের পূর্ণতা-ই আসে না! কিছু ইবাদত এমন রয়েছে যার পর দোয়া করলে সাধারণত কবুল হয়ে থাকে। তন্মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ ও তাহাজ্জুদের নামাজের পরবর্তী দোয়া উল্লেখযোগ্য।

অবশ্য দোয়া করা বা আল্লাহর কাছে চাওয়ার কিছু পদ্ধতি রয়েছে। চাওয়ার মতো চাইতে পারলে আল্লাহ কবুল করবেন নিশ্চয়। এ ক্ষেত্রে জনৈক কবি বলেন, ‘ডাকার মতো ডাকলে খোদা কেমনে শুনেন না!’ দোয়া কবুলের বিষয়ে আল্লাহ নিজেও বলেছেন পবিত্র কোরআনে। তিনি বলেন, ‘আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন : ৬০)

কোরআনে বর্ণিত সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়াসমূহ



নবী করিম (সা.) বলেন, ‘দোয়া হলো ইবাদতের মগজ।’ (তিরমিজি : ৩২৯৩)। দোয়া ছাড়া কেমন যেন ইবাদতের পূর্ণতা-ই আসে না! কিছু ইবাদত এমন রয়েছে যার পর দোয়া করলে সাধারণত কবুল হয়ে থাকে। তন্মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ ও তাহাজ্জুদের নামাজের পরবর্তী দোয়া উল্লেখযোগ্য।

অবশ্য দোয়া করা বা আল্লাহর কাছে চাওয়ার কিছু পদ্ধতি রয়েছে। চাওয়ার মতো চাইতে পারলে আল্লাহ কবুল করবেন নিশ্চয়। এ ক্ষেত্রে জনৈক কবি বলেন, ‘ডাকার মতো ডাকলে খোদা কেমনে শুনেন না!’ দোয়া কবুলের বিষয়ে আল্লাহ নিজেও বলেছেন পবিত্র কোরআনে। তিনি বলেন, ‘আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন : ৬০)

..................................বিস্তারিত

   ১০ নিয়ম মানলে বদলে যেতে পারে আপনার পোর্টফোলিও


বিনিয়োগ কৌশল ও তথ্য প্রাপ্তির অভাবে হরহামেশাই লোকসানের মুখোমুখি হন পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা। তাই বিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ থাকলেও সঠিক পরিকল্পনা ও প্রয়োগের অভাবে পুঁজি হারাচ্ছেন তারা।

কিন্তু যথাযথ বিনিয়োগ কৌশল ও তথ্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা থাকলে প্রত্যেক বিনিয়োগকারীই তার স্ব স্ব অবস্থান থেকে ভালো মুনাফা করতে পারবে। তাই শেয়ারনিউজ২৪ ডটকমের পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০টি রুলস খুঁজে বের করার চেষ্ঠা করা হয়েছে। আপতত দৃষ্টিতে এই ১০টি নিয়ম মানলে বদলে যেতে পারে আপনার পোর্টফোলিও।

০১. প্রতিদিন ট্রেডিং শুরু হবার পূর্বেই ...............................বিস্তারিত

   

কেন মুনাফা করতে পারে না স্বল্প পুঁজির বিনিয়োগকারীরা?


যার জীবনে ব্যর্থতা নেই, তার সফলতাও নেই। যে মানুষ মাটিতে পড়ে, সেই আবার মাটি ধরে উপরে ওঠতেও পারে।

 ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে “প্রিপারেশন ইজ দ্য হাফ ব্যাটল” অর্থাৎ প্রস্তুতিই যুদ্ধের অর্ধেক।


বিনিয়োগকারীদের অনেকেই জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার মানেই গ্যামলিং। তাই লাভ করতে হলে গ্যামলার মামুদের পেছনে থাকতে হবে। 

আবার কিছু বিনিয়োগকারী বলছেন, “গ্যামলার ইজ দ্য বিউটি অব দ্য মার্কেট”। আবার একজন বিনিয়োগকারী বলেছেন, ব্যবসা মানে লাভ করা। 

যদি খারাপ শেয়ার কিনেও লাভ করা যায়, তাহলে ক্ষতি কি?

....................... ...বিস্তারিত


মনের সুখে নয়, মনের অসুখে মানুষ আত্মহত্যা করে

বর্তমানে করোনায় মৃত্যুর পাশাপাশি এ ভাইরাসের পার্শ্বপ্রভাবে আরও নানামুখী সংকট তৈরি হয়েছে মানব জীবনে। আর সেসব সংকটের কারণে মানসিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। অনেকে মানসিক সংকট কাটাতে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করছেন। বর্তমানে আত্মহত্যার পরিমাণ বাংলাদেশে অনেক বেড়ে গেছে। সম্প্রতি আঁচল ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে আত্মহত্যা করেছেন ১৪ হাজার ৪৩৬ জন।

আত্মহত্যা নিয়ে আলোচনায় আমাদের সঙ্গে রয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. তাজুল ইসলাম।

সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ, উপস্থাপনা ও তৈরি করেছেন গাজী আবদুর রশীদ।  .............বিস্তারিত

ভালো শেয়ার চেনার নানা কৌশল

বেশি মুনাফার আশায় পুঁজিবাজারে মানুষ বিনিয়োগ করে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আগে জানতে হবে ভালো শেয়ার কোনগুলো। 

ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করে বড় অংকের মুনাফা না করা গেলেও একেবারে পুঁজি হারানোর ভয় কম। 

এ কারণে মন্দ শেয়ারে বিনিয়োগ না করে ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করাই উত্তম।

ভালো শেয়ার বাছাই করার আগে বিনিয়োগকারীদের জানতে হবে কোম্পানির অতীত ইতিহাস, এর সঙ্গে কারা জড়িত, তাদের ব্যবসায়িক সততা, দক্ষতা, কোম্পানি কি ধরনের পণ্য উৎপাদন করে, সেগুলোর বাজার চাহিদা কেমন, কোম্পানির আর্থিক ভিত্তি কেমন, ঋণ থাকলে মূলধনের কত অংশ, 

কোম্পানির আয়-ব্যয়, শেয়ারপ্রতি আয়, শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ, সম্পদের মূল্য, বছর শেষে তারা কেমন ডিভিডেন্ড দেয়,

 ডিভিডেন্ড দেওয়ার অতীত রেকর্ড এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে সহজেই ভালো কোম্পানির শেয়ার বাছাই করা সম্ভব।

..................বিস্তারিত

   
বিশ্বসেরা ৩ শেয়ার ব্যবসায়ীর ৩ উপদেশ
৩) “পোর্টফলিও ম্যানেজমেন্ট – এর দোহাই দিয়ে অনেক ভাল শেয়ারে সামান্য টাকা বিনিয়োগ করা বোকামি” – বিল গ্রস       ২) “অসাধারন একটি কোম্পানিকে সাধারণ দামে কিনুন, কারণ এটি সাধারণ কোম্পানিকে অসাধারন দামে কেনার চেয়ে তা অনেক নিরাপদ” – ওয়ারেন বাফেট       ১) “১০টি শেয়ার ট্রেড এর মধ্যে মাত্র ৩টি তে লাভ হলেই অনেক লাভ করা সম্ভব, যদি আপনি বাকি ৭টিতে লস কম করেন” – ডেনিস গারটমেন।-- 






শেয়ার ব্যবসায় যারা সফল হয়েছেন, তাঁদের সবারই নিজস্ব স্টাইল এবং কৌশল আছে। তবে এক জায়গাতে সবাই একমত, আর সেটা হচ্ছে সবাই শেয়ার মার্কেটে লাভবান হতে চান। কেউ লস করতে চান না।

আপনি যদি অনেকদিন ধরে শেয়ার ব্যবসা করেও নিজস্ব স্টাইল এবং কৌশল ঠিক না করে থাকেন, তাহলে আমরা সাজেস্ট করবো বিশ্ব সেরাদের থেকে কাউকে ফলো করতে। তাই আপনার জন্য আজ আমরা নিয়ে এসেছি বিশ্ব সেরা ৩ শেয়ার ব্যবসায়ীদের ৩ উপদেশ যা সত্যিই কাজের।

১) “১০টি শেয়ার ট্রেড এর মধ্যে মাত্র ৩টি তে লাভ হলেই অনেক লাভ করা সম্ভব, যদি আপনি বাকি ৭টিতে লস কম করেন” – ডেনিস গারটমেন।

বলুন তো আপনি কি দশটি ট্রেড এর মধ্যে ৩টি তে লাভ করা অসম্ভব মনে করেন? তাহলে সমস্যাটা কোথায়? সমস্যা হচ্ছে আপনি বাকি ৭টি তে স্টপ লস করেন না (অর্থাৎ শেয়ার দাম পড়তেই থাকে, তবুও আপনি ধরে বসে থাকেন)। কেনা দামের চেয়ে ৮% কমে গেলেই স্টপ লস করা উচিৎ। তাহলেই যে ৭টি লস করছেন, তা ছাপিয়ে যাবে বাকি ৩টির লাভ।

 বিস্তারিত........Next Column
   

২) “অসাধারন একটি কোম্পানিকে সাধারণ দামে কিনুন, কারণ এটি সাধারণ কোম্পানিকে অসাধারন দামে কেনার চেয়ে তা অনেক নিরাপদ” – ওয়ারেন বাফেট


বাফেট সবসময় ভাল পারফর্ম করে আসা বড় কোম্পানির (Blue-chip) শেয়ার কিনতেন। যেকোনো কোম্পানির শেয়ার দাম কম পেলেই কিনতে হবে? কোম্পানির বংশ পরিচয় দেখবেন না? ভাল কোম্পানির শেয়ার কমদামে পেলে কেনা উচিৎ, কারণ তার দামও একসময় ভালোর দিকে যাবে। আর সাদামাটা কোম্পানির শেয়ার পানির দামে পেলেও কেনা উচিৎ না।


৩) “পোর্টফলিও ম্যানেজমেন্ট – এর দোহাই দিয়ে অনেক ভাল শেয়ারে সামান্য টাকা বিনিয়োগ করা বোকামি” – বিল গ্রস


কোম্পানি, সেক্টর, মার্কেট সব কিছু যাচাই করার পর যদি দেখেন যে, একটি কোম্পানির শেয়ার আসলেই অনেক সম্ভাবনাময়, তাহলে কেন এই শেয়ারে অল্প টাকা বিনিয়োগ করবেন? আর বাকি টাকা ফেলে রাখবেন (অথবা সাধারণ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করবেন? ব্যবসায় রিস্ক আছে, থাকবে। কিন্তু তাই বলে অনেক ভাল সুযোগ হাতছাড়া করা উচিৎ না। আপনি হয়তো আপনার টাকার অর্ধেক পরিমাণ একটি অনেক সম্ভাবনাময় শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারেন।



গত দুই পর্বের আলোচনায় আমরা শিশু ও কিশোরদের আদর্শ মানুষ ও মুসলমান হিসেবে গড়ে তোলার পূর্ব শর্ত হিসেবে বিয়ের জন্য উপযুক্ত ও ধার্মিক বর-কনে নির্বাচনের গুরুত্ব এবং সন্তানের মা-বাবা হওয়ার ক্ষেত্রে মানসিক প্রস্তুতি ও দৈহিক সম্পর্কের পূর্ব-প্রস্তুতি বা আদব-কায়দা সম্পর্কেও কথা বলেছি

আজ আমরা মায়ের গর্ভ ধারণের সময়ের করণীয় কর্তব্য এবং সন্তানকে মানুষ করার ক্ষেত্রে হালাল রিজিকের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলব। 
মায়ের গর্ভ ধারণ সন্তান প্রতিপালনের এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। মহানবীর (সা) বক্তব্য অনুযায়ী মানুষের সৌভাগ্য ও দুর্গতি এ সময়ই নির্দিষ্ট হয়। মহানবী একবার সন্তানের সুশিক্ষা ও প্রশিক্ষণের বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, সন্তানকে মায়ের গর্ভেই সুশিক্ষিত কর। -সাহাবিরা বিস্মিত হয়ে এর মর্মার্থ জানতে চাইলে মহানবী (সা) বলেন, মাকে পবিত্র ও হালাল খাবার খাইয়ে তা কর। 
ইসলাম ধর্ম দারিদ্র দূর করতে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি রিজিক যেন হালাল হয় সে ব্যাপারেও ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছে। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে সুরা বাকারার ১৬৮ নম্বর আয়াতে বলেছেন, হে মানুষেরা! পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু-সামগ্রী খাও। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। সে নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু । 
-এটা ঠিক যে মহান আল্লাহ সব সৃষ্টির জন্য রিজিকদাতা। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে কাজ না করে বসে থাকতে হবে। সুরা হুদের ৬ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন, 
ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী এমন কোন জীব নেই যার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নেননি এবং তিনি তাদের স্থায়ী আবাসস্থল ও অস্থায়ী আবাস সম্বন্ধেও অবহিত। সবকিছুই সুস্পষ্ট গ্রন্থে (সংরক্ষিত) রয়েছে।.................বিস্তারিত

  
      
  •  
ডা. খাদিজা রহমান সোনিয়া

সন্দেহ যখন ক্যান্সার তখন কি করতে হবে? বিশেষ করে এ সন্দেহ যদি হয় ব্রেস্ট বা স্তন ক্যান্সার নিয়ে। তখন চিকিৎসার ধারা কি হবে, রোগীকে কি করতে হবে?  

হ্যাঁ রেডিও তেহরানের সঙ্গে এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিন পর্বে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশের রাজধানী   ঢাকার জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটের সার্জিক্যাল অনকোলজির সহকারী রেজিস্টার  
ডা. খাদিজা রহমান সোনিয়া। 

 পার্সটুডে/মূসা রেজা/১৯


   


Bangladesh Pratidin

পেঁপে বাংলাদেশের সর্বত্রই পাওয়া যায়। একটি বারোমাসি ফল। বছরের প্রায় সব সময়ই কম বেশি দেখা মেলে ফলটির। এই পেঁপে এমন একটি ফল যা কাঁচা-পাকা দুই ভাবেই খাওয়া যায়। 

অনেকে হয়তো এর মূল্য বা উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না। ইউরোপে এমন দেশও রয়েছে যেখানে একটি পেঁপে ৫ ডলার দিয়ে কিনতে হয়। আসল কথা হলো পেঁপে এমন একটি  ফল যা পুষ্টিগুণে ভরপুর। 

পাকা পেঁপে অনেকেই পছন্দ করেন, কিন্তু কাঁচা পেঁপের গুণ সম্পর্কে কী জানা আছে? এই কাঁচা পেঁপে যেমন রান্না করে খাওয়া যায়, তেমনি সালাদ করেও খাওয়া যায়।


   

চুল পড়া বন্ধ করে আমলকী

আসুন জেনে নেওয়া যাক রূপচর্চায় ভেষজ গুণসম্পন্ন আমলকী ব্যবহারের কিছু টিপস-

ব্রণের দাগ দূর করতে: প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণের দাগ দূর করতে সহায়তা করে আমলকী। আমলকীর রস মুখে মেখে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে নিতে হবে ঊষ্ণ পানিতে। অনুভূতিপ্রবণ ত্বক হলে আমলকীর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন সামান্য পানি। ভালো ফলের জন্য ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত।
মুক্তি মিলবে মরা ত্বক থেকে: স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পাওে আমলকীর রস। এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বক সজীব ও টানটান করতে সহায়তা করে। এক চামচ আমলা পাউডার গরম পানিতে মিশিয়ে তৈরি করা পেস্টে মুখ স্ক্রাব করতে হবে। স্ক্রাব করার পাঁচ মিনিট পর মুখ ধুয়ে নিলেই হলো। এই পেস্টের সঙ্গে সামান্য হলুদ মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।


.......................বিস্তারিত






 আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশল (পর্ব-৪) 



গত কয়েকটি পর্বে আমরা শিশু ও কিশোরদের আদর্শ মানুষ ও মুসলমান হিসেবে গড়ার শিক্ষা বা কৌশল প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে আদর্শ মানুষ গড়ার পূর্ব শর্ত হিসেবে বিয়ের জন্য উপযুক্ত ও ধার্মিক বর-কনে নির্বাচনের গুরুত্ব, সন্তান গ্রহণের পূর্ব-প্রস্তুতি বা আদব-কায়দা সম্পর্কেও কথা বলেছি।
এ ছাড়াও মায়ের গর্ভ ধারণের সময়ের করণীয় কর্তব্য এবং সন্তানকে মানুষ করার ক্ষেত্রে হালাল রিজিকের গুরুত্ব নিয়ে কথা  বলেছি গত পর্বে। আজ আমরা গর্ভবতী মায়ের যত্ন ও খাদ্য বিষয়ে কিছু কথা বলব।

   

 আমার বোরিং স্বামী!

আমার স্বামী আমার থেকে বয়সে বেশ বড়। নিজেকে আমি তার সাথে কিছুতেই খাপ খাওয়াতে পারিনি। বোরিং একটা মানুষ। মিষ্টি করে কথা বলতে জানে না।

 ভালোবাসা বোঝে না। একজন আনরোমান্টিক মানুষের মধ্যে যে যে গুন থাকা দরকার তার সবই আছে তার মধ্যে। বিয়ের পর থেকে এখনো কোথাও তার সাথে আমার ঘুরতে যাওয়া হয়নি।

 রাত বেরাতে জ্যোৎস্নার আলোতে কখনো হাত ধরে হাঁটা হয়নি। আমার খুব ইচ্ছা করতো দুজন মিলে একসাথে বৃষ্টিতে ভিজবো, কিন্তু তার নাকি ঠান্ডা লাগে।

 জোসনা হলে যদি বলি চলো ছাদে যেয়ে একটু জোসনা দেখে আসি, সে বলে জানালা দিয়ে দেখো। এতো রাতে ছাদে ভুত আছে। ঠ্যাং ধরে আকাশে নিয়ে নিচে ফেলে দেবে

   

পিতা-মাতার উপর সন্তানের অধিকার

পৃথিবীর প্রতিটি গৃহে প্রত্যেক ব্যক্তি সন্তান কামনা করে। 
সন্তানের উপস্থিতি যেমন কল্যাণ বয়ে আনে, তেমনি গৃহের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে। 
তাই যে গৃহে নিষ্পাপ শিশুর কল-কাকলি থাকে না, সে গৃহের শোভা ও সৌন্দর্য অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়।
 শিশুর শোভা ও সৌন্দর্য সম্পর্কে জনৈক কবি সুন্দর করে বলেছেন,

إِنَّمَا أَوْلاَدُنَا بَيْنَنَا * أَكْبَادُنَا تَمْشِىْ عَلَى الْأَرْضِ

لَوْ هَبَّتِ الرِّيْحُ عَلَى بَعْضِهِمْ * لاَمْتَنَعَتْ عَيْنِىْ عَنِ الْغُمْضِ.

সন্তানেরা মনে হয় যেন আমাদের মাঝে,

জান্নাতী ২০ রমণী

লেখক : হাফেস আরিফ হোসাইন



পৃষ্ঠা : 304, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 2nd Edition, 2016

সম্পাদক: মুয়াল্লীমা মোরশেদা বেগম , মুফতী আবুল কাসেম গাজী , হাফেস আরিফ হোসাইন

ভাষা : বাংল


   

আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশল (পর্ব-৫)





গত কয়েকটি পর্বে আমরা শিশু ও কিশোরদের আদর্শ মানুষ ও মুসলমান হিসেবে গড়ার শিক্ষা বা কৌশল প্রসঙ্গে আলোচনা 

করতে গিয়ে আদর্শ মানুষ গড়ার পূর্ব-শর্ত হিসেবে বিয়ের জন্য উপযুক্ত ও ধার্মিক বর-কনে নির্বাচনের গুরুত্ব, সন্তান গ্রহণের আগে মানসিক প্রস্তুতি ও সন্তান গ্রহণের পূর্ব-প্রস্তুতি বা আদব-কায়দা সম্পর্কেও কথা বলেছি। 

   

একজন মা-ই সন্তানের প্রকৃত স্বপ্নদ্রষ্টা


গুণীজনরা বলেন, পরিবারই হচ্ছে শিশুর প্রথম বিদ্যাপীঠ। মা-বাবার কাছেই শিশুর শিক্ষা-দীক্ষা শুরু। মূলত শিশুরা বাবা-মা’র কাছেই লেখাপড়া, নৈতিকতা, আদর্শ বা দেশপ্রেম সম্পর্কে জানতে শুরু করে। তাই মা-বাবাই হচ্ছেন শিশুর প্রথম আদর্শ শিক্ষক। 



রাসুলুল্লাহ (স.) এর স্ত্রীগণ যেমন ছিলেন



পৃষ্ঠা : 192, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 2nd Edition, 2017

আইএসবিএন : 9789848885451, ভাষা : বাংলা

সম্পাদক: মুয়াল্লীমা মোরশেদা বেগম , মুফতী আবুল কাসেম গাজী , হাফেস আরিফ হোসাইন 


   

ইসলামের চার নক্ষত্র: চার ইমাম




অনুবাদ: ওয়াফি অনুবাদক টিম

সম্পাদনা: মুফতী মাহমুদুল হক







   

হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ)

সে সময়ে শহরবাসী আরবদের মধ্যে এই প্রথা চালু ছিল যে, শহরের জনাকীর্ণ পংকিল পরিবেশ থেকে দূরে গ্রামের উন্মুক্ত পরিবেশে শিশুদের লালন-পালন করলে তারা বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি হ’তে মুক্ত থাকে এবং তাদের স্বাস্থ্য সুঠাম ও সবল হয়। সর্বোপরি তারা বিশুদ্ধ আরবী ভাষায় কথা বলতে অভ্যস্ত হয়। সে হিসাবে দাদা আব্দুল মুত্ত্বালিব সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত ধাত্রী হিসাবে বনু সা‘দ গোত্রের হালীমা সা‘দিয়াহকে নির্বাচন করেন এবং তার হাতেই প্রাণাধিক পৌত্রকে সমর্পণ করেন। 

একটু পড়ে দেখুন



শেয়ার ব্যবসায় মুনাফা তোলার ১০ ম্যাজিক ফর্মুলা


পুঁজিবাজারে লাভ যেমন বেশি, ঝুঁকিও তেমন বেশি। 
বিচার-বিশ্লেষণ না করে হুজুগে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকির সম্ভাবনা প্রায়  শতভাগ।  

   আর বিচার-বিশ্লেষণ করে ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করলে দীর্ঘমেয়াদে হলেও লাভের সম্ভাবনাই বেশি।   
  সেজন্য শেয়ার কেনার আগে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয়ের ওপর লক্ষ্য রাখতে হবে।

................................বিস্তারিত

   

 হাদিসের আলোকে প্রশান্তি লাভের উপায় !

হজরত আবু হুরাইরা (রা.) এর সূত্রে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, তিনটি বিষয় মানুষকে মুক্তি দেয়। 

এক. আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করা নির্জনে ও লোকসমাগমে (বা প্রকাশ্যে ও গোপনে)। 

দুই. কেউ সন্তুষ্ট বা রেগে গেলেও সামনে সত্য কথা বলে দেয়া।

 তিন. দারিদ্রতা ও স্বচ্ছলতা উভয় অবস্থায় মধ্যমপন্থায় খরচ করা।

 আর তিনটি বিষয় মানুষকে ধ্বংস করে। ......................বিস্তারিত
   

কিভাবে সম্ভাবনাময় শেয়ার চিহ্নিত করবেন?

মার্কিন উদ্যোক্তা, স্টক ব্রোকার-রিসার্চার ও লেখক উইলিয়াম জে ও’নেইলের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি ইনভেস্টর বিজনেস ডেইলির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। 

কর্মক্ষেত্রে তার সাফল্য বিনিয়োগ মহলে বেশি আলোচিত। 

বেস্ট সেলার ‘হাউ টু মেক মানি ইন স্টকস: এ উইনিং সিস্টেম ইন গুড টাইমস অর ব্যাড’ বইয়ে তিনি সেকেন্ডারি বাজারের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ 


......................বিস্তারিত





























প্রকাশনী : সমর্পণ প্রকাশন
পৃষ্ঠা : 96, কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : 

সম্পাদক- ডা. শামসুল আরেফীন  

বাগানে ফুল ফুটুক, পাখি ডাকুক, এটা সকল মালীই চায়। কেন চাইবে না বলুন? বাগান গড়ে তোলার জন্যে কি তাকে কম কষ্ট করতে হয়? বীজ বোনা থেকে নিয়ে পরিচর্যা—কত কত কষ্ট সহ্য করতে হয় একজন মালীকে। তার কষ্ট তখনই সফল হয়, যখন সাধের বাগানখানি ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। ঠিক তেমনিভাবে প্রতিটি বাবা-মা’কেও অনেক কষ্ট পোহাতে হয় আদুরে সন্তানের জন্যে। সন্তানকে মানুষ করার জন্যে জন্মের পর থেকেই দিনরাত খাটাখাটনি করতে হয়। মা-বাবার এত এত কষ্ট তখনই আনন্দের অশ্রু হয়ে ঝরে, যখন সন্তান মানুষের মতো মানুষ হয়।

আসলে আলোকিত সন্তান সবাই চায়। কিন্তু সন্তানকে আলোকিত করতে হলে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে, সে সম্পর্কে অনেকেই বেখবর। অনেকের ইচ্ছে থাকে সন্তান গড়ার কলাকৌশল জানার। কিন্তু সঠিক নির্দেশনার অভাবে তারাও অনেকসময় ভুল পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেন। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সন্তানের ওপর। এমন সমস্যায় যেন আর কাউকেই পড়তে না হয়, সে জন্যেই আমাদের এই গাইডলাইন। এই বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠা বাবা-মা’কে শিখিয়ে দেবে কীভাবে আলোকিত মানুষ হিসেবে সন্তানকে গড়ে তুলতে হয়।











স্মার্ট প্যারেন্টিং উইথ মুহাম্মাদ (সা)

পৃষ্ঠা : 112, কভার : পেপার ব্যাক
ভাষা : বাংলা

আমাদের রোল মডেল নবিজি। জীবনের প্রতিটি ধাপেই তিনি ‘উসওয়াতুন হাসানা’। কত ভাবেই না আমরা নবিজিকে বুঝেছি। দয়ার সাগর, আমানতদার, ইনসাফবাদী বিচারক, সামরিক বিশেষজ্ঞ, রাজনৈতিক নেতা, বিপ্লবী, স্বামী, বন্ধু–নানান পরিচয়ে নবিজিকে চিনতে পারি, জানতে পারি। এই গ্রন্থে আমরা এক নতুন পরিচয় খুঁজে নেবো। আমরা দেখব–একজন পিতা হিসেবে কেমন ছিলেন তিনি, চারপাশের শিশু সাহাবিদের সাথে কেমন ছিলেন তিনি। কীভাবে শিশু প্রজন্মকে আগামীর পৃথিবীর জন্য প্রস্তুত করেছিলেন।

আমরা বুঝতে চেষ্টা করব–
–কীভাবে নবিজি চারপাশের শিশুদের পরিচর্যা করেছিলেন, প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন?
–কীভাবে তিনি শিশু মনে বিশ্বাসের বীজ বুনেছিলেন?
–কীভাবে ইসলামি জিন্দেগীর সাথে শিশুদের অভ্যস্ত করেছিলেন?
–কীভাবে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক করে দিয়েছিলেন?
–কীভাবে উন্নত নৈতিক চরিত্র শিশুদের ভেতরে ঢুকে দিয়েছিলেন?
–কীভাবে শিশুদের টিনএজ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে শিখিয়েছিলেন?
–কীভাবে সমাজের প্রোডাক্টিভ মানুষ হয়ে মানুষের কল্যাণে শিশু মন গড়ে তুলেছিলেন?

পুরো গ্রন্থেই থাকছে শিশু পরিচর্যার নববি কর্মকৌশল। স্মার্ট প্যারেন্টিং-এ আপনাকে স্বাগতম।


অর্ডার সম্পন্ন করুন

 

স্মার্ট প্যারেন্টিং উইথ মুহাম্মাদ (সা.) Pdf Download
















No comments:

Post a Comment