ফেসবুক নিয়ে মাতামাতি ছাড়ুন, খুশি থাকুন

যতই  আপনি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুক নিয়ে মাতামাতি করুন না কেন, আদতে ওই অভ্যাসটি ছেড়ে দিতে পারলেই আপনি ভালো থাকবেন, খুশি থাকবেন।  ডেনমার্কের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হ্যাপিনেস রিসার্চ ইনস্টিটিউটঢে গবেষকরা অন্তত এমনটাই বলছেন।


আরো খবর


অর্ধেককে ফেসবুক করতে দেওয়া হয়, অর্ধেককে ফেসবুক করা থেকে বিরত রাখা হয়। 

এক সপ্তাহ পর দেখা যায়, যারা ফেসবুক করছিলেন না, তাদের মধ্যে ৮৮ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবকই খুশি হয়েছেন। 

যারা ফেসবুক নিয়মিত করছিলেন, তারা আরও নিজেদের আরও একাকী ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বোধ করছিলেন।েষকরা বলছেন, হাতে বাড়তি সময় থাকলে বন্ধুদের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলুন।

 গবেষকদের বক্তব্য, ” আমাদের কী চাই, তার উপর মনোযোগ দেওয়ার বদলে ফেসবুক আমাদের অন্যদের কী রয়েছে-তার উপর গুরুত্ব দিতে শেখায়।” 

সংস্থার সিইও মাইক উইকিং বলছেন, “কয়েকদিন ফেসবুক করার কথা ভুলে নিজের কাজে মন দিয়ে দেখুন, আরও দ্রুত ও খুশি খুশি মনে আপনি আপনার কাজ শেষ করতে পারবেন।”


আরো পড়ুন :

প্রয়োজনীয় ওষুধগুলো নিজের সাথেই রাখুন 

আপনি যেখানেই যান না কেন, প্রয়োজনীয় ওষুধগুলো নিজের সাথেই রাখুন। যেকোনো মুহূর্তে প্রয়োজন পড়ে যেতে পারে। মাঝে মাঝে এমন হতে পারে যে, আপনার হয়তো  মাথা ব্যথা, হঠাৎ অ্যাসিডিটির সমস্যা হচ্ছে, একটা ওষুধ আপনার খুব প্রয়োজন; আপনার আশে পাশে কোথাও পাচ্ছেন না অথচ নিজের সাথেই থাকলে খুব উপকার হত, সেক্ষেত্রে ওষুধটা নিজের সাথেই থাকলে খুব উপকার হয়। এই ধরণের ওষুধকে ‘ওভার দ্যা কাউন্টার’ ড্রাগ বা OTC ড্রাগ বলে। কারণ এইসব ওষুধ ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই আপনি ফার্মেসি থেকে কিনতে পারবেন।

কিছু সমস্যা এবং সে সময় কি ওষুধ খাবেন তা জেনে নিন। ওষুধের জন্য সাথে ছোট একটা ব্যাগ বা নিজের হাত ব্যাগের সাইড পকেটেই ওষুধগুলো নিয়ে রাখতে পারেন।

মাথা বা অন্য কোথাও ব্যথা,জ্বরঃ  

 ব্যথার ক্ষেত্রে আপনি স্বল্প মাত্রার পেইন কিলার খেতে পারেন। যেমন অ্যাস্পিরিন, প্যারাসিটামল, অ্যাসিটামিনোফেন, ইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেন। আর জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল ই যথেষ্ট। 

তবে পেইন কিলারের প্রভাবে অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে, এজন্য পেইনকিলার অবশ্যই ভরা পেটে খেতে হবে, আরও ভাল হয়  একটা অ্যাসিডিটির ট্যাবলেটও খেয়ে নিলে, সেক্ষেত্রে অ্যাসিডিটির ট্যাবলেট (যেমন রেনিটিডিন বা ওমেপ্রাজোল) খাবার আগেই খেয়ে নিতে হবে। 

পাশাপাশি মাথায় রাখতে হবে যে বড়দের ওষুধের ডোজ বা মাত্রা আর শিশুদের ওষুধের মাত্রার মধ্যে বিস্তর ফারাক। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মতো সঠিক মাত্রার ওষুধ শিশুকে দিতে হবে।

 সাবধানতাঃ 

অতিরিক্ত প্যারাসিটামল ও ব্যথার ওষুধ লিভার বা যকৃত এবং কিডনির ক্ষতির কারণ। এগুলি দীর্ঘদিন ধরে খেলে একই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খুব বেশী প্রয়োজন না পড়লে, এবং বেশি মাত্রার প্যারাসিটামল বা ব্যথার ওষুধ অকারণে খাওয়া উচিত না।

অ্যাসিডিটির সমস্যায়ঃ 

অ্যাসিডিটির সমস্যার কারণে হঠাৎ বুক জ্বালা-পোড়া করলে,সেটা কমানোর জন্য অ্যান্টাসিড বা মিল্ক অফ ম্যাগনেসিয়া দুতিন চামচ খেয়ে নিতে পারেন। আর আরও অ্যাসিডিটি প্রতিরোধে একটা রেনিটিডিন বা ওমেপ্রাজোল খেয়ে নিলে আবার কষ্ট পাবেন না, পাশাপাশি ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত কাবার পরিহার করতে হবে।  

কেটে গেলেঃ

র্ঘটনা বসত হঠাৎ হাতে-পায়ে কেটে- ছিলে যেতে পারে । সেক্ষেত্রে ব্যাগে ২-৩ টি ওয়ান টাইম ব্যান্ডেজ এবং অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম রাখতে পারেন। যেমন ব্যাসিট্রাসিন ও নেওমাইসিন ক্রিম যা বাজারে নেবানল, নেবাসন, নিওসিন, নিও বি, নেব্রাসিন ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়।

পুড়ে গেলেঃ 

কোথাও পুড়ে গেলে বার্ন ক্রিম লাগাতে পারেন। যেমন সিলভার ক্রিম (বাজারে বার্না, সিলক্রিম, নিওজিন ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়।)

কোথাও কেটে গেলে বা পুড়ে গেলে সেখানে দ্রুত জীবাণুর সংক্রমণ হয়। তাই তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নিলে জীবাণুর সংক্রমণ এবং ফলসরূপ যে পুঁজ বা ইনফেকশন হয় তা প্রতিরোধ ওরা যায়।

সাবধানতাঃ বেশি কেটে গেলে বা পুড়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

পা মচকে যাওয়ার ক্ষেত্রেঃ 

হাঁটতে গেলে, চলাফেলা করতে গেলে হঠাৎ বেখেয়ালে পা মচকে যায়। তখন হাঁটতে খুব কষ্ট হয়। সেক্ষেত্রে ব্যাগে ক্লোফেনাক বা ডাইক্লোফেনাক জেল  ডাইক্লোফেনাক, কারিসোপ্রোডল বা ব্যাক্লোফেন রাখুন। এই ব্যথানাশক জেল গুলি আক্রান্ত জায়গায় দিনে দুতিন বার মালিশ করলে ব্যথা তাড়াতাড়ি কমে আসে। ।

অ্যালার্জির সমস্যায়ঃ

 কারো কারো ডাস্ট অ্যালার্জি থাকে। হালকা ধুলো-বালিতে হাঁচি-কাশি শুরু হয়ে যায়। ডাস্ট অ্যালার্জি ছাড়াও অনেকের খাবারেও অ্যালার্জি থাকে। হঠাৎ করে হাঁচি-কাশির সাথে চোখ দিয়ে হয়তো পানিও পড়া শুরু হলো। সেক্ষেত্রে অ্যান্টিহিস্টামিন খেতে পারেন। সেট্রিজিন, লেভো-সেট্রিজ এভিল, হিস্টাসিন বা ফেনারগন জাতীয় ওষুধ এমন সমস্যায় ভালো কাজ দেয়।  

প্রয়োজনীয় ওষুধগুলো হাতের কাছেই রাখুন। ঘরের বাইরে থাকলে হঠাৎ নিজের কোনো প্রয়োজনে বা অন্যের প্রয়োজনে ইমারজেন্সি মুহূর্তে এই স্বভাবটি চমৎকারভাবে উপকারে লেগে যাবে।




CodePen - Bootstrap Facebook Share Button

2 comments: