ইসলামে হাদিস ( /ˈhædɪθ/[১] বা /hɑːˈdiːθ/ [২] আরবি: حديث , ḥadīṯ, আরবি উচ্চারণ: [ħadiːθ], pl. aḥādīth, أحاديث , ʾaḥādīṯ,[৩][ক] আরবি উচ্চারণ: [ʔaħadiːθ], আক্ষরিক অর্থে "কথা" বা "বক্তৃতা") বা আসার (আরবি: أثر, ʾAṯar,
আক্ষরিক অর্থে "ঐতিহ্য")[৪] বলতে বোঝায় ইসলামি নবি মুহাম্মদের যে কথা, কাজ ও নীরব অনুমোদন বর্ণনাকারীদের শৃঙ্খলের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে বলে অধিকাংশ মুসলিম বিশ্বাস করে। অন্য কথায়, মুহাম্মাদ কি বলেছিলেন এবং কি করেছিলেন সে সম্পর্কে হাদিসটি প্রেরণ করা হয়েছে।
হাদিস পবিত্র আল-কুরআনের ব্যাখ্যা সরূপ,
"তাড়াতাড়ি শিখে নেয়ার জন্যে আপনি দ্রুত ওহী আবৃত্তি করবেন না। এর সংরক্ষণ ও পাঠ আমাদের দায়িত্ব। অতঃপর আমি যখন তা পাঠ করি, তখন আপনি সেই পাঠের অনুসরণ করুন। এরপর তা ব্যাখ্যা করা আমাদের দায়িত্ব।[৫]
সূরা আল-ক্বিয়ামাহ, আয়াত: ১৬-১৯ "[৬]
আরো খবর
- ➤ মুহূর্তেই খুশখুশে কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়
- ➤ তোমরা সেভাবে নামায পড়ো, যেভাবে আমাকে পড়তে দেখেছো। ( রাসূল সা. এর নামাজ আদায়ের পদ্ধতি )
- ➤ ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দোয়া ( সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা উচ্চারণ সহ )
- ➤ ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া | যে দোয়া পড়লে উহুদ পাহাড় সমান ঋণ থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ
এমাদ হামদেহ যেমন উল্লেখ করেছেন,[৭] প্রতিটি প্রতিবেদনই মুহাম্মদ সম্পর্কে তথ্যের একটি অংশ; যখন সংগ্রহ করা হয়, তখন এই তথ্য একটি বড় চিত্রের প্রতি নির্দেশ করে যাকে সুন্নাহ বলা হয়।
হাদিসকে ইসলামি সভ্যতার "মেরুদন্ড" বলা হয়েছে,[৮] এবং ইসলামের মধ্যে ধর্মীয় আইন এবং নৈতিক দিকনির্দেশনার উৎস হিসাবে হাদিসের কর্তৃত্ব কুরআনের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে[৯] (যাকে মুসলিমরা এই শব্দ বলে মনে করে মুহাম্মাদকে আল্লাহর কাছে অবতীর্ণ করা হয়েছে।
অধিকাংশ মুসলিম বিশ্বাস করে যে হাদিসের জন্য শাস্ত্রীয় কর্তৃত্ব এসেছে কুরআন থেকে, যা মুসলিমদের মুহাম্মদকে অনুকরণ করতে ও তার রায় মেনে চলতে নির্দেশ দেয়
(যেমন ২৪:৫৪, ৩৩:২১ আয়াতে)।
যদিও কুরআনে আইন সম্পর্কিত আয়াতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম, হাদিস ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার বিবরণ (যেমন গোসল বা অজু, নামাজের জন্য অজু)[১০] থেকে শুরু করে সালাতের সঠিক ধরন[১১] এবং দাসদের প্রতি দানশীলতার গুরুত্ব পর্যন্ত সবকিছুর নির্দেশনা দেয়।[১২] এইভাবে শরীয়তের (ইসলামি আইন) নিয়মের "বৃহৎ অংশ" কুরআনের পরিবর্তে হাদিস থেকে নেওয়া হয়েছে।[১৩][টীকা ১]
হাদীস সংকলনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
ইসলামে হাদিস সংরক্ষণ ও বর্ণনা
কিতাবুস সিত্তাহ
কিতাব কথাটি কিতাব كتاب থেকে আগত, যার অর্থ বই। আর আল-সিত্তাহ السته হচ্ছে ৬টি। ইসলামী পরিভাষায় হাদিসের ছয়খানা অন্যতম হাদিসগ্রন্থকে একত্রে কিতাবুস সিত্তাহ বলে।
ক্রমিক নং | গ্রন্থের নাম | সংকলকের নাম | জন্ম | ওফাত | জীবন কাল | হাদিস সংখ্যা |
১ | সহীহ বুখারী | মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল ইবনে ইবরাহিম ইবনে মুগিরা | ১৯৪ হিজরি ১৩ শাওয়াল,৮২০ খ্রিষ্টাব্দের ২১ জুলাই | ২৫৬ হিজরি | ৬২ বছর | ৭৩৯৭টি |
২ | সহীহ মুসলিম | মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ আল কুশায়রি আল নিশাপুরী | ২০৪ হিজরিতে নিশাপুরে | ২৬১ হিজরি | ৫৭ বছর | ৪০০০টি |
৩ | জামি' আত তিরমিজি | আবু ঈসা মুহাম্মদ ইবনে ঈসা আত-তিরমিজি | ২০৯ হিজরিতে খোরাসানের তিরমিজ শহরে | ২৭৯ হিজরি | ৭০ বছর | ৩৮১২টি |
৪ | সুনানে আবু দাউদ | আবু দাউদ সুলায়মান ইবনে আশআশ ইবনে ইসহাক | ২০২ হিজরিতে সিস্তান নামক স্থানে | ২৭৫ হিজরি | ৭৩ বছর | ৪৮০০টি |
৫ | সুনানে নাসাই | ইমাম আবু আবদুর রহমান আহমদ ইবনে শুআইব ইবনে আলি আল খোরাসানি আন-নাসাই | ২১৫ হিজরি নাসা শহরে | ৩০৩ হিজরি | ৮৮ বছর | ৫৭৬১ টি |
৬ | সুনানে ইবনে মাজাহ | আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইয়াজিদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মাযাহ আল কাজবিনি | ২১৭ হিজরিতে কাসবিন শহরে | ২৭৩ হিজরি | ৬৪ বছর | ৪৩৪৯টি |
হাদিস গ্রন্থের তালিকা
সর্বোচ্চ হাদিস বর্ণনাকারী কয়েকজন সাহাবী
ক্রমিক নং | সাহাবীর নাম | ওফাত | জীবন কাল | বর্ণিত হাদিসের সংখ্যা |
১ | হযরত আবু হুরাইরাহ (রা.) (প্রকৃত নামঃ আবদুর রহমান) | ৫৭ হিজরি | ৭৮ বছর | ৫৩৭৪ টি |
২ | উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) | ৫৮ হিজরি | ৬৭ বছর | ২২১০টি |
৩ | হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) | ৬৮ হিজরি | ৭১ বছর | ১৬৬০টি |
৪ | হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) | ৭০ হিজরি | ৮৪ বছর | ১৬৩০টি |
৫ | হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) | ৭৪ হিজরি | ৯৪ বছর | ১৫৪০টি |
হাদিস শাস্ত্রের কতিপয় পরিভাষা
ইসলাম |
---|
![]() |
সাহাবী (صحابى)
যেসব ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ইসলামের নবীর সাহচর্য লাভ করেছেন বা তাকে দেখেছেন ও তার একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন, অথবা জীবনে একবার তাকে দেখেছেন এবং ঈমানের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদেরকে সাহাবী বলা হয়।
তাবিঈ (تابعى)
যারা ইসলামের নবীর কোনো সাহাবীর নিকট হাদীস শিক্ষা করেছেন অথবা তাকে দেখেছেন এবং মুসলমান হিসাবে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদেরকে তাবিঈ বলা হয়।
মুহাদ্দিস (محدث)
যে ব্যক্তি হাদিস চর্চা করেন এবং বহুসংখ্যক হাদিসের সনদ ও মতন সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান রাখেন তাকে মুহাদ্দিস বলা হয়। [টীকা ২]
শায়খুল হাদিস
হাদিস শাস্ত্রে গভীর পাণ্ডিত্যের অধিকারী, দীর্ঘ দিন হাদিসের পঠন ও পাঠনে নিরত শায়খকে ‘শায়খুল হাদিস’ বলা হয়। ভারত উপমহাদেশে সহীহ বুখারি পাঠদানকারীকে ‘শায়খুল হাদিস’ বলা হয়।[৪৬]
শায়খ (شيخ)
হাদিসের শিক্ষাদাতা রাবীকে (বর্ণনাকারীকে) শায়খ বলা হয়।
শাইখাইন (شيخين)
সাহাবীগণের মধ্যে আবু বকর ও উমরকে একত্রে শায়খায়ন বলা হয়। কিন্তু হাদিসশাস্ত্রে ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিমকে এবং ফিক্হ-এর পরিভাষায় ইমাম আবু হানিফা ও আবু ইউসুফকে একত্রে শায়খায়ন বলা হয়।
হাফিজ (حافظ)
যিনি সনদ ও মতনের বৃত্তান্ত সহ এক লক্ষ হাদিস আয়ত্ত করেছেন তাকে হাফিজ বলা হয়।
হুজ্জাত (حجة)
যিনি তিন লক্ষ হাদিস আয়ত্ত করেছেন তাকে হুজ্জাত বলা হয়।
হাকিম (حاكم)
যিনি সব হাদিস আয়ত্ত করেছেন তাকে হাকিম বলা হয়।
রিজাল (رجال)
হাদিসের রাবি সমষ্টিকে রিজাল বলে। যে শাস্ত্রে রাবি বা বর্ণনাকারীদের জীবনী বর্ণনা করা হয়েছে তাকে আসমাউর-রিজাল (اسماء الرجال) বলা হয়।
রিওয়ায়ত (رواية)
হাদিস বর্ণনা করাকে রিওয়ায়ত বলে। কখনও কখনও মূল হাদিসকেও রিওয়ায়ত বলা হয়। যেমন, এই কথার সমর্থনে একটি রিওয়ায়ত (হাদিস) আছে।
সনদ (سند)
হাদিসের মূল কথাটুকু যে সূত্র পরম্পরায় গ্রন্থ সংকলনকারী পর্যন্ত পৌঁছেছে তাকে সনদ বলা হয়। এতে হাদিস বর্ণনাকারীদের নাম একের পর এক সজ্জিত থাকে।
মতন (متن)
হাদিসের মূল কথা ও তার শব্দ সমষ্টিকে মতন বলে।
মরফু’ (مرفوع)
যে হাদিসের সনদ (বর্ণনা পরম্পরা) ইসলামের নবী পর্যন্ত পৌঁছেছে, তাকে মরফু’ হাদিস বলে।
মাওকুফ (موقوف)
যে হাদিসের বর্ণনা-সূত্র ঊর্ধ্ব দিকে সাহাবী পর্যন্ত পৌঁছেছে, অর্থাৎ যে সনদ-সূত্রে কোনো সাহাবীর কথা বা কাজ বা অনুমোদন বর্ণিত হয়েছে তাকে মাওকুফ হাদিস বলে। এর অপর নাম আসার (اثار) ।
মাকতু (مقطوع)
যে হাদিসের সনদ কোনো তাবিঈ পর্যন্ত পৌঁছেছে, তাকে মাকতু’ হাদিস বলা হয়।
মুত্তাফাকুন আলাইহি (متفق عليه)
যে হাদিসের বিশুদ্ধতার ব্যাপারে ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম উভয়ই একমত এবং তারা উক্ত হাদিস লিপিবদ্ধ করেছেন তাই মুত্তাফাকুন আলাইহি হাদিস।
সহিহ (ﺻﺤﻴﺢ )
যে মুত্তাসিল হাদিসের সনদে উল্লেখিত অর্থাৎ (ইত্তেসালে সনদ, জাবত, আদালত, সাজ না হওয়া, দোষ মুক্ত হওয়া,) প্রত্যেক বর্ণনাকারীই পূর্ণ আদালত ও জাবতা-গুণসম্পন্ন এবং হাদিসটি যাবতীয় দোষত্রুটি মুক্ত তাকে সহিহ হাদিস বলে।
হাসান (حسن)
যে হাদিসের কোনো বর্ণনাকারীর জারতগুণে পরিপূর্ণতার অভাব রয়েছে তাকে হাসান হাদিস বলা হয়। ফিকহবিদগণ সাধারণত সহিহ ও হাসান হাদিসের ভিত্তিতে শরিয়তের বিধান নির্ধারণ করেন।
যয়িফ ( ﺿﻌﻴﻒ)
যে হাদিসের বর্ণনাকারী কোনো হাসান হাদিসের বর্ণনাকারীর গুণসম্পন্ন নন তাকে যয়িফ/য'ইফ/ জইফ হাদিস বলে।
মাওজু’ (موضوع)
যে হাদিসের বর্ণনাকারী জীবনে কখনও ইচ্ছাকৃতভাবে ইসলামের নবীর নামে মিথ্যা কথা রটনা করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে, তার বর্ণিত হাদিসকে মাওজু’ হাদিস বলে। এরূপ ব্যক্তির বর্ণিত হাদিস গ্রহণ করা হয় না।
কুদসি’ (حديث قديس)
যে সকল হাদিসকে ইসলামের নবী (হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর বানী বলে উল্লেখ করেছেন, যা কুরআনের অন্তর্ভুক্ত নয়, সেগুলোকে হাদিসে কুদসি বলা হয়।
সুন্নি দৃষ্টিভঙ্গি
হাদীসের প্রকারভেদ
মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় যে হাদীসের মধ্যে ৫টি শর্ত পূরণ হয়েছে তাকে সহীহ হাদীস বলা হয় -
- হাদীসের সকল বর্ণনাকারী সৎ ও বিশ্বস্ত
- বর্ণনাকারীদের নির্ভুল বর্ণনার ক্ষমতা পূর্ণরূপে বিদ্যমান
- প্রত্যেক বর্ণনাকারী তার ঊর্ধ্বতন বর্ণনাকারী থেকে হাদীসটি স্বকর্ণে শুনেছেন বলে প্রমাণিত
- অন্যান্য প্রামাণ্য বর্ণনার বিপরীত নয় বলে প্রমাণিত
- সনদগত বা অর্থগত কোনো সূক্ষ্ম ত্রুটি নেই বলে প্রমাণিত
দ্বিতীয় শর্তে সামান্য দুর্বলতা থাকলে হাদীসটি হাসান বলে গণ্য হতে পারে। শর্তগুলোর অবর্তমানে হাদীসটি যয়ীফ বা দুর্বল অথবা মাউযূ বা বানোয়াট হাদীস বলে গণ্য হতে পারে।[৪৭] ইসলামে দুর্বল ও বানোয়াট হাদীস আকীদার ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়।তবে সালাফে সালেহীনগণ (সাহাবী,তাবেয়ী,তাবে-তাবেয়ী) দূর্বল হাদিসের উপর আমল করেছেন প্রমাণ পাওয়া গেলে আমল করতে অসুবিধা নেই।
সহিহ হাদীসের প্রকারভেদ
বর্ণনাকারীদের সংখ্যার দিক থেকে মুহাদ্দিসগণ সহীহ বা বিশুদ্ধ হাদীসকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন -
- যেসকল হাদীস সাহাবীগণের যুগ থেকে সংকলন পর্যন্ত সকল স্তরে অনেক বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন তাকে মুতাওয়াতির বা অতি প্রসিদ্ধ হাদীস বলা হয়।
- যেসকল হাদীস সাহাবীগণের যুগ থেকে সংকলন পর্যন্ত কোনো যুগে অল্প কয়েকজন বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন তাকে আহাদ বা খাবারুল ওয়াহিদ হাদীস বলা হয়।
আকীদার ক্ষেত্রের মুতাওয়াতির বা অতি প্রসিদ্ধ হাদীস দ্বারা সুনিশ্চিত জ্ঞান লাভ করা যায়। অন্যদিকে খাবারুল ওয়াহিদ হাদীস দ্বারা সুনিশ্চিত জ্ঞান লাভ করা না গেলেও তা কার্যকর ধারণা প্রদান করে। কর্ম বিষয়ক বৈধ, অবৈধ ইত্যাদি বিধিবিধানের ক্ষেত্রে এই ধরনের হাদীসের উপরে নির্ভর করা হয়।
আকীদার মূল বিষয় প্রমাণের জন্য সাধারণত এরূপ হাদীসের উপর নির্ভর করা হয় না। তবে মূল বিষয়ের ব্যাখ্যায় এর উপর নির্ভর করা হয়।
কুরআনে উল্লেখিত বা মুতাওয়াতির হাদীসের মাধ্যমে জানা কোনো বিষয় অস্বীকার করলে তা কুফরী হিসেবে গণ্য হয়। আর খাবারুল ওয়াহিদের মাধ্যমে জানা বিষয় অস্বীকার করলে তা বিভ্রান্তি হিসেবে গণ্য হয়।
মুসলিমরা বিশ্বাস করে কুরআন পুরোপুরিই মুতাওয়াতির ভাবে বর্ণিত। কেউ একটি শব্দকেও সমার্থক কোনো শব্দ দিয়ে পরিবর্তন করেন নি। অন্যদিকে হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে সাহাবী তাবিয়ীগণ অর্থের দিকে বেশি লক্ষ্য রাখতেন।
তারা প্রয়োজনে একটি শব্দের পরিবর্তে সমার্থক অন্য শব্দ ব্যবহার করতেন।[৪৭]
বিশুদ্ধ হাদীসের উৎস
অল্প সংখ্যক মুহাদ্দিস কেবলমাত্র সহীহ হাদীস সংকলনের চেষ্টা করেন। অধিকাংশ মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও আলিম সনদসহ হাদীস উল্লেখ করলেও হাদীসটি কোন স্তরের তা বলার প্রয়োজন মনে করতেন না।
আল্লামা ইবনুস সালাহ বলেন -
আল্লামা ইবনু হাজার আসকালানী বলেন -
আমিন।
source: wikipedia.
- সূরা ফাতিহার আরবি উচ্চারণ,বাংলা ও ইংরেজি অর্থ জেনে নিন।
- আয়াতুল কুরসির বাঙলা উচ্চারণ অর্থসহ
- সূরা আর রহমান এর উচ্চারণ ও বাংলা অর্থ
সূরা মূলক উচ্চারণ সহ বাংলা অর্থ
- আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ
- কোরআন হাদিস থেকে নির্বাচিত ৮৭ টি দোয়া
- হাদিসের আলোকে প্রশান্তি লাভের উপায়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন