

হাদিসের আলোকে প্রশান্তি লাভের উপায় ।
জানতে-চাই , জানাতে-চাই
হজরত আবু হুরাইরা (রা.) এর সূত্রে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, তিনটি বিষয় মানুষকে মুক্তি দেয়। এক. আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করা নির্জনে ও লোকসমাগমে (বা প্রকাশ্যে ও গোপনে)। দুই. কেউ সন্তুষ্ট বা রেগে গেলেও সামনে সত্য কথা বলে দেয়া। তিন. দারিদ্রতা ও স্বচ্ছলতা উভয় অবস্থায় মধ্যমপন্থায় খরচ করা। আর তিনটি বিষয় মানুষকে ধ্বংস করে। .
................................................................বিস্তারিত জানতে!➤➤ Click Me
আরও পড়ুন-
👉প্রথম রিটার্ন দেওয়ার আগে যা জানতে হবে !! . 👉সঞ্চয়পত্র, ব্যাংকে আমানত থাকলে কীভাবে রিটার্ন দেবেন ?
👉 বাবার মৃতুর পর তার সম্পত্তি সন্তানের হিসাবে কিভাবে অর্ন্তভুক্ত করবে?. 👉 কিভাবে অনলাইন কাজগুলো শিখবো ?উপায় যেনে নিন !!.

-
TOC Preview Page বাংলাদেশে আয়কর সম্পর্কে যেসব তথ্য আপনার না জানলেই নয় !!
zakirzone is a point of access to information. We present information from diverse sources in a unified way. It is the popular web portal for significant Information....
VAT and tax rate in Bangladesh- Zakirzone ব্যক্তিগত আয়করের জন্য ২০২৩-২০২৪ কর বছরের জন্য প্রযোজ্য কর হারের কাঠামো
(ক) ব্যক্তি করদাতাসহ অন্যান্য করদাতার (কোম্পানী ব্যতীত) জন্য সাধারণ করহার
২০২৩-২০২৪ কর বছরের জন্য এরূপ করদাতাদের আয়ের উপর প্রযোজ্য কর হার নিম্নরূপে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছেঃ-মোট আয় কর হার Comment 1 প্রথম ৩,৫ ০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর শূন্য Click me 2 পরবর্তী ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ৫% Click me 3 পরবর্তী ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ১০% Click me 4 পরবর্তী ৪,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ১৫% Click me 4 পরবর্তী ৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ২০% Click me 4 অবশিষ্ট মোট আয়ের উপর ২৫% Click me অর্থ আইন, ২০২৩ এর আওতায় প্রত্যেক ব্যক্তি করদাতা (অনিবাসী বাংলাদেশী সহ), হিন্দু যৌথ পরিবার, অংশীদারী ফার্ম, ব্যক্তি সংঘ এবং আইনের দ্বারা সৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তির আয়ের সীমা ৩,৫ ০,০০০/= টাকার উপরে হলে আয়কর প্রদানের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেন। তবে (১) মহিলা এবং ৬৫ বৎসর বা তদুর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তিদের আয়ের সীমা ৪,০০,০০০/= টাকা এর উপরে হলে তিনি আয়কর প্রদানের উপযুক্ত হবেন। (২) প্রতিবন্ধি করদাতাদের আয়ের সীমা ৪,৭৫,০০০/= টাকা এর উপরে হলে তিনি আয়কর প্রদানের উপযুক্ত হবেন। ৩) গেজেট ভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তি যোদ্ধাদের আয়ের সীমা ৫,০০,০০০/= টাকা উপরে হলে তিনি আয়কর প্রদানের উপযুক্ত হবেন। ৪) কোন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের প্রত্যেক সন্তান/পোষ্যের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০,০০০ টাকা বেশি হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা ও মাতা উভয়েই করদাতা হলে যেকোন একজন এ সুবিধা পাবেন। ( ৫ ) করমুক্ত সীমার ঊর্ধ্বের আয়ের ক্ষেত্রে প্রদেয় ন্যূনতম আয়করের পরিমাণ এলাকাভেদে নিম্ন রূপভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছেঃ
এলাকার বিবরণ ন্যূনতম করের হার- 1 ঢাকা উত্তর ও দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতা ৫,০০০/-টাকা 2 অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতা ৪,০০০/-টাকা 3 সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত অন্যান্য এলাকায় অবস্থিত করদাতা ৩,০০০/-টাকা ন্যূনতম আয়করের এ বিধানের ফলে একজন করদাতার আয় যে কোন স্থানেই অর্জিত হউক না কেন তিনি যেখানে অবস্থান করবেন তাঁর সে অবস্থানের ভিত্তিতেই ন্যূনতম করের হার নির্ধারণ হবে। তবে কোন করদাতা যদি একই আয় বছরে একাধিক স্থানে অবস্থান করে থাকেন তাহলে যে স্থানে তিনি সর্বাধিককাল অবস্থান করেছেন সে অবস্থানস্থলের জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম কর হার তাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ব্যবসা আয়ের ক্ষেত্রে ব্যবসা পরিচালনার মুখ্য স্থানই ন্যূনতম করের জন্য একজন করদাতার অবস্থানস্থল হিসেবে বিবেচিত হবে। একজন চাকুরীজীবি করদাতা আয়বছরে একাধিক স্থানে কর্মরত থাকলে যে স্থানে তিনি অধিক কাল কর্মরত ছিলেন ন্যূনতম করের জন্য সে স্থানই তাঁর অবস্থানস্থল বলে বিবেচিত হবে। করদাতা অনিবাসী হলে বাংলাদেশে তিনি যে ঠিকানা ব্যবহার করেন সে ঠিকানাই তাঁর অবস্থানস্থল হিসেবে বিবেচিত হবে। করমুক্ত সীমার ঊর্ধ্বের আয় আছে এমন করদাতার প্রদেয় আয়করের পরিমাণ হিসাব অনুযায়ী তাঁর জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম আয়করের পরিমাণ অপেক্ষা কম হলে বা বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত বিবেচনার পর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ প্রযোজ্য ন্যূনতম আয়করের কম বা ঋণাত্মক হলেও তাঁকে তাঁর জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম আয়কর পরিশোধ করতে হবে। (খ) কোম্পানি ব্যতীত নিদির্ষ্ট শ্রেণির করদাতার উপর সর্বোচ্চ করহারকোম্পানী ব্যতীত নিম্নোক্ত অন্যান্য শ্রেণির করদাতার উপর নিম্নমূপ সর্বোচ্চ হারে আয়কর আরোপিত
করদাতার শ্রেণি করের হার- 1 কোম্পানী নয়, বাংলাদেশে অনিবাসী (অনিবাসী বাংলাদেশী ব্যতীত ) এরূফ ব্যক্তি শ্রেণির ভুক্ত করদাতার ক্ষেত্রে আয়ের উপর– ৩০% 2 কোম্পানী নয়, সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সকল প্রকার তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারক এরূপ করদাতার উক্ত ব্যবসায় হতে অর্জিত আয়ের উপর– ৪৫% 3 সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ অনুযায়ী নিবন্ধিত সমবায় সমিতির ক্ষেত্রে আয়ের উপর– ১৫% 4 বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় , বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বা কেবলমাত্র তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষাদানে নিয়োজিত বেসরকারি কলেজ এর উদ্ভূত আয়ের উপর প্রযোজ্য কর- উক্ত আয়ের উপর ১৫% (গ) কোম্পানীর করহার ২০২২-২০২৩ কর বছরের জন্য কোম্পানীর আয়করের হার (লভ্যাংশ আয় ও মূলধনী আয় ব্যতীত ) নিম্নরূপ:
কোম্পানীর ধরণ করের হার- 1 নন-পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানী (স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানী) ২৭.৫% 2 পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানী (স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানী) ২২.৫% 3 শর্ত: যদি এরূপ কোম্পানী যা Publicly traded company নয়,তার পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ২০% শেয়ার Initial Public Offerings (IPO) এর মাধ্যমে হস্তান্তর করে, তাহলে এরূপ কোম্পানী উক্ত হস্তান্তর সংশ্লিষ্ট বছরে প্রযোজ্য আয়করের উপর আয়কর রেয়াত লাভ করবে। ১০% 4 ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠনসমুহ (মার্চেন্ট ব্যাংক ব্যতীত) পাবলিকলি ট্রেডেড হলে ৩৭.৫% 5 ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠনসমুহ (মার্চেন্ট ব্যাংক ব্যতীত) নন-পাবলিকলি ট্রেডেড হলে ৪০% 6 মার্চেন্ট ব্যাংক ৩৭.৫% 7 সিগারেট,বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সকল প্রকার তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানী [ (+) ২.৫ % সারচার্জ ] ৪৫% 8 মোবাইলে ফোন অপারেটর মোম্পানী ( Publicly traded company)
শর্তঃ (১) এরূপ কোন মোম্পানী তার পরিশোধিত মূলধনের নূন্যতম ১০% শেয়ার, যার মধ্যে Pre Initial Public Offering Placement ৫% এর অধিক হবে না;৪০% 9 মোবাইলে ফোন অপারেটর মোম্পানী (নন-পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানী) হলে তার কর হার হবে ৪৫% ২। ব্যক্তি-করদাতার উপর প্রযোজ্য সারচার্জের হার পুনর্বিন্যাস অর্থ আইন, ২০২২ এর মাধ্যমে ব্যক্তি-করদাতার প্রদেয় আয়করের উপর প্রযোজ্য সারচার্জ আরোপের হার নিম্নরূপে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে:
নীট পরিসম্পদের মূল্যমান সারচার্জের হার Comment 1 তিন কোটি টাকা পর্যন্ত- শূন্য 2 তিন কোটি টাকার অধিক কিন্তু দশ কোটি টাকার অধিক নয় ১০% 3 দশ কোটি টাকার অধিক কিন্তু বিশ কোটি টাকার অধিক নয় ২০% 3 বিশ কোটি টাকার অধিক কিন্তু পঞ্চাশ কোটি টাকার অধিক নয়- ৩০% 3 পঞ্চাশ কোটি টাকার অধিক যে কোন অংকের উপর- ৩৫% নীট পরিসম্পদের মূল্যমান দুই কোটি পাঁচিশ লক্ষ টাকা অতিক্রম করলে কোন ব্যক্তি-করদাতার প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ ৩,০০০/- টাকার কম হলেও তাকে ন্যূনতম ৩,০০০/- টাকা সারচার্জ পরিশোধ করতে হবে।
আয়ের বিস্তারিত বিবরণী
রিটার্ন দাখিল না করলে কি হয়?
যে সকল ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সে সকল সেবা হতে বঞ্চিত হতে হবে। যেমন- ক্ষেত্রমত,গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযােগ পাওয়া যাবে না কিংবা সংযােগ বিচ্ছিন হবে। বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতে অসুবিধা হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে তার উপর আয়কর অধ্যাদেশের 124 ধারা অনুযায়ী জরিমানা, 73 ধারা অনুযায়ী সরল সুদ এবং 73A ধারা অনুযায়ী বিলম্ব সুদ (delay interest) আরােপযােগ্য হবে। যে ক্ষেত্রে করদাতা রিটার্ন দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করে উপ-কর কমিশনার কর্তৃক মঞ্জুরকৃত বর্ধিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করবেন, সে ক্ষেত্রে করদাতার উপর জরিমানা আরােপিত হবে না তবে বিলম্ব সুদ আরােপিত হবে। সকল আয়কর অফিসে আয়কর রিটার্ন ফরম পাওয়া যায়। একজন করদাতা সারা বছর বিনামূল্যে আয়কর অফিস থেকে রিটার্ন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন। জাতীয় রাজস্ব বাের্ডের ওয়েব সাইট https://nbr.gov.bd/form/income-tax/eng থেকেও রিটার্ন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। রিটার্নের ফটোকপিও গ্রহণযােগ্য।
রিটার্ন দাখিলের সর্বশেষ সময়?
স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাকে Tax Day (কর দিবস) এর মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। ২০২২-২০২৩ করবর্ষের জন্য ৩০ নভেম্বর ২০২২ তারিখ হচ্ছে কর দিবস, অর্থাৎ রিটার্ন দাখিলের সর্বশেষ তারিখ। একজন স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা ১ জুলাই ২০২২ থেকে ৩০ নভেম্বর ২০১৩ তারিখের মধ্যে ২০২২-২০২৩ করবর্ষের রিটার্ন দাখিল করবেন। কোন ব্যক্তি যিনি পূর্বে কখন-ই রিটার্ন দাখিল করেননি তার জন্য ৩০ জুন ২০২২ তারিখে সমাপ্ত আয়বর্ষের জন্য করবর্ষ এর সর্বশেষ দিন অর্থাৎ ৩০ জুন ২০২৩ হচ্ছে করদিবস। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব না হলে করদাতা রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানাের জন্য নির্ধারিত ফরমে উপযুক্ত কারণ উল্লেখপূর্বক উপ-কর কমিশনারের কাছে সময়ের আবেদন করতে পারেন। সময় মঞ্জুর হলে বর্ধিত সময়ের মধ্যে সাধারণ অথবা সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতির আওতায় রিটার্ন দাখিল করা যাবে। জাতীয় রাজস্ব বাের্ডের ওয়েবসাইট www.nbr.gov.bd থেকে সময় বৃদ্ধির আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যায়।
কর ফাঁকি না দিয়েও আয়কর কম দেওয়ার উপায়-
বিনিয়োগের হার, সীমা এবং অনুমোদনের ক্ষাতসমূহ
কিভাবে আয়কর রেয়াত পাবেন ?
একজন করদাতাকে সঠিক পরিকল্পনা করে বিনিয়োগ করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সঠিক ধারণা না থাকার পরিপ্রেক্ষিতে বেশি আয়কর দিতে হচ্ছে।
আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর কর রেয়াত ধারা-৪৪(২)(বি) অনুযায়ী (তফসিল ৩ ও নতুন ফর্মে Schedule-24D অনুসারে)
একজন করদাতা নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে বিনিয়োগ কিংবা দান করলে তিনি বিনিয়োগ ও দানকৃত অংকের ১৫% সরাসরি আয়কর রেয়াত পাবেন।
এর অতিরিক্ত বিনিয়োগের জন্য আয়কর রেয়াত পাওয়া যাবে না।
রেয়াত পাওয়ার যোগ্য বিনিয়োগ বা দান প্রচলিত রিটার্ন ফরম আইটি-১১গ এর তফসিল-৩ এ উল্লেখ করতে হবে।
কর রেয়াতের জন্য এরকম বিনিয়োগ ও দানের পরিমাণ মোট আয়ের (স্বীকৃত ভবিষ্যৎ তহবিলে নিয়োগকর্তার দান, ৮২সি ধারায় নির্ণিত চুড়ান্ত করদায় এবং হ্রাসকৃত করহার প্রযোজ্য এমন আয় থাকলে তা বাদে) ২০% অথবা ১,০০,০০,০০০/- টাকা অথবা প্রকৃত বিনিয়োগ এ তিনটির মধ্যে যেটি কম তার বেশী হতে পারবে না।
উল্লেখ্য,যে সকল করদাতা বেতন আয়ের ক্ষেত্রে আইটি-১১ঙ অথবা ব্যবসা বা পেশার আয়ের ক্ষেত্রে আইটি-১১চ ব্যবহার করবেন তাঁদের এরূপ কোন তফসিল পূরণ করতে হবে না। তবে বিনিয়োগ বা দানের প্রমাণপত্র রিটার্নের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
বিনিয়োগের খাতঃ
একজন করদাতার বিনিয়োগ ও দানের সম্ভাব্য খাতের তালিকা নীচে দেয়া হলোঃ
👉 জীবন বীমার প্রিমিয়াম।
👉সরকারি কর্মকর্তার প্রভিডেন্ট ফান্ডে চাঁদা।
👉 স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে নিয়োগকর্তা ও কর্মকর্তার চাঁদা।
👉 কল্যাণ তহবিল ও গোষ্ঠী বীমা তহবিলে চাঁদা।
👉 যেকোন তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপোজিট পেনশন স্কীমে বার্ষিক সর্বোচ্চ ৬০,০০০/- টাকা বিনিয়োগ। এর বেশি হলে পাওয়া যায় না। ডিপিএস থেকে আয়কর রেয়াত পাওয়ার জন্য, আয় বছরের মধ্যে বিনিয়োগ করবেন, শুধু তারাই সেই বছর ওপর রেয়াত পাবেন।
👉 সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে বিনিয়োগ।
👉 বাংলাদেশের ষ্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভূক্ত কোম্পানীর শেয়ার, স্টক, মিউচ্যুয়াল ফান্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ;
👉 বাংলাদেশ সরকার ট্রেজারী বন্ডে বিনিয়োগ;
👉 সুপার অ্যানুয়েশন ফান্ডে প্রদত্ত চাঁদা
দানঃ
👉 যাকাত তহবিলে দান। 👉 জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কোন দাতব্য হাসপাতালে দান। 👉 প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানে দান। 👉 মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে প্রদত্ত দান। 👉 আগাঁ খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কে দান। 👉 আহসানিয়া ক্যান্সার হাসপাতালে দান। 👉ICDDRB তে প্রদত্ত দান। 👉CRP, সাভার এ প্রদত্ত দান। 👉 সরকার কর্তৃক অনুমোদিত জনকল্যাণমূলক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দান। 👉 এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশ এ দান। 👉 ঢাকা আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালে দান। 👉 মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের কোন প্রতিষ্ঠানে অনুদান; 👉 জাতির জনকের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে অনুদান;যাদেরকে আবশ্যিকভাবে রিটার্ণ দাখিল করতে হবে।
কারা আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন:-
ক. যাঁদের করযোগ্য আয় রয়েছে, যেমন কোনো ব্যক্তি-করদাতার আয় যদি বছরে ৩ লাখ টাকার বেশি হয়;
মহিলা এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে সাড়ে ৩ লাখ টাকার বেশি হয় এবং
গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি হয়।
খ. যাদের অবশ্যই রিটার্ন দাখিল করতে হবে:১. যার ১২ ডিজিটের টিআইএন আছে;
২. করদাতার মোট আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম করলে;
৩. আয় বছরের পূর্ববর্তী তিন বছরের যেকোনো বছর করদাতার কর নির্ধারণ হয়ে থাকলে;
৪. করদাতা যদি কোনো কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডারের এমপ্লয়ি বা কর্মচারী হন;
৫. করদাতা যদি কোনো ফার্মের অংশীদার হন;
৬. করদাতা যদি সরকার অথবা সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষ, করপোরেশন, সত্তা বা ইউনিটে বা প্রচলিত কোনো আইন, আদেশ বা দলিলের মাধ্যমে গঠিত কোনো কর্তৃপক্ষ, করপোরেশন, সত্তা বা ইউনিটের কর্মচারী হয়ে আয় বছরের যেকোনো সময় ১৬ হাজার টাকা বা এর বেশি মূল বেতন পান;
৭. করদাতা যদি কোনো ব্যবসায় বা পেশায় নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পদে বেতনভোগী কর্মী হন;
৮. করদাতার আয়কর অব্যাহতি পাওয়া বা হ্রাসকৃত হারে করযোগ্য হয়ে থাকে;
৯. করদাতা যদি মোটর গাড়ির মালিক হন (মোটর গাড়ি বলতে জিপ বা মাইক্রোবাসকেও বোঝাবে);
১০. করদাতা যদি কোনো সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ হতে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করে কোনো ব্যবসা বা পেশা পরিচালনা করেন
১১. করদাতার যদি মূল্য সংযোজন কর আইনের অধীন নিবন্ধিত কোনো ক্লাবের সদস্যপদ থাকে
১২. করদাতা যদি চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি অথবা সার্ভেয়ার হিসেবে বা সমজাতীয় পেশাজীবী হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার নিবন্ধিত হন;
১৩. করদাতা যদি আয়কর পেশাজীবী হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিবন্ধিত হন;
১৪. করদাতা যদি কোনো বণিক বা শিল্পবিষয়ক চেম্বার বা ব্যবসায়িক সংঘ বা সংস্থার সদস্য হন;
১৫. করদাতা যদি কোনো পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের কোনো পদে বা সাংসদ পদে প্রার্থী হন;
১৬. করদাতা যদি কোনো সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা কোনো স্থানীয় সরকারের কোনো টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেন;
১৭. করদাতা যদি কোনো কোম্পানির বা কোনো গ্রুপ অব কোম্পানিজের পরিচালনা পর্ষদে থাকেন;
১৮. করদাতা যদি মোটরযান, স্পেস বা স্থান, বাসস্থান অথবা অন্যান্য সম্পদ সরবরাহের মাধ্যমে শেয়ারড ইকোনমিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন; এবং
১৯. করদাতা যদি লাইসেন্সধারী অস্ত্রের মালিক হন।
তবে বাংলাদেশে স্থায়ী ভিত্তি নেই এমন অনাবাসী এবং যাঁরা কেবল জমি বিক্রি করতে বা ক্রেডিট কার্ড নিতে ১২ ডিজিটের টিআইএন নিয়েছেন, কিন্তু করযোগ্য আয় নেই, তাঁদের রিটার্ন দিতে হবে না।
সূত্র: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডযেসব ক্ষেত্রে রিটার্নের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য—
আমরা জমি, ফ্ল্যাট, স্থায়ী আমানত বা এফডিআর, সঞ্চয়পত্র, ইত্যাদির দলিল বা নথি যেভাবে সংরক্ষণ করি, অনেকে আয়কর রিটার্ন সেভাবে সংরক্ষণ করেন না। আয়কর রিটার্ন সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা কর ব্যবস্থাপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
👉কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচ লাখ টাকার বেশি ঋণ গ্রহণ;
👉কোনো কোম্পানির পরিচালক বা উদ্যোক্তা শেয়ারধারী হতে হলে;
👉আমদানি নিবন্ধন সনদ ও রপ্তানি নিবন্ধন সনদ প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে;
👉সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন করতে;
👉সমবায় সমিতির নিবন্ধন গ্রহণে;
👉সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ার হতে এবং লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন করতে;
👉সিটি করপোরেশন, জেলা সদরের পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় ১০ লাখ টাকার জমি, ভবন বা ফ্ল্যাট বিক্রয় বা হস্তান্তর বা বায়নানামা বা আমমোক্তারনামা নিবন্ধন করতে;
👉ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ ও বহাল রাখতে;
👉মুসলিম আইন অনুযায়ী, নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে লাইসেন্স প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে;
👉বাণিজ্য সংগঠন বা পেশাজীবী সংস্থার সদস্য পদ প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে হলে;
👉আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে;
👉পোস্ট অফিসে পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়ী হিসাব খোলার ক্ষেত্রে;
👉১০ লাখ টাকার বেশি ঋণ ব্যাংক হিসাব খোলা ও বহাল রাখতে হলে;
👉পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে।
আয়কর বিষয়ে কয়েকটি টিপস
👉১. গত বছরের রিটার্নের ফটোকপি সঙ্গে রাখুন।
👉২. প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের একটি তালিকা তৈরি করুন।
👉৩. প্রয়োজনীয় কাগজগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন তা নির্দিষ্ট সময়ের কি না। কাগজগুলো ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সময়ের হতে হবে।
👉৪. রিটার্নের একটি ফটোকপি করুন এবং গত বছরের রিটার্ন দেখে খসড়া রিটার্ন তৈরি করুন।
👉৫. প্রতিটি কাগজের দুটি করে কপি করুন।
👉৬. স্বাক্ষর করার আগে কমপক্ষে দুবার চেক করুন।
👉৭. যাঁরা নিজে রিটার্ন পূরণ না করে অন্যদের ওপর নির্ভরশীল, তাঁরা সুপ্রশিক্ষিত এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তি ছাড়া কোনোমতেই খালি বা সাদা রিটার্নে স্বাক্ষর করবেন না।
👉৮. স্বাক্ষর করার আগে গত বছরের সম্পদগুলো যথাযথভাবে যাচাই করুন এবং এ বছরে নতুন কোনো সম্পদ থাকলে তা ভালোভাবে পরীক্ষা করুন।
👉৯. মনে রাখবেন, আয়নার সামনে দাঁড়ালে আপনার চেহারা যেমন দেখা যাবে, তেমনি রিটার্নে আপনার সম্পদ ও আয়-ব্যয়ের সম্পূর্ণ চিত্র তুলে ধরতে হবে।
👉১০. স্বাক্ষর করার পর একটি সেট আপনার ট্যাক্স ফাইলে সংরক্ষণ করুন।
👉১১. রিটার্ন জমা হওয়ার পর রিটার্ন জমা দেওয়ার স্লিপ সংগ্রহ করুন।Stylish
This stack is stunning with easily customizable styling options! Set styles for individual states such as Initia, In-Progress, and Completed.
Simple
It's dead simple. Setup takes just a few minutes and you'll end up with something looking great~ Simply add individual articles with content of any type, and you're good to go!
👉 কিভাবে ঘরে বসে সহজে টাকা আয় করা যায় ?. 👉 অনলাইনে ইনকাম করার ১৫ টি উপায়
👉 লাভ বেশি শেয়ারবাজারে, তবে..!! যা জানা আবশ্যক . 👉 কিভাবে অনলাইন কাজগুলো শিখবো ?উপায় যেনে নিন !!.
-
Value Added Tax ( মূল্য সংযোজন কর ) Value Added Tax ( VAT ) মূল্য সংযোজন কর
ভ্যাট (VAT) কি?
ভ্যাট হচ্ছে Value Added Tax (VAT) যার বাংলা অর্থ মূল্য সংযোজন কর। যেসব কর মূল্যের সাথে যোগ করে পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয় তাকে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট (VAT) বলে। মূল্য সংযোজন কর একটি পরোক্ষ কর, যা ভোক্তা বা ক্রেতার নিকট হতে আদায় করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ একটি পণ্যের নির্দিষ্ট দামের পর অতিরিক্ত যে টাকা সংযোজন করা হয়, তাকেই মূল্য সংযোজন কর বা সংক্ষেপে ভ্যাট বলা হয়। একটি পণ্য বা সেবার বিভিন্ন ধাপে যে পরিমাণ মূল্য সংযোজন হয়, এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তার উপর এই কর দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে ভ্যাট পদ্ধতি চালু হয়।
উদাহরণস্বরুপ, একটি পণ্যের মূল্য যদি ১০০০ টাকা মূল্য দেওয়া থাকে, তাহলে আপনাকে ঐ পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ ভ্যাট শতাংশ হারে প্রদান করতে হবে। ধরুন, পণ্যটির ভ্যাট ১৫ শতাংশ তাহলে আপনাকে দিতে হবে ১০০০+১৫% বা ১১৫০ টাকা। আর এটাকেই মূল্য সংযোজন কর বা মূসক বলে।KEY TAKEAWAYS
👉 Value-added tax, or VAT, is added to a product at every point of the supply chain where value is added to it. 👉 Advocates of VATs claim that they raise government revenues without punishing the wealthy by charging them more through an income tax. Critics say that VATs place an undue economic burden on lower-income taxpayers. 👉 Although many industrialized countries have VAT, the United States is not one of them.
VAT Deduction at Source (VDS)
VAT deduction at source for the financial year 2022-23.
ভ্যাট কর্তনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান গুলোর নাম ২০২২
👉সরকার ও উহার কোনও মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা দপ্তর, আধা-সরকারী বা স্বায়ত্তশাসিত কোন সংস্থা 👉রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। 👉স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, পরিষদ বা অনুরূপ কোনও সংস্থা; 👉কোনো ব্যাংক 👉এনজিও বিষয়ক ব্যুরো বা সমাজ সেবা অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। 👉বীমা কোম্পানি বা অনুরূপ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। 👉মাধ্যমিক ও তদুর্ধ্ব পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 👉কোনো লিমিটেড কোম্পানি।
কর্তনকৃত ভ্যাট যথাসময়ে জমা না দিলে ?
👉 উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তন ও আদায় বিধিমালা, ২০২০ এর অনুচ্ছেদ ৮ এ বলা হয়েছে ভ্যাট জমা না দেওয়ার সুদ ও দন্ড প্রদান সংক্রান্ত বিধান। ৮। সুদ, দন্ড ইত্যাদি।-
👉(১) উৎসে কর কর্তনকারী সত্তা এবং সরবরাহকারী উৎসে কর কর্তন এবং সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের জন্য যৌথ ও পৃথকভাবে দায়ী থাকিবে।(২) উৎসে কর্তনের দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও মূসক কর্তন করা না হইলে উক্ত অর্থ ষান্মাসিক ২% সুদসহ তাহার নিকট হইতে এমণভাবে আদায় করা হইবে, যেন তিনি পণ্য বা সেবা সরবরাহকারী।
👉উৎসে কর্তন করিবার পর সরকারি কোষাগারে যথাসময়ে জমা প্রদান করা না হইলে আইনের ধারা ৮৫ এর উপ-ধারা (১ক) মোতাবেক উৎসে কর্তনকারী ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট মূসক কমিশনার ২৫,০০০(পচিঁশ) হাজার টাকা মাত্র) ব্যক্তিগত জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন। উৎসে মূসক কর্তন ও জমাদানে ব্যর্থতার জন্য পন্য বা সেবা সরবরাহকারী এবং গ্রহণকারী উভয়ে সমানভাবে দায়ী হইবেন। কর্তনকৃত ভ্যাট যথাসময়ে জমা না দিলে ২৫,০০০ টাকা ব্যক্তিগত জরিমানা!রাব্বানা তাকাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আন্তাস
উচ্চারণ- রাব্বানা তাকাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আন্তাস সামিউল আলীম
অনুবাদঃ হে আল্লাহ! আমাদের এই কাজটি কবুল করুণ। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা এবং সর্বজ্ঞ।
ফযিলত
১। কাবা শরীফের নির্মাণ কাজ শেষ করার পর হযরত ইবরাহীম (আঃ) এবং ইসমাইল (আঃ) এই দোয়াটি পড়েছিলেন।
২। এই দোয়ার মাধ্যমে হযরত ইবরাহীম (আঃ) এই শিক্ষাই দিয়েছিলেন যে মানুষের শুধু কোন মহৎ কাজ শেষ করেই তৃপ্ত না হয়ে কিংবা গর্ব না করে, বরং ঐ কাজটি কবুলের জন্যে আল্লাহ্র কাছে দোয়া করতে হবে।
[ সূরা আল-বাক্বারাহ, আয়াতঃ ১২৭ ]রাব্বানা লা তুখিজনা ইন্না সিনা
উচ্চারণ– রাব্বানা লা তুআখিজনা ইন্না সিনা আও আখ ত্বা’না।
রাব্বানা ওয়ালা তাহমিল্ আ’লাইনা ইসরান কামা হামাল্তাহু আ’লাল্লাযিনা মিন্ ক্বাবলিনা। রাব্বানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মা-লা- ত্বা ক্বাতালানা বিহ্ । ওয়া’ফু আন্না, ওয়াগ্বফির লানা, ওয়ার্ হামনা, আন্তা মাওলা-না ফানসুরনা আ’লাল্ ক্বাওমিল্ কাফিরিন।
অনুবাদঃ হে আমাদের রব, ভুল বা ত্রুটির জন্য পাকড়াও করবেন না; হে রব! পুর্ববর্তীদের ন্যায় আমাদের উপর বোঝা দেবেন না; হে আমাদের রব! আমাদের ক্ষমতার বাইরে কোন গুরুভার আমাদের উপর দেবেন না।আমাদের পাপ মোচন করুন, ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনীই আমাদের একমাত্র অভিভাবক, কাফেরদের উপর আমাদেরকে বিজয়ী করুন।
(সুরা বাক্বারা, আয়াত -২৮৬)রাব্বানা ওয়ালা তাহ-মিল আলাইনা
উচ্চারণ- রাব্বানা ওয়ালা তাহ-মিল আলাইনা ইসরান কামা হামাল-তাহু আলাল-লাযীনা মিন কাবলিনা
অনুবাদঃ হে আল্লাহ! আমাদের উপর এমন গুরু দায়িত্ব চাপিয়ে দিওনা, যেমনটি আমাদের পূর্বগণের উপরে দিয়েছ।
[ সূরা আল-বাক্বারাহ, আয়াতঃ ২৮৬ ]
ফযিলত
১। সূরা আল-বাকারার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ শেষ দুই আয়াত এর দ্বিতীয় আয়াত।
২। আল্লাহ্র রাসুল আল্লাহ্ পক্ষ থেকে তাঁর কাছে যা পাঠানো হয়েছে তাতে বিশ্বাস করতেন এবং মুমিনগণও তাই করতেন। সকল মুমিনই আল্লাহ্, আল্লাহ্র রাসুল, ফেরেসেতা, আসমানি কিতাব এবং প্রেরিত রাসুলদেরকে বিশ্বাস করতেন। তাঁরা বলেন, আল্লাহ্র প্রেরিত রাসুলদের মধে আমরা কোন ভেদাভেদ করিনা। আমরা শুনি এবং সেই অনুযায়ী কাজ করি। এ জন্যেই আমরা যদি এসব কোন বিষয়ে ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তাঁর জন্যে আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চেয়ে দোয়া করতে হবে।রাব্বানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মা লা তাকাতা
উচ্চারণ- রাব্বানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মা লা তাকাতা লানা বিহি ওয়া-ফু আন্না ওয়াঘফির লানা ওয়াইরহামনা আন্তা মাওলানা ফানসুরনা আলাল-কওমিল কাফিরীন
অনুবাদঃ হে রাব্বুল আলামিন! আমাদের উপর এমন গুরু দায়িত্ব চাপিয়ে দিওনা যার ভার আমরা সইতে পারবনা। আমাদেরকে মাফ করুন এবং আমাদের ক্ষমা কবুল করুন। আমাদেরকে দয়া করুন। তুমিই আমাদের প্রভু এবং আমাদেরকে কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জয়ী করে তোল।
[ সূরা আল-বাক্বারাহ, আয়াতঃ ২৮৬ ]
ফযিলত
১। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, এই দোয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) করেছেন এবং তা কবুল হয়েছে। (তাফসীর মাযহারি)।
২। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদা আমরা জিবরাঈল (আঃ) সহ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে বসেছিলাম। হঠাৎ একটা দরজা খোলার শব্দ শুনতে ফেলাম। জিবরাইল (আঃ) সাথে সাথে তাঁর দৃষ্টি দিয়ে দেখলেন এবং বললেন যে দরজাটি এখন খুলল তা আসলে সাধারনত খুলেনা।
বর্ণনাকারী বলেন, সাথে সাথে নবীর কাছে একজন ফেরেশতা এসে বলেন, ''আপনাকে জান্নাতের দুই ধরনের আলোর সুসংবাদ দিতে আসলাম যা অতীতের কোন রাসুলকে দেয়া হয়নি। প্রথমটি হচ্ছে সূরা ফাতিহা এবং পরেরটি সূরা বাকারাহ এর শেষ আয়াত। আপনি যদি এর মধ্য থেকে একটি অক্ষরও পড়েন, আপনি জান্নাতের সেই আলো ভোগ করতে পারবেন। (সহিহ মুসলিম)
৩। আবু সা'ইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল্লুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন সূরা বাকারাহ এর শেষ দুই আয়াত সমগ্র রাতের জন্যেই যথেষ্ট।রাব্বানা ইন্নাকা জামিউন নাসি
উচ্চারনঃ রাব্বানা ইন্নাকা জামিয়ুননাসি লিয়াওমিল লারাইবা ফিইহি ইন্না আল্লাহা লা ইউখলিফুল মিয়াদ
অনুবাদঃ হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি মানুষকে একদিন অবশ্যই একত্রিত করবেঃ এতে কোনই সন্দেহ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর ওয়াদার অন্যথা করেন না।
[সুরা ইমরান ৯]Arrive in Style
Upgrade your look this season with the classic design and vintage feel of Polaroid apparel.
-
TAX frequently asked question ( FAQ ) Income Tax FAQ
আয়কর কি?আয়কর হচ্ছে ব্যক্তি বা সত্ত্বার আয় বা লভ্যাংশরে উপর প্রদেয় কর । আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর আওতায় কর বলতে অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রদেয় আয়কর, অতিরিক্ত কর, বাড়তি লাভের কর, এতদসংক্রান্ত জরিমানা, সুদ বা আদায় যোগ্য অর্থকে বুঝায়। অন্য ভাবে বলা যায় যে, কর হচ্ছে রাষ্ট্রের সকল জনসাধারনের স্বার্থে রাষ্ট্রের ব্যয় নির্বাহের জন্য সরকারকে প্রদত্ত বাধ্যতামূলক অর্থ।
অগ্রিম আয়কর (AIT)এক ধরনের কর যা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আমদানি করা পণ্যের উপর অর্পিত হয়। অনিবন্ধিত আমদানিকারকদের করের আওতায় আনতে ২০০৭ এ এই কর ব্যবস্তা চালু করা হয়। উল্লেখ্য যে, Return জমা দেয়ার সময় এআইটি একই ভাবে withholding tax এর মতই গণ্য হবে।
কোন ব্যক্তি আয়কর প্রদানের জন্য উপযুক্ত?উপযুক্তবাক্তি-
অর্থ আইন ২০১৫ এর আওতায় প্রত্যেক ব্যক্তি করদাতা (অনিবাসী বাংলাদেশী সহ), হিন্দু যৌথ পরিবার, অংশীদারি ফার্ম, ব্যক্তিসংঘ এবং আইনের দ্বারা সৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তির আয়ের সীমা ৩,০০,০০০/= টাকার উপরে হলে আয়কর প্রদানের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেন।
তবে,
(১) মহিলা এবং ৬৫ বৎসর বা তদূর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তি করদাতা আয় ৩,৫০,০০০/= টাকা এর উপরে হলে তিনি আয়কর প্রদানের উপযুক্ত হবেন।
(২) প্রতিবন্ধি করদাতা আয় ৪,৫০,০০০/= টাকা এর উপরে হলে তিনি আয়কর প্রদানের উপযুক্ত হবেন।
(৩) গেজেট ভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় সীমা ৪,৭৫,০০০/= টাকা এর উপরে হলে তিনি আয়কর প্রদানের উপযুক্ত হবেন।আয়করের জন্য আয়ের খাত কি কি?আয়কর অধ্যাদেশের ধারা-২০ মোতাবেক আয়কর ধার্য্যরে জন্য এবং মোট আয় নির্ণয়ের জন্য সকল আয়কে নিম্নেবর্ণিত খাতে বিভক্ত করে হিসাবে করতে হবে, যথাঃ
(১) বেতন (২) নিরাপত্তা (সিকিউরিটির) উপর সুদ
(৩) গৃহ সম্পত্তি হতে আয়
(৪) কৃষি আয়
(৫) ব্যবসা বা পেশা হতে আয়
(৬) ফার্মের আয়ের অংশ
(৭) অন্যান্য উৎস হতে আয় (আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪এর ৩৩ ধারা অনুযায়ী) ঃ বেতন, নিরাপত্তা জামানতের উপর সুদ, গৃহ স¤পত্তির আয়, কৃষি আয়, ব্যবসা বা পেশার আয়, মূলধনী মুনাফা এসকল আয়ের খাত ছাড়া অন্য যাবতীয় আয় অন্যান্য সূত্রের আয় হিসাবে বিবেচিত হবে। ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার উপর সুদ, নগদ লভ্যাংশ, সঞ্চয়পত্রের সুদ বা মুনাফা, লটারী, যন্ত্রপাতি ভাড়া দিয়ে আয়, বক্তৃতা বা লেখার সম্মানী ইত্যাদি অন্যান্য সূত্রের আয়ের কয়েকটি উদাহরণ।ন্যূনতম কর কি?অর্থ আইন ২০১৫ মোতাবেক সাধারণভাবে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩,০০,০০০/= করমুক্ত আয়ের সীমা অতিক্রম করলে করদাতাকে এলাকা ভেদে ন্যূনতম যে কর পরিশোধ করতে হয় তাকে ন্যূনতম কর বলে। ন্যূনতম করের পরিমান যথাক্রমে ৫০০০/০০ (ঢাকা ও চট্রগ্রাম সিটিকর্পোরেশন এরিয়া), ৪০০০/০০(অন্য সিটিকর্পোরেশন এরিয়া), ৩০০০/০০(সিটিকর্পোরেশন এর বাইরে অন্য যেকোনো এরিয়া)
কোন সময়ে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়?কোম্পানী ব্যতীত অন্যান্য সকল শ্রেণীর করদাতার ক্ষেত্রে প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর এই ৩ মাস সময়সীমার মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা সম্বব না হলে একজন করদাতা রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য উপযুক্ত কারণ উল্লেখ করে উপ কর কমিশনারের কাছে সময়ের আবেদন করতে পারেন। সময় মঞ্জুর হলে বর্ধিত সময়ের মধ্যে সাধারণ অথবা সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতির আওতায় রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব।
সরকার বার বার রিটার্ন জমার সময় বাড়ানোর সংস্কৃতি থেকে ২০১৬ সালে বেরিয়ে আসার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করে ৩০ নভেম্বর আয়কর দিবসে রিটার্ন দাখিল শেষ দিন নির্দিষ্ট করা হয়। এ নিয়ে সে বছরই সংসদে আইন পাস হয়।করবর্ষ কি?সাধারণতঃ আয় বর্ষের পরবর্তী বর্ষকে কর বর্ষ বলা হয়। যেমন, ১লা জুলাই ২০১৪ হতে ৩০ শে জুন ২০১৫ সময়কাল পর্যন্ত উপার্জিত আয়ের আয়বর্ষ হইবে ২০১৪-২০১৫ এবং করবর্ষ হইবে পরবর্তী বর্ষ অর্থাৎ ২০১৫-২০১৬ ।
আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর আওতায় কি কি ধরণের কর আরোপ করা হয়?আয়কর অত্যাদেশ ১৯৮৪ এর আওতার দুই ধরনরে কর আরোপ করা হয়
১) ব্যক্তিগত আয় কর
২) কর্পোরেট আয়করবাবার মৃতুর পর তার সম্পত্তি সন্তানের হিসাবে কিভাবে অর্ন্তভুক্ত করবে?বাবার মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি সন্তানদের মধ্যে উত্তরাধিকার সূত্রে বন্টন হবে। এ ক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তি উত্তরাধিকারী দের সম্পত্তি হিসাবে অন্তরভূ্ক্তি করিতে প্রমানপত্র হিসাবে বন্টন নামা দলিল বা দানপত্র দলিল বা অন্য কোন যৌক্তিক প্রমান পত্র থাকতে হবে। যেহেতু উক্ত সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত তাই এই সম্পদের উপর কোন কর ধার্য হইবে না।
এ ক্ষেত্রে উপকর কমিশনার সর্বশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন।বাবার মৃতুর পর তার টিআইএন বাতিল করার প্রয়োজনীয়তা আছে কি?বাবাবার মৃত্যুর পর টিআইএন বাতিল করার প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করে তার উত্তরাধিকারীদের উপর। যদি এমন কোন ব্যবসা বাবার নামে থাকে যা টিআইএন বাতিল করিলে ব্যবসা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র বাতিল করে নতুন করে করতে হয় কিংবা বড় ধরনের জটিলতা তৈরি হয় সে ক্ষেত্রে টিআইএন বাতিল না করে উত্তরাধিকারীরা প্রতিবছর বাৎসরিক রিটার্ন জমা দিয়ে Assessment করাতে পারবেন।
আর যদি টিআইএন এর কোন প্রয়োজনীয়তা না থাকে তাহলে উত্তরাধিকারীরা উপকর কমিশনার বরাবর টিআইএন বাতিলের জন্য আবেদন করিতে পারেন। উপকর কমিশনার Inspection বা Hearing এর মাধ্যমে অথবা আবেদনের উপর ভিত্তি করে আপনার টিআইএন এর কার্যক্রম স্থগিত বা বাতিল করতে পারেন।আমি নির্ধারিত সময়ে আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে কী ধরণের ব্যবস্থা গৃহীত হবে? অথবা আয়কর রিটার্ন জমা না দেয়ার শাস্তি কি?আইন অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন জমা না দিলে জরিমানা দিতে হয়। তবে জরিমানা এড়াতে সময় বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে আবেদন করলে তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।
নির্ধারিত সময়ে আয়কর রিটার্ন দাখিল না করিলে, সংশ্লিষ্ট করদাতাকে আত্মাপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়ার লক্ষ্যে আবশ্যিকভাবে ধারা-১৩০ মোতাবেক নোটিশ প্রদান সাপেক্ষে খেলাপী করদাতার সর্বশেষ আরোপিত আয়করের ১০% অথবা কমপক্ষে ১,০০০.০০ টাকা ও পরবর্তী প্রতি খেলাপী দিবসের জন্য ৫০.০০ টাকা, এ দু’টি মধ্যে যেটি বেশী, উপ-কর কমিশনার কর্তৃক তাহা জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।
শর্ত থাকে যে-
(১) উপ ধারা-124(1) অনুযায়ী কোন নতুন ব্যক্তি-করদাতা, যাহার আয়ের উপর ইতোপূর্বে কখনো করারোপিত হয় নাই, তাঁহার ক্ষেত্রে আরোপযোগ্য মোট জরিমানা পরিমান ৫,০০০/- টকার বেশি হইবে না;
(২) উপ ধারা -124(1) অনুযায়ী কোন নতুন ব্যক্তি-করদাতা, যাহার আয়ের উপর ইতোপূর্বে করারোপিত হইয়াছে এমন কোন পুরোনো ব্যক্তি-করদাতার ক্ষেত্রে এইরূপ জরিমানার পরিমাণ তাঁহার সর্বশেষ নিরূপিত আয়ের উপর ধার্যকৃত করের ৫০% বা ১,০০০/- টাকা, দু’টির মধ্যে যেটি বেশি, তাহা জরিমানার আরোপযোগ্য হইবে|সঞ্চয়পত্র, ব্যাংকে আমানত থাকলে কীভাবে রিটার্ন দেবেন ?সঞ্চয়পত্র (১) যে অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র কেনা হয়, সেই বছরই নির্দিষ্ট হারে বিনিয়োগের রেয়াত সুবিধা নিতে হবে। কেবল সংশ্লিষ্ট বছরেই আয়কর রেয়াত পাওয়া যাবে। অন্য কোনো বছর রেয়াত পাওয়া যাবে না (২) সঞ্চয়পত্র থেকে প্রাপ্ত সুদ চূড়ান্ত কর দায়; অর্থাৎ সঞ্চয়পত্র থেকে যে সুদ পাওয়া যায় এবং যে পরিমাণ টাকা উৎসে আয়কর হিসেবে কেটে রাখা হয়, সেটাই চূড়ান্ত কর দায়। ধরা যাক, মোহাম্মদ জাফর সঞ্চয়পত্র থেকে ৫ লাখ টাকা সুদ পেয়েছেন। এ ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে উৎসে আয়কর হিসেবে তাঁর কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা কেটে রাখা হয়। ফলে তিনি প্রকৃতপক্ষে সুদ পেয়েছেন পৌনে ৫ লাখ টাকা। ফলে জাফরকে ২৫ হাজার টাকার বাইরে সঞ্চয়পত্র থেকে প্রাপ্ত সুদের জন্য আর কোনো আয়কর দিতে হবে না। (৩) সঞ্চয়পত্র কেনার ফটোকপি, আয়কর রিটার্নের সঙ্গে জমা দিতে হয়। (৪) সঞ্চয়পত্র ভাঙানো, প্রাপ্ত সুদ এবং উৎসে আয়কর কেটে রাখার প্রমাণপত্র বা সার্টিফিকেট রিটার্নের সঙ্গে জমা দিতে হবে। স্থায়ী ও মেয়াদি আমানত আয়কর নথিতে স্থায়ী আমানত-সংক্রান্ত (এফডিআর) বিষয়ে বেশ কিছু মিশ্র ধারণা আছে। অনেকেই বিনিয়োগ হিসেবে স্থায়ী আমানতকে বিবেচনা করেন। আবার সম্পদ বিবরণীতে দেখালেও প্রতিবছরের সুদ বা মুনাফা হিসাবভুক্ত করেন না। এ ক্ষেত্রে প্রতিবছর সঞ্চয়ী ব্যাংক হিসাবের বিবরণীর মতো স্থায়ী আমানতের বিবরণীও তুলতে হবে। (১) যে বছর স্থায়ী আমানত বা এফডিআর খোলা হবে, সেই বছরই তা সম্পদ বিবরণীতে দেখাতে হবে। (২) কিছু কিছু স্থায়ী আমানত থেকে প্রতিবছর সুদ বা মুনাফা উত্তোলন করা যায়। এই সুদ বা মুনাফা আয়কর ফাইলে অন্যান্য উৎস থেকে আয় হিসেবে দেখাতে হবে। (৩) কিছু স্থায়ী আমানতের মেয়াদ শেষে সুদ প্রদান করা হয়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। মেয়াদ শেষে মুনাফা প্রদান করলে যে বছর মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে, সংশ্লিষ্ট কর বছরেই তার সনদ আয়কর নথিতে যথাযথভাবে দেখাতে হবে। ডিপিএস ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা রাখাকেই ডিপিএস হিসেবে অভিহিত করা হয়। কিছু ব্যাংক মাসিক, ত্রৈমাসিক বা ছয় মাস অন্তর বা বছর ভিত্তিতে সুদ দেয়। কিছু ব্যাংক সুদ বা মুনাফার ওপর উৎসে আয়কর কেটে রাখে। আবার কিছু ব্যাংক বছর বছর উৎসে কর না কেটে মেয়াদ শেষে উৎসে আয়কর কেটে রাখে। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় লক্ষÿরাখতে হবে। (১) বার্ষিক ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ সুবিধা পাওয়া যাবে। (২) যদি প্রতিবছর মুনাফা বা সুদের ওপর উৎসে আয়কর কেটে রাখে, তাহলে (গ্রস) সুদ বা মুনাফা অন্যান্য উৎসে আয় হিসেবে দেখাতে হবে। বছর শেষে স্থিতি সম্পদ বিবরণীতেও তা দেখাতে হবে। (৩) মুনাফা ব্যাংক বিবরণীতে যুক্ত হচ্ছে, কিন্তু উৎসে আয়কর কেটে রাখছে না। এ ক্ষেত্রেÿযে বছর মেয়াদপূর্তি বা ভাঙানো হবে, সে বছর পুঞ্জীভূত মুনাফা অন্যান্য উৎসের আয় হিসেবে দেখাতে হবে। (৪) প্রতিবছরের ব্যাংক বিবরণী নিতে হবে এবং ভাঙানোর সময় সনদ নিতে ভুল করা যাবে না। ব্যাংক হিসাব ব্যাংকে যে লেনদেন হবে, তা অবশ্যই আপনার আয়কর নথিতে প্রদর্শিত আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। অন্য কোনো প্রকার লেনদেন হলে তার যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা থাকতে হবে। মোট ব্যাংক সুদ বা মুনাফা অন্যান্য উৎসের আয় হিসেবে রিটার্নে দেখাতে হবে। সে ক্ষেত্রে উৎসে কর প্রদেয় করের সঙ্গে সমন্বয় হবে। অন্যান্য সিটি করপোরেশনের মধ্যে যাঁদের গৃহ-সম্পত্তি নেই, বিনিয়োগ করেননি এবং ৪০ লাখÿটাকার কম যাঁদের মোট পরিসম্পদ, তাঁরা ১ পাতার ফরম ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যরা সুবিধাজনক ফরম ব্যবহার করবেন বা অনলাইনে আয়কর জমা দিতে পারবেন। ৩০ নভেম্বর ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমার শেষ দিন। এ সময়ের মধ্যে যাঁদের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া খুবই কষ্টকর, তাঁরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত ফরমে সময় চেয়ে আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ২% হারে বিলম্ব সুদ আরোপযোগ্য হবে। উপকর কমিশনার দুই মাস সময় এবং যুগ্ম/অতিরিক্ত কর কমিশনার পরবর্তী সময়ে আরও দুই মাস সময় মঞ্জুর করতে পারবেন। তবে সময় বাড়ানোর জন্য করদাতাকে যুক্তিসংগত কারণ দেখাতে হবে। যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হবেন, তাঁদের জরিমানা গুনতে হবে।
এক্সেলে যেভাবে রিটার্ণ ফাইল অটো রেডি করবেনআয়কর রিটার্ণ এক্সেল শীট পূরণ নির্দেশনা ২০২২। কোন শীটে কোন তথ্য এন্ট্রি করতে হবে? 1. Part-1 (Basic Information) – এখানে আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন অর্থ বছর, টিআইএন নম্বর, নাম, ঠিকানা ও যোগাযোগের তথ্য এন্ট্রি করবেন। 2. Part-II Income and Tax – রো ২৬ নম্বরে গৃহ সম্পত্তি হতে আয় সিডিউল ২৪ অনুসারে লিখবেন। Particulars of Total Income এ আর কিছু পরিবর্তন করবেন না। বাকি সব অটো পরিবর্তন হয়ে যাবে কারণ অন্য শীটগুলোর সাথে লিংক করা আছে। রো ৪৫ অর্থাৎ Amount paid with return (Attach Prof) অনুসারে লিখবেন। Tax Computation and Payment এর আর কোন তথ্য পরিবর্তন করবেন না। বাকী সব অটো পরিবর্তন হবে। মোট কথা এই সীটে সর্বমোট দুটি তথ্যই পরিবর্তন করতে পারবেন। 3. Part-III Inst.Encl.Verf.- ৫৪ নম্বর রোতে কি কি এটাচমেন্ট দিয়েছে তা ম্যানুয়ালী লিখবেন। অনেকগুলোই কমন পড়ে যাবে আশা করছি। আর কোন পরিবর্তন করতে হবে না। সব লিংক করা আছে অটো পরিবর্তন হবে। 4. Acknowledgement – এই পেইজে কোন পরিবর্তন করতে হবে না। অটো সব পরিবর্তন হয়ে যাবে। 5. IT-10B2016(Page-1) – মোটর কার থাকলে ম্যানুয়ালি এন্ট্রি করবেন। আর কোন তথ্য পরিবর্তন করতে হবে না। 6. IT-10B2016(Page-2) – ইয়োলে মার্ক করা সেল এবং ১৩ সি Provident Fund and others Fund ম্যানুয়ালি এন্ট্রি করবেন। ১৫ সিতে Land Mortgauge এন্ট্রি করবেন। ১৭ রোতে Net Wealth Last Year তথ্য এন্ট্রি করতে হবে। আর কোন তথ্য পরিবর্তন করতে হবে না। 7. Schedule 25 – সম্পদ দায় ব্যয় Value at the start of income Year and Increased/decreased during the income Year তথ্য এন্ট্রি দিতে হবে। আর কোন তথ্য এন্ট্রি করত হবে না। 8. IT-10BB2016 – পারিবারিক ব্যয়-রো ৫, ৭, ৮, ৯ Sub Amount মেন্যুতে পরিবর্তন করুন। Amount এ পরিবর্তন করতে পারবেন না। মোট কথা যেখানে সূত্র আছে সেখানে পরিবর্তন হবে না। Payment of Tax at source সাব এন্ট্রি করতে হবে। Amount এ কোন পরিবর্তন হবে না। আর কোন পরিবর্তন নয়। 9. Schedule 24A – বেতন ভাতাদি খাত হতে আয় এখানে আসবে। বেসিক পে (10-22) Row তে কিছু লিখবেন না। TAx Exemted (b) and Taxable কলামেও কোন পরিবর্তন করতে যাবেন না। Interest Acrued on recongized Providend Fund Amount এ পরিবর্তন হবে। আর কোন পরিবর্তন হবে না। 10. Schedule 24D – দায় এবং রিবেট তথ্য এখানে আসবে এবং বিনিয়োগের উপর করমুক্তি এখানে বসবে। ৩-৫ Row তে শুধু তথ্য পরিবতৃন করতে অবশ্যই ডকুমেন্ট অনুসারে যা ২০২১-২২ অর্থ বছরে বিনিয়োগ হয়েছে। প্রমানক অনুসারে। আর কোন পরিবর্তন হবে না। 11. Insurance – ইস্যুরেন্স থাকলে এখানে দেখাবেন। যদি না থাকে জিরো বসবে। 12. Income Statement – আয়ের বিবরণী এখানে বসে। গৃহস্থলি আয় ম্যানুয়ালি বসাবেন। আর কোথাও পরিবর্তন করতে যাবেন না। সব অটো পরিবর্তন হবে। প্রমানকের সাথে আপনিও মিলিয়ে দেখবেন। 13. Agriculture Income – রো ১ এর প্রথম তিনটি সেল এবং Price (Per Mound) সেল পরিবর্তন করবেন। আর কোন পরিবর্তন করবেন না। 14. Salary Statement – আইবাস++ হতে বেতন বিবরণী ডাউনলোড করে নিবেন অথবা ব্যাংক স্টেটমেন্ট অনুসারে Basic Pay থেকে Convenyances পর্যন্ত এন্ট্রি করবেন আর কোন তথ্য এন্ট্রি করবেন না। 15. Tax Deducted at Source – ট্যাক্স অগ্রিম পরিশোধ করে থাকলে তার তথ্য প্রমানক এখানে দেখাবে। ব্যাংক সুদের উপর ট্যাক্স কেটে নেয় সেটি দেখাবেন Balance Amount and Interest কলামে। সঞ্চয়পত্র তথ্য ও সুদ দেখাবেন। ডিপিএস দেখাবেন এবং সাথে মুনাফা দেখাবেন। 16. Net Asset Calculation – সকল তথ্য সঠিক ভাবে এন্ট্রি দিলেই Tax Paid, আয় ব্যয় ইত্যাদি দেখাবে। CTRL-P ক্লিক করে সব পেই প্রিন্ট করে ফর্মের মত সাজাবেন ব্যাস কাজ শেষ।
-
VAT FAQ
মূসক হার কত ধরনের?
ভ্যাট আইন ২০১২ এর ধারা ১৫ এর দফা ৩ অনুযায়ী করযোগ্য সরবরাহ বা করযোগ্য আমদানির ক্ষেত্রে মূসক হার হবে ১৫%। তবে মানুষের দৈনন্দিক ব্যবহার্য আবশ্যকীয় এবং সম্ভাবনাময় পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছে আবার কিছু পন্য ও সেবায় হ্রাসকৃত হারে মূসক নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই মূসকরে আদর্শ হার ছাড়াও আরও কয়েকটি মূসক হার রয়েছে।
আদর্শ মূসক হার
ভ্যাট আইন ২০১২ অনুযায়ী আদর্শ মূসক হার ১৫%
হ্রাসকৃত মূসক হার
তৃতীয় তফসিলে উল্লেখিত পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে মূসক হার ১৫% এর কমে নির্ধারণ করা হয়েছে, যাকে হ্রাসকৃত মূসক হার বলে।
বর্তমানে হ্রাসকৃত মূসক হার সমূহ হলো:
মূসক হার কয়েকটি হ্রাসকৃত পণ্য ও সেবার উদাহরণ
২% ভবন নির্মাণ সংস্থা (১ থেকে ১৬০০ বর্গফুট পর্যন্ত), ভবন নির্মাণ সংস্থা (পুনঃরেজিস্ট্রেশন)
৫% মেশিনে প্রস্তুত বিস্কুট, এলপি গ্যাস, জি আই ওয়্যার, অনলাইনে পণ্য বিক্রয়
৭.৫% নন এসি হোটেল ও রেস্তোরাঁ, যোগানদার (Procurement provider),সেল্ফ কপি পেপার
১০% বোর্ড সভায় যোগদানকারী, সিকিউরিটি সার্ভিস, ছাপাখানা,ভ্যাট চালানপত্র (মূসক-৬.৩)
ভ্যাট চালানপত্রের অর্থ হলো ক্রয়ের সপক্ষে রসিদ। ভ্যাটযোগ্য কোনো পণ্য বিক্রি বা সেবা প্রদান করতে হলে প্রতিটি বিক্রির সমর্থনে ভ্যাট চালানপত্র ইস্যু করতে হয়। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এর ধারা ৫১ অনুযায়ী মূসক ৬.৩ ফরমে পণ্য/সেবা বিক্রয়ের সমর্থনে পণ্য/সেবার পরিমাণ, মূল্য ও মূসকের পরিমাণ উল্লেখ করে যে রশিদ বা ক্যাশমেমো দেয়, সেটিই হলো ভ্যাট চালানপত্র । মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা, ২০১৬ চালানপত্রের একটি ফরম্যাট রয়েছে, যাকে মূসক-৬.৩ বলে। প্রতিটি নিবন্ধিত করযোগ্য সরবরাহের উপর ভ্যাট প্রদেয় হওয়ার তারিখে বা তার আগে সরবরাহকারীকে ভ্যাট চালান ইস্যু করতে হয়। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা, ২০১৬ এর অধীনে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা অনুযায়ী ভ্যাট চালানপত্র (মূসক-৬.৩) তে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হয় ।
Where does it come from?
to popular belief, Lorem Ipsum is not simply random text. It has roots in a piece of classical Latin literature from 45 BC, making it over 2000 years old. Richard McClintock, a Latin professor at Hampden-Sydney College in Virginia, looked up one of the more obscure Latin words, consectetur, from a Lorem Ipsum passage, and going through the cites of the word in classical literature, discovered the undoubtable source. Lorem Ipsum comes from sections 1.10.32 and 1.10.33 of "de Finibus Bonorum et Malorum" (The Extremes of Good and Evil) by Cicero, written in 45 BC. This book is a treatise on the theory of ethics, very popular during the Renaissance. The first line of Lorem Ipsum, "Lorem ipsum dolor sit amet..", comes from a line in section 1.10.32. Where does it come from?
to popular belief, Lorem Ipsum is not simply random text. It has roots in a piece of classical Latin literature from 45 BC, making it over 2000 years old. Richard McClintock, a Latin professor at Hampden-Sydney College in Virginia, looked up one of the more obscure Latin words, consectetur, from a Lorem Ipsum passage, and going through the cites of the word in classical literature, discovered the undoubtable source. Lorem Ipsum comes from sections 1.10.32 and 1.10.33 of "de Finibus Bonorum et Malorum" (The Extremes of Good and Evil) by Cicero, written in 45 BC. This book is a treatise on the theory of ethics, very popular during the Renaissance. The first line of Lorem Ipsum, "Lorem ipsum dolor sit amet..", comes from a line in section 1.10.32. Where does it come from?
to popular belief, Lorem Ipsum is not simply random text. It has roots in a piece of classical Latin literature from 45 BC, making it over 2000 years old. Richard McClintock, a Latin professor at Hampden-Sydney College in Virginia, looked up one of the more obscure Latin words, consectetur, from a Lorem Ipsum passage, and going through the cites of the word in classical literature, discovered the undoubtable source. Lorem Ipsum comes from sections 1.10.32 and 1.10.33 of "de Finibus Bonorum et Malorum" (The Extremes of Good and Evil) by Cicero, written in 45 BC. This book is a treatise on the theory of ethics, very popular during the Renaissance. The first line of Lorem Ipsum, "Lorem ipsum dolor sit amet..", comes from a line in section 1.10.32. Where does it come from?
to popular belief, Lorem Ipsum is not simply random text. It has roots in a piece of classical Latin literature from 45 BC, making it over 2000 years old. Richard McClintock, a Latin professor at Hampden-Sydney College in Virginia, looked up one of the more obscure Latin words, consectetur, from a Lorem Ipsum passage, and going through the cites of the word in classical literature, discovered the undoubtable source. Lorem Ipsum comes from sections 1.10.32 and 1.10.33 of "de Finibus Bonorum et Malorum" (The Extremes of Good and Evil) by Cicero, written in 45 BC. This book is a treatise on the theory of ethics, very popular during the Renaissance. The first line of Lorem Ipsum, "Lorem ipsum dolor sit amet..", comes from a line in section 1.10.32.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন