Questions & Answers A to Z ( ইসলামী প্রশ্নোত্তর )

                                        

প্রশ্ন. ফরজ গোসল আদায় না করে সেহেরি খাওয়া যাবে কি?

 উত্তর : রমজানে রাতের বেলা স্বপ্নদোষ বা স্বামী স্ত্রী সহবাসের পর   অনেক সময় গোসলের সময় থাকে না। কিন্তু এ দুই অবস্থায় গোসল   করা ফরজ। এ ফরজ গোসল না করে যদি সেহরি খাওয়া হয় তাহলে   কি রোজার কোনো ক্ষতি হবে। এই নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা দ্বন্দ্ব রয়েছে। আসুন জেনে রাখি মাসআলাটি।

ফিকহবিদদের মতে, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও গোসল না করেই সেহরি খেয়ে রোজা রাখলে রোজা সহি হবে। তবে ফজরের ওয়াক্ত থাকতেই গোসল করে সময় মতো নামাজ আদায় করে নিতে হবে। সব সময়ই মনে রাখতে হবে, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গোনাহ। (মুসলিম হাদিস নং ২৫৯২, বাদায়ে, ১/১৫১) .....বিস্তারিত দেখুন 

প্রশ্ন. আমার স্ত্রী মারা গেছে। আমি তার দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করিনি, পরে দেব বলেছিলাম। দেওয়া হয় নি। এখন করণীয় কি?

 উত্তর : এখন তার উত্তরাধিকারীগণকে দিয়ে দিবেন। উপরন্তু তার নামে আরও   দান সদকা ও দোয়া করতে থাকবেন। বিলম্বের জন্য নিজেও আল্লাহর নিকট   তওবা করবেন। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভীসূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া....বিস্তারিত দেখুন 


প্রশ্ন: কুরআনে স্পষ্টভাবে নারীর জন্য যে কোন দেশে, যে কোন সমাজে -সেটা ইসলামী দেশ হোক কিংবা অনৈসলামী দেশ হোক- কি পরিধান করা আবশ্যকীয় সেটা উল্লেখ করা হয়েছে। আমি পুরুষের পোশাকের ব্যাপারটি জানতে চাই। সেটা যে দেশে বা যে সমাজে হোক না কেন; ইসলামী দেশে কিংবা অনৈসলামী দেশে?

সংক্ষেপে পুরুষের পোশাক সংক্রান্ত বিধি-বিধান। আমরা আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করছি যেন এই সংক্ষিপ্ত আলোচনাটি যথেষ্ট হয় এবং কাজে আসে:

১. পরিধানযোগ্য সব পোশাকের মূল বিধান হচ্ছে– বৈধতা। যদি না কোন পোশাক হারাম হওয়ার পক্ষে দলিল থাকে; যেমন- পুরুষদের জন্য রেশমের কাপড় পরা। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয় এ দুটো জিনিস আমার উম্মতের পুরুষদের উপর হারাম (নিষিদ্ধ), নারীদের জন্য জায়েয (বৈধ)।”[সুনানে ইবনে মাজাহ (৩৬৪০), আলবানী সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ্‌ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন] 

...................বিস্তারিত

   

প্রশ্ন : কুরআন ও হাদীস থেকে নির্বাচিত ৮৭টি দোয়া-




رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

উচ্চারণ


রাব্বানা আতিনা ফিদ-দু-নিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াকিনা আযাবান-নার

অর্থ

হে রাব্বুল আলামিন! আমাদেরকে দুনিয়া এবং আখিরাতে কল্যান দান করুন। এবং জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন!.......বিস্তারিত




   

প্রশ্ন : মসজিদে জুম্মার নামাযে দাঁড়ানোর পর যদি অযু ভেঙ্গে যায়, আর পেছনে নামাজিদের অনেক কাতার থাকে তবে এমন পরিস্থিতিতে ব্যক্তির করণীয় কি?







উত্তর : এমন প্রয়োজনে সব কাতার ডিঙ্গিয়ে বাইরে যেতে হবে। হয়তো তিনি প্রথমেই কাতারের এক মাথায় চলে যাবেন, বাকীটুকু পাশ দিয়ে বের হয়ে যাবেন। যদি কেউ লাখ টাকার ব্যগ বা অনেক দামী বস্তু মসজিদের অযুখানা বা বাইরে ভুলে রেখে আসেন ......বিস্তারিত




প্রশ্ন : অনেকেই বলে গোসলের পরপরই অযু করার প্রয়োজন নেই। এটা কতটুকু যৌক্তিক?

উত্তর : আসলে প্রয়োজন নেই। কারণ, ফরজ গোসলে তো আগেই অজু করা হয়। পরে গোসল। সাধারণ গোসলেও অজুর জায়গাগুলো ধোয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেলে পবিত্রতা অর্জনের জন্য আলাদা আর অজুর প্রয়োজন হয় না। তবে, সওয়াবের আশায় কেউ নতুন অজু করলে করতেও...বিস্তারিত



   

প্রশ্ন : বেতের নামাজ না পড়লে কি গোনাহ হবে, জানালে উপকৃত হবো।

উত্তর : এশাসহ বাকি পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ নামাজ না পড়লে যেমন গোনাহ, বেতের না পড়লেও তেমন গোনাহ। কারণ এটি সর্বসম্মতভাবে স্থায়ী ওয়াজিব। কারণ, এ নামাজেরও কাযা আছে। কেউ কাফফারাহ দিলেও বেতেরসহ দিতে হয়।

উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।



   

প্রশ্ন আমার প্রশ্ন হলো, একজন পুরুষ যেহেতু হালালভাবে একসাথে চারজন স্ত্রী রাখতে পারে, কোনো মহিলা একসাথে দুই, তিন অথবা চারজন স্বামী রাখতে পারবে কি না?

উত্তর : মহিলাদের একসাথে একাধিক স্বামী থাকতে পারে না। তালাক বা বিধবা হলে পরবর্তী বিবাহ হতে পারে। পুরুষের কঠিন শর্ত সাপেক্ষে একাধিক স্ত্রী গ্রহণের অনুমতি আছে। এটাই মহাজ্ঞানী সর্বজ্ঞ আল্লাহ তায়ালার বিধান।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ। ...বিস্তারিত

For Advertisement
For Advertisement
For Advertisement

প্রশ্ন: আমার স্ত্রী মারা গেছে। আমি তার দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করিনি, পরে দেব বলেছিলাম। দেওয়া হয় নি। এখন করণীয় কি?



উত্তর : এখন তার উত্তরাধিকারীগণকে দিয়ে দিবেন। উপরন্তু তার নামে আরও দান সদকা ও দোয়া করতে থাকবেন। বিলম্বের জন্য নিজেও আল্লাহর নিকট তওবা করবেন।

 উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী  সূত্র :  জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া...

   

প্রশ্ন. ফরজ গোসল আদায় না করে সেহেরি খাওয়া যাবে কি?

 উত্তর : রমজানে রাতের বেলা স্বপ্নদোষ বা স্বামী স্ত্রী সহবাসের পর   অনেক সময় গোসলের সময় থাকে না। কিন্তু এ দুই অবস্থায় গোসল   করা ফরজ। এ ফরজ গোসল না করে যদি সেহরি খাওয়া হয় তাহলে   কি রোজার কোনো ক্ষতি হবে। এই নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা দ্বন্দ্ব রয়েছে। আসুন জেনে রাখি মাসআলাটি।

ফিকহবিদদের মতে, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও গোসল না করেই সেহরি খেয়ে রোজা রাখলে রোজা সহি হবে। তবে ফজরের ওয়াক্ত থাকতেই গোসল করে সময় মতো নামাজ আদায় করে নিতে হবে। সব সময়ই মনে রাখতে হবে, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গোনাহ। (মুসলিম হাদিস নং ২৫৯২, বাদায়ে, ১/১৫১) .....বিস্তারিত দেখুন 

   

সরকারী কোম্পানীতে সিপিএফ বাবদ প্রদত্ব ডিপোজিটের টাকা গ্রহণের হুকুম কী?


প্রশ্ন: হযরত, আমি একটি সরকারি বিদ‍্যুৎ কোম্পানিতে চাকুরী করি। সিপিএফ বাবদ প্রতিষ্ঠান আমার মাসিক মূল বেতনের ১০% টাকা কর্তন করে এবং প্রতিষ্ঠান আরো ১০% টাকা ফান্ডে জমা করে অতঃপর এই ২০% টাকা ডিপোজিট করে, ফলে যে সুদ আসে সুদের টাকাও ফান্ডে জমা হতে থাকে। চাকুরী শেষে যখন সমুদয় অর্থ আমার হাতে আসবে তখন কি আমি উল্লিখিত সুদের টাকা ব‍্যবহার করতে পারবো? এখানে উল্লেখ্য যে, বছর শেষে প্রতিষ্ঠান আমাকে জমাকৃত টাকা এবং সুদের টাকা স্টেটমেন্টের মাধ‍্যমে জানিয়ে দেয়। আমি যদি প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করি যে আমার টাকা ডিপোজিট করবেন না তাহলেও তারা আমার কথা শুনবে না।...

উত্তর

যেহেতু আপনার ইচ্ছেধীন ছাড়াই বেতন কর্তন করে রাখা হয়। তাই উক্ত টাকার মালিকানা আপনার সাব্যস্ত হয় না। তাই চাকুরী শেষে আপনাকে দেয়া অতিরিক্ত অর্থ আপনার জমা অর্থের সুদ হিসেবে গণ্য হবে না। বরং সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান হিসেবে গণ্য হবে।সুতরাং তা গ্রহণে কোন সমস্যা নেই।

উত্তর লিখনে-
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী-
পরিচালক ও প্রধান মুফতী-তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

প্রশ্ন:
যে নারীর মাসিক শুরু হয়েছে তিনি লাইলাতুল কদরে কী করবেন? তিনি কি ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল হয়ে তার সওয়াব বাড়াতে পারবেন? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তবে এই রাতে তিনি কী কী ইবাদত করতে পারবেন?

উত্তর :   যে নারীর মাসিক শুরু হয়েছে তিনি শুধুনামায, রোজা, বায়তুল্লাহ তওয়াফওমসজিদেইতিকাফব্যতীতবাকী সমস্তইবাদত করতেপারেন।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়েছে যে তিনি রমজানের শেষ দশকে রাত জাগতেন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত: “শেষ দশক প্রবেশ করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকোমর বেঁধে নামতেন। তিনি নিজে রাত জাগতেন এবং তাঁর পরিবারবর্গকে জাগিয়েদিতেন।”[সহীহ বুখারী (২০২৪) ও সহীহ মুসলিম (১১৭৪)]

.........................বিস্তারিত



প্রশ্ন : রোজা রেখে টিভিতে বা মোবাইলে ক্রিকেট খেলা দেখা যাবে কি? দেখলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে কি না?


উত্তর : রোজার আধ্যাত্মিক ক্ষতি হবে। রোজা ভাঙ্গবে না, তবে অর্থহীন কাজে রোজা অবস্থায় নিজেকে ব্যস্ত রাখার কারণে রোজা হালকা হয়ে যায়। না ভাঙ্গলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।

   
প্রশ্ন: 
আমি ফরজ নামাজের সময় প্রথম রাকাতে শুধু সূরা ফাতিহা পড়ে রুকুতে চলে গেছি। আর এটা নামাজ শেষ হওয়ার পর আমার মনে পড়ে। এমতাবস্থায় আমার কি করণীয়?


উত্তর : যদি সালাম ফেরানোর সময় মনে পড়ে, তাহলে সাহু সেজদা দিবেন। তখনও যদি মনে না পড়ে আর নামাজ শেষ করে উঠে পড়েন, পরে মনে হয়, তাহলে নামাজ দোহরাতে হবে।


উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।




প্রশ্ন :

 টি শার্ট বা হাফ হাতা শার্ট পরে নামাজ হবে কি?






উত্তর : নামাজ হওয়ার জন্য পুরুষের ক্ষেত্রে নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা যথেষ্ট। এভাবে যদি কেউ বাধ্য হয়ে নামাজ পড়েন যে, তার একটি লুঙ্গি বা একটি গামছা আছে বড়, তাহলে এভাবেই তার নামাজ পরিপূর্ণ সহীহ হবে। আর যার নামাজ... ...বিস্তারিত



   
প্রশ্ন-
( لا يرفع صوم رمضان حتى تعطى زكاة الفطر) (অর্থ- সদাকাতুল ফিতর না দেয়া পর্যন্ত রমযানের রোযা উত্তোলন করা হয় না) এ হাদিসটি কি সহিহ? যদি কোন রোযাদার মুসলিম নিজেই অস্বচ্ছল হন এবং যাকাতের নিসাবের মালিক না হন; এ হাদিসের শুদ্ধতার কারণে কিংবা সুন্নাহভিত্তিক অন্য কোন সহিহ শরয়ি দলিলের কারণে তার উপরেও কি সদাকাতুল ফিতর দেয়া ওয়াজিব হবে?

উত্তর

ঈদের রাত ও ঈদের দিনে যার কাছে তার নিজের ও তার দায়িত্বে যাদের পোষণ অর্পিত তাদের খাদ্যের অতিরিক্ত এক সা’ বা তদুর্ধ পরিমাণ খাবার থাকে তার উপর সদাকাতুল ফিতর ফরয। দলিল হচ্ছে এ বিষয়ে ইবনে উমর (রাঃ) থেকে সাব্যস্ত হাদিস তিনি বলেন: “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক স্বাধীন-ক্রীতদাস, নারী-পুরুষ, ছোট-বড় মুসলমানের উপর যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা ফরজ করেছেন: এক সা’ পরিমাণ খেজুর কিংবা যব। মানুষ ঈদের নামাযে বের হওয়ার পূর্বেই তিনি তা আদায় করার আদেশ দিয়েছেন।[সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম, ভাষ্যটি সহিহ বুখারীর] ...........বিস্তারিত

মসজিদ মাদরাসার টাকা যায় কই-১

উবায়দুর রহমান খান নদভী | 
মসজিদ মাদরাসার টাকা যায় কই? এ প্রশ্নটি সাধারণত তারাই বেশি করেন, যারা নিজেরা টাকা পয়সা দেন না। যাদের টাকা পয়সা মসজিদ মাদরাসায় খুব একটা আসে না। যারা মসজিদ মাদরাসায় টাকা পয়সা দেন তারা এসব টাকা কোথায় যায় তা জেনেই দেন। তাছাড়া, মসজিদ মাদরাসা যাদের দানে চলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা নিজেরাই এসব চালান। কাছ থেকে সব দেখেন জানেন এবং নিজেরা চাঁদা তুলে এসবের বাড়তি প্রয়োজনও পূরণ করেন। এভাবেই লাখো মসজিদ নির্মিত হয়েছে। দেশে এখনো সবচেয়ে বেশি স্বচ্ছ্বতা রয়েছে মসজিদ মাদরাসার হিসাবে নিকাশেই।   
যুগ যুগ ধরে এ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ নিজের কষ্টার্জিত অর্থ সম্পদ ও মূল্যবান সম্পত্তি দিয়ে মুসলিম সমাজের জন্য জামাতে নামাজ, কোরআন শিক্ষা ও দীনি তালিমের ব্যবস্থা করে আসছেন। এসবের প্রতিষ্ঠা পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার সাথেও সমাজের সর্বাপেক্ষা আস্থাভাজন আমানতদার ব্যক্তিরা জড়িত। 
   

প্রশ্ন : রোজা থাকা অবস্থায় অনেকের ঢেকুর উঠে। অনেক সময় তা মুখে চলে আসে আবার অনেক সময় তা গলা পর্যন্ত এসে আটকে যায়। জানতে চাই এ অবস্থায় রোযাদারের করণীয় কি। এতে কি তার রোজা ভেঙ্গে যাবে?






উত্তর : ঢেকুর রোজার জন্য ক্ষতিকর নয়। তখন যদি কোনো খাদ্য বা পানীয় বের হয়, তাহলে তা ফেলে দিতে হবে। পুনরায় গিলে ফেললে রোজা ভেঙ্গে যাবে। আর যদি মুখ ভরে বমি হয়, তাতেও রোজা ভেঙ্গে যায়। এসব কতটুকু বা কী হয়েছে তা নিজে বুঝে আমল করতে হবে।


উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।

   

প্রশ্ন : আমার মেয়ের বয়স ২ মাস ১০ দিন , মাঝে মাঝে বেডে পেশাব করে দেয় , শুকিয়ে গেলে তা কি আর নাপাক থাকবে? পেশাব করার পর কাপড় দিয়ে মুছে তাকে কোলে নিলে নাপাক লাগবে কিনা? পেশাব হাতে লাগার পর তা শুকিয়ে নাপাক থাকবে কি?


উত্তর : পেশাব শরীরে লাগার পর শুকিয়ে গেলে পাক হয় না। ভেজা বা শুকানো সর্বাবস্থায় তা ধুয়ে পবিত্র করতে হয়। কাপড়েরও একই হুকুম। কেবল অপবিত্র মাটি শুকিয়ে নাপাকি দূর হয়ে গেলে পাক হয়ে যায়। বাচ্চা কোলে নেওয়ার জন্য তার শরীর পাক হওয়া জরুরী নয়। স্পষ্ট নাপাকি বা ভেজা ভাব থাকলে নিজের শরীর বা জামা কাপড় নাপাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বিধায় নেওয়া হয় না। নাপাকি শুকিয়ে গেলে কোলে নিতে সমস্যা নাই। তবে, শিশুটির শরীর পাক করা বা ময়লামুক্ত করার বিষয়টি আলাদা।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী

জন্ম নিয়ন্ত্রণ বা পরিবার পরিকল্পনার ব্যপারে ইসলামের নির্দেশনা কি জানতে চাই।

উত্তর : রিযিকের অভাব চিন্তা করে সন্তান না নেওয়া গুনাহের কাজ। এতে আল্লাহর ওপর ভরসা না করার লক্ষণ পাওয়া যায়। সন্তান আল্লাহর দান। যার হয় না সে এ জন্য জীবনভর পাগলপারা থাকে। তাছাড়া বিশ্বমুসলিম জনসংখ্যা কম রাখার জন্য ইসলাম বিদ্বেষীরা যখন জন্ম নিয়ন্ত্রণের কুমন্ত্রণা দেয়, তখন তাদের প্রচারণায় প্রভাবিত হয়ে সন্তান জন্মে বাধা দেওয়া ইসলামের শত্রুদেরকে সহায়তা করার নামান্তর। তবে, গর্ভধারীণী মায়ের প্রতি দীনদ্বার ডাক্তারের পরামর্শ কিংবা স্বাস্থ্যগত বিবেচনায় মা ও শিশুর প্রাণহানীর আশংকা থাকলে জন্ম বিলম্বিতকরণ, নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি জায়েজ হতে পারে।

উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী

সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।...............বিস্তারিত

   

সিজদা সংখ্যা যদি ভুল হয় তাহলে করণীয় কি?

 যেমন দুইটা সিজদার জায়গায় যদি ভুলে তিনটি সিজদা হয়ে যায় অথবা এক সেজদা দেওয়া হয়, এক্ষেত্রে কি করব?





উত্তর : নামাজের ভেতরে বিষয়টি ধরা পড়লে সাহু সেজদা দিবে।


 নামাজের পরে বুঝতে পারলে আবার নামাজ পড়ে নেবে।


 যদি নিশ্চিত না হয়ে বিষয়টি মনে সংশয়ের মতো লাগে, তাহলে কিছুই করতে হবে না।



উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।

   

মাথার সামনে দিয়ে চুল কাটা জায়েজ আছে কি? আমি পর পুরুষের সামনে যাই না, এমনকি অন্যদের দেখানোর জন্যও কাটি না। এমতাবস্থায় অল্প করে সামনে দিয়ে চুল কাটা যাবে কি?


উত্তর : পর পুরুষ বা অন্য মানুষের সামনে যাওয়ার সাথে নারীদের চুল কাটা নিষিদ্ধ হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। নারীদের নারীসুলভ আকৃতি ও চেহারা বজায় রাখা শরীয়তে হুকুম। বিশেষ করে পুরুষের সাদৃশ্যগ্রহণ হারাম। নারী পুরুষ কেও পরস্পরের আকৃতি প্রকৃতি চেহারা ও পোষাক ধারণ করলে তাদের ওপর আল্লাহর লা’নত বর্ষিত হয়। সুতরাং কোনো দুর্ঘটনা, রোগব্যাধি বা শরীয়তসম্মত যৌক্তিক কারণ ছাড়া নারীরা মাথার কোনো অংশের চুলই কাটতে পারবে না। শুধুমাত্র হজ্জ ও ওমরা শেষে হাতের আঙ্গুলের এক দাগ পরিমাণ চুলের গোছা কাটা তখনকার সাময়িক বিধান। এছাড়া সাধারণত নারীদের চুল যেমন আছে তেমন রাখতে হবে।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।

প্রশ্ন: মধ্যমপন্থা অবলন্বনকারী মোমিনদের বিজয় কী আসবেই?

উত্তর: মধ্যমপন্থা অবলন্বনকারী ব্যক্তি বলতে ভারসাম্যপূর্ণ জীবন যাপনকারীদেরকে বুঝায়। 

একজন মুসলিমের সৌন্দর্য্যই হলো তার ভ্রাতৃত্ববোধ, সহনশীলতা ও উদারতা। 

মধ্যমপন্থা অবলন্বনকারী ব্যক্তিরা সব কিছুতে ধৈর্য্যশীলতার পরিচয় দিয়ে থাকেন। মধ্যমপন্থা অবলন্বনের মধ্যে আল্লাহর অনুগ্রহ ও কল্যাণ রয়েছে। 

আমাদের রাসূল (সা) সকল পরিবেশ...

.................বিস্তারিত

   

মৃত্যুর আগে আমার পিতা তার সম্পত্তির বিরাট এক অংশ দান করে যান। যে বিষয়ে আমরা ভাই-বোন অবগত ছিলাম না। আমাদের আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালো না। এখন আমরা কি সবাই একমত হয়ে সে সম্পত্তি ফিরিয়ে নিতে পারব?

আপনার পিতা যদি নিজ সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ বা এর কম দান করে গিয়ে থাকেন, তাহলে তিনি কোনো ভুল করেননি। কারণ, এক তৃতীয়াংশ দান বা ওসিয়ত করে যাওয়া শরিয়তে অনুমোদিত রয়েছে। এ বিষয়ে আপনাদের অবহিত করাও তার জন্য জরুরি ছিল না। ইসলামে এক তৃতীয়াংশের বেশি সম্পদ দান বা ওসিয়ত করে যাওয়া নিষিদ্ধ। তবে বেশি দান করে ফেললে সেটি দান বলেই সাব্যস্ত হয়ে যায়,.................বিস্তারিত

   

প্রশ্ন: এক ব্যক্তি নামায-কালাম ঠিকমত করে তবে তার স্ত্রীকে পর্দায় রাখে না। এমন স্ত্রীর জন্য তার নামায-বন্দেগীর কোনো ক্ষতি হবে কি না, জানাবেন।


উত্তর: একজন স্বামীর পক্ষে তার স্ত্রীকে পর্দায় রাখা কর্তব্য। কর্তব্যে অবহেলার জন্য স্বামী গোনাহগার হবে। এ জন্যে তার নামায-বন্দেগী বরবাদ হবে না। স্ত্রীর শরীয়ত বিরোধী আচরণ যদি স্বামী নিয়ন্ত্রণ না করে তাহলে এ স্বামীর কঠোর শাস্তির কথা হাদীসে পাওয়া যায়। এক হাদীসে আছে যে, এমন পুরুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তবে সর্বাত্মক চেষ্টার পর ব্যর্থ হলে সেটিও আল্লাহ দেখবেন।
সূত্র: জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফতওয়া বিশ্বকোষ।

উত্তর দিয়েছেন: আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী 

প্রশ্ন: শালির (স্ত্রীর বোনের) সাথে শারীরিক সম্পর্ক করলে স্ত্রী কি তালাক হবে?




উত্তর : স্ত্রী তালাক হবে না। অবশ্য এ ধরনের সম্পর্ক দুনিয়ার সবচেয়ে বড় গুনাহগুলির একটি। ইসলামী শরীয়ায় বিবাহিতের বেলায় এর শাস্তি মৃত্যুদন্ড। অবিবাহিতের ক্ষেত্রে ১০০ বেত্রঘাত। যার ফলে মৃত্যুও হতে পারে। আখেরোত এর শাস্তি জাহান্নাম। জাহান্নামীদের পঁচা পুঁজ রক্ত ও বর্জ্য ভক্ষন, আগুনের শাস্তি ইত্যাদি। সারাজীবন তওবা ও কান্নাকাটির মাধ্যমে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইতে থাকতে হবে। স্ত্রী বিবাহ বন্ধনে থাকাবস্থায় তার আপন বোনকে বিয়ে করলেও সে বিয়ে হবে না। স্ত্রীও তালাক হবে না। অবৈধ সম্পর্কের ক্ষেত্রেও স্ত্রী তালাক হয় না। 

সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।


উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী

   

প্রশ্ন: আমরা জানি যে, আকিকার নিয়ম হলো ছাগল দিয়ে করা। যদি কেউ গরু দিয়ে আকিকা করতে চায় এর নিয়ম কি?







 উত্তর : আকিকার নিয়ম মূলত দুম্বা, ছাগল বা খাসি দিয়ে দেওয়া। 

ইজতেহাদ করে বিশেষজ্ঞ ফকীহগণ বড় পশুর ভাগ দিয়েও আকিকা করা যায় বলে মত প্রকাশ করেছেন। যার ওপর উম্মতের আমলও পাওয়া যায়। তবে, খাসী দিয়ে দিতে পারলে কেউ গরু দিয়ে না দেওয়াই উত্তম।

 কেননা, গরু দিয়ে আকিকা দেওয়া স্বাভাবিক বিধান নয়। 

সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।


উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী

   

প্রশ্ন: অজু ছাড়া কি মোবাইলে কোরআন তেলাওয়াত করা যাবে বা কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের অনুবাদ দেখা যাবে? তাছাড়া আমরা অনেকেই মোবাইলে একই সাথে কোরআন তেলাওয়াত শুনি, গজলও শুনি আবার গানও শুনি। মাত্রই গান শুনলাম, আবার এখনই গান বন্ধ করে তেলাওয়াত চালিয়ে দিলাম। এটা কি গুনাহের কাজ


উত্তর : অজু ছাড়া কোরআন তেলাওয়াত ও তরজমা পড়া যায়েজ। প্রশ্ন হলো, স্পর্শ করা নিয়ে। মোবাইলে যে কোরআন থাকে তা মুদ্রিত নয়। 

এটি আলোর মাধ্যমে প্রকাশিত কিছু ডট মাত্র। আয়াতের ওপর স্পর্শ না করে, অজু ছাড়া মোবাইলটি হাতে রেখেও তেলাওয়াত করা যায়েজ। একই মোবাইলে সওয়াবের কিছু করলে সওয়াব হবে। 

গোনাহর কিছু করলে গোনাহ হবে। এগুলো একটি যন্ত্রে সম্মিলিত হয়েছে বলে সবই গোনাহয় পরিণত হবে না। যেমন মানুষের মন-মস্তিস্কে বা মুখে যদি সে খারাপ বিষয় চর্চা করে অতঃপর তা বন্ধ করে ওই মুহূর্তেই সে ভালো বিষয় চর্চা করে তাহলে কি তার গোনাহ ও সওয়াব দু’টোই হবে না। ধরে নিন, একটি যন্ত্রও প্রায় তেমনিই। 

সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।

উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী


No comments:

Post a Comment