দরুদ পাঠকারীর জন্য রয়েছে অসামান্য ফজিলত। বিশ্বনবির প্রতি দরুদ পাঠে সম্পদে বরকত হয় !!! কয়েকটি দরুদ শরীফ ।

 

বিশ্বচরাচর সৃষ্টি হয়েছে যার জন্য তিনি আর কেউ নন মুহাম্মদ তাঁর নাম। আল কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘ওয়ামা আরসালানাকা ইল্লাহ রাহমাতাল্লিল আলামিন। হে নবী! আমি তোমাকে সৃষ্টিকুলের জন্য রহমত করে পাঠিয়েছি।’ 

আল্লাহতায়ালার নির্দেশ হলো, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা নবীর প্রতি সালাত-দরূদ পেশ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও তার প্রতি সালাত পেশ করো এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।’ (সূরা আহজাব: ৫৬)

দুরূদ শরীফ সমস্ত বিধানের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম কাজ। কেননা, আল্লাহ্ তা‘আলা কোন বিধানে নিজের ও নিজের ফিরিশতাদের কথা উল্লেখ করেননি- আমিও এ কাজ করছি, তোমরাও করো। একমাত্র দুরূদ শরীফ ব্যতীত। সমস্ত ফেরেশতারা কোন নির্দিষ্টকরণ ছাড়াই, সর্বদা হুযূরে পাকের উপর দুরূদ শরীফ প্রেরণ করেন।

নবী (সা.) দুনিয়ায় যেমন আমাদের জন্য রহমত, তেমনি আখিরাতেও তিনি আমাদের জন্য রহমত। নবী (সা.)-এর রহমতের চাদরে আমরা জায়গা করে নিতে পারব যদি আমরা বেশি বেশি তাঁর ওপর দরুদ ও সালাম পেশ করতে পারি। 

সুরা আহজাবের ৫৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘ওহে তোমরা যারা ইমান এনেছ, জেনে রাখ আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেশতারা নবীর ওপর দরুদ পড়েন। তোমরাও নবীর ওপর দরুদ-সালাম পড়।’ 

হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী! আপনার কোনো উম্মত যদি আপনার ওপর একবার দরুদ পড়ে তাহলে আমি তার ওপর ১০টি রহমত নাজিল করি। তার মর্যাদা ১০ গুণ বাড়িয়ে দিই। তার ১০টি গুনাহ ক্ষমা করে দিই।’ 

দুরূদ শরীফ গোটা জীবনে একবার পাঠ করা ফরজ। যেখানেই মহানবীর নাম আসে, একবার পাঠ করা ওয়াজিব। নামাযের অভ্যন্তরে ‘আত্তাহিয়্যাতু’-এর পর পাঠ করা ‘সুন্নাত’। আর সর্বদা পাঠ করা মুস্তাহাব।

আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর প্রিয় হাবীবের প্রশংসা ও গুণগান মর্যাদাময় স্থানে করেছেন এবং তাঁর উপর রহমত প্রেরণ করেছেন। ফেরেশতাগণও রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামের মহত্ব বর্ণনা করেছেন। অতএব, মুসলমানদেরও এরূপ মর্যাদা সহকারে দুরূদ সালাম প্রেরণ করা জরুরি। 

পৃথিবীর প্রতিটি বস্তু মহান আল্লাহ্ তা‘আলার গুণগান করে, কিন্তু আল্লাহ্ তা‘আলা স্বয়ং তাঁর প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামের উপর দুরূদ শরীফ পাঠ করেন। এজন্য দুরূদ শরীফ পাঠ করা একটি শ্রেষ্ঠ ইবাদত।

প্রিয়নবির যে দরূদ পাঠে সম্পদে বরকত হয়

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ওপর বেশি বেশি দরূদ পাঠ করলে যেমন সম্পদে বরকত হয় তেমনি সম্পদহীন ব্যক্তির দরূদ পাঠের ফলে জাকাতের সাওয়াব লাভ করে। হাদিসে এসেছে-

যে ব্যক্তি তার সম্পদের মাঝে বরকত হোক এ বিষয়ে আগ্রহী সে যেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর উপরোক্ত দরুদ-শরিফটি বেশি বেশি পড়ে।

আর কোনো মুসলমানের কাছে যদি দান করার মতো কোনো সম্পদ না থাকে তাহলে সে যেন এ দরুদ শরিফটি বেশি বেশি পড়ে। এ দরূদ পাঠ ওই ব্যক্তির জন্য জাকাতসরূপ হবে। অর্থাৎ এতে তার সম্পদের মাঝে বরকত হবে এবং তা পবিত্র হবে। (মুসতাদরেকে হাকেম)


হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর আস (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার ওপর দশবার দরূদ পাঠ করবেন।’ (সহিহ মুসলিম: ৩৮৪)

হজরত ইবনে মাসঊদ (রা.) হতে বর্ণিত,  রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তি সব লোকের তুলনায় আমার বেশি নিকটবর্তী হবে, যে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমার ওপর দরূদ পড়বে।’ (সুনানে তিরমিজি: ৪৮৪)

হজরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,  রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘প্রকৃত কৃপণ সেই ব্যক্তি, যার কাছে আমি উল্লিখিত হলাম (আমার নাম উচ্চারিত হল) অথচ সে আমার প্রতি দরূদ পাঠ করল না।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৪৬)

হজরত কাব ইবনে উজরা (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, তোমরা মিম্বরের কাছে একত্রিত হও। আমরা উপস্থিত হলাম। যখন তিনি মিম্বরের প্রথম স্তরে চড়লেন তখন বললেন, ‘হে আল্লাহ কবুল করুন’। তারপর যখন দ্বিতীয় স্তরে চড়লেন তখনও বললেন, ‘হে আল্লাহ কবুল করুন’। তারপর তৃতীয় স্তরে চড়ে আবারও বললেন, ‘হে আল্লাহ কবুল করুন।’ খুতবা শেষে যখন মিম্বর থেকে অবতরণ করলেন তখন আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আজ আমরা আপনার থেকে এমন কিছু শুনলাম যা এর পূর্বে আর কখনও শুনিনি। তখন তিনি বললেন, আমার কাছে জিবরাইল (আ.) এসে বলল, যে ব্যক্তি রমজান পেয়েও তাকে ক্ষমা করা হলো না- সে বঞ্চিত হোক। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহ কবুল করুন। যখন দ্বিতীয় স্তরে চড়লাম তখন তিনি বললেন, যার কাছে আপনার নাম উল্লেখ করা হলো কিন্তু সে আপনার ওপর দরূদ পড়ল না- সেও বঞ্চিত হোক। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহ কবুল করুন। যখন তৃতীয় স্তরে চড়লাম, তখন তিনি বললেন, যে পিতা-মাতাকে অথবা তাদের কোনো একজনকে বৃদ্ধাবস্থায় পেয়েও তারা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারল না সেও বঞ্চিত হোক। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহ কবুল করুন। (বায়হাকি: ১৪৬৮)

হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে ইরশাদ করতে শুনেছি- ‘যে ব্যক্তি আমার উপর দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, আমি কিয়ামতের দিন তার জন্য সুপারিশকারী হবো।’  [আল্ ক্বওলুল বদী’] 

হযরত ওমর ফারুক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হতে বর্ণিত- ‘নিঃসন্দেহে প্রত্যেক দোয়া আসমান ও যমীনের মধ্যখানে ঝুলন্ত থাকে, তা থেকে কিছুই উপরে আরোহন করে না, যতক্ষণ না তুমি তোমার নবীর উপর দুরূদ শরীফ পড়বে।’

সাহাবি হজরত আবদুর রহমান বিন আওফ (রা.) বলেন, ‘একদিন আমি রসুল (সা.)-কে একটি বাগানে ঢুকতে দেখি। রসুল (সা.) বাগানের ভিতরে ঢুকে গেলেন। তারপর মাথা ঝুঁকিয়ে সিজদাহ করলেন। সে কি দীর্ঘ সিজদা! সময় বাড়তে থাকে কিন্তু রসুলের সিজদা শেষ হয় না। একসময় আমার মনে একটি ভয় দানা বাঁধে। আমার মনে হলো সিজদার ভিতরেই হয়তো তিনি মারা গেছেন। আমি ভীষণ ভয় পেয়ে যাই। দীর্ঘ সময় পর হুজুর মাথা তুললেন। তিনি আমার কাছে এসে বললেন, তোমাকে ভয়ার্ত দেখাচ্ছে কেন আবদুর রহমান? আমি বললাম, হুজুর! আপনার দীর্ঘ সিজদা দেখে আমি ভেবেছিলাম হয়তো সিজদার মাঝেই আপনি মারা গেছেন। 

রসুল (সা.) মুখে তখনো হাসি লেগে ছিল। তিনি বললেন, ‘তেমন কিছুই নয়। এই মাত্র আমার প্রভু আমাকে যা বলেছেন তা শুনে তুমি অবশ্যই আনন্দিত হবে। আমার প্রভু বলেছেন, কেউ যদি আমার ওপর দরুদ পাঠ করে তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাকে রহমত-বরকত ও শান্তির ওয়াদা করা হয়েছে। এজন্যই আমি দীর্ঘ সিজদা করে আমার পরম প্রেমময় প্রভুর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি।’ 

মুসনাদে আহমাদ ও মুসতাদরাক আল হাকেম। একটি হাদিসে এসেছে, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘হে আমার উম্মত! তোমরা জুমার দিন বেশি বেশি দরুদ পড়। একটু আগে জিবরাইল এসে আমাকে জানিয়েছে হে নবী! আপনার প্রভু বলেছেন, কেউ যদি আপনার ওপর একবার দরুদ-সালাম পেশ করে তাহলে তিনি ওই উম্মতকে ১০টি রহমত ও বরকত দান করবেন এবং ফেরেশতারা তার জন্য ১০বার মাগফিরাতের দোয়া করবে।’ তাবরানি। 

অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছে, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘উম্মত যতক্ষণ পর্যন্ত নবীর ওপর দরুদ পড়তে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত ফেরেশতারা তার জন্য ক্ষমার দোয়া করতে থাকে। এখন তোমাদের ইচ্ছা চাইলে বেশি বেশি দরুদ পড়ে ফেরেশতাদের দোয়া নিতে পার। আবার কম দরুদ পড়ে ফেরেশতাদের দোয়ার কম ভাগীদার হতে পার।’ মিশকাত।

নবী (সা.)-এর ওপর বেশি বেশি দরুদ -সালাম পড়ার ফলে কিয়ামতের দিন নবীর শাফায়াত নসিব হবে বলে হাদিসে বলা হয়েছে। রসুল (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন ওই উম্মত আমার সবচেয়ে কাছে থাকবে যে আমার ওপর বেশি দরুদ পড়েছে।’ তিরমিজি। 

আরেকটি হাদিসে রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে উম্মত বেশি বেশি দরুদ-সালাম পড়বে কিয়ামতের দিন তার জন্য শাফায়াত করা আমার কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়।’ তারগিব ওয়াত তাহরিব। রসুল (সা.) বলেছেন, ‘জান্নাতে সেই উম্মতই আমার সবচেয়ে কাছে থাকবে যে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ-সালাম পড়েছে।’ তিরমিজি।

হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে মুসলমানের দান করার সামর্থ্য নেই সে যেন দোয়ায় বলে-


اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَ رَسُوْلِكَ وَ صَلِّ عَلَى الْمُؤمِنيْنَ وَالْمُؤمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন আবদিকা ওয়া রাসুলিকা ওয়া সাল্লি আলাল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত ওয়াল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাত।’
‘এটা তার জন্য জাকাত (সদকা) হিসেবে গণ্য হবে।’ (ইবনে হিব্বান)

মনে রাখতে হবে…

বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ না পড়লে মুমিন বান্দার কোনো আবেদনই কবুল হবে না। দরূদ এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা না পড়লে বান্দার কোনো দোয়াই আল্লাহ তাআলার দরবারে পৌঁছায় না।

হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর বক্তব্যে তা সুস্পষ্ট। তিনি বলেন- ‘যে পর্যন্ত তুমি তোমার নবির উপর দরূদ না পড়বে, ততক্ষণ তোমার দোয়া আসমানে যাবে না। আসমান-জমিনের মাঝে তা ঝুলে থাকবে।’

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত সব সময় প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর বেশি বেশি দরূদ পড়া। বিশেষ করে যে কোনো প্রয়োজনের দোয়ার আগে দরূদ পড়ে নেয়া।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাদের সৌভাগ্যের সব রহমত বরকত মাগফেরাত লাভে বেশি বেশি দরূদ পড়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত দরূদের সব ফজিলত ও মর্যাদা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।


সূত্র: সহিহ সিত্তাহ

কয়েকটি দরুদ শরীফ 

মহান আল্লাহতায়ালা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দরুদ পাঠের তথা আল্লাহর দরবারে তার জন্য দোয়া করার আদেশ করেছেন। নিশ্চয় আল্লাহতায়ালা এবং তার ফেরেশতারা নবীর ওপর রহমত বর্ষণ করেন। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরাও তার ওপর দরুদ শরিফ পাঠ কর এবং যথাযথভাবে সালাম প্রেরণ কর।’ –সূরা আহজাব: ৫২

এই আয়াত দ্বারা স্পষ্ট বোঝা যায় আল্লাহর কাছে দরুদ শরিফের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য কী পরিমাণ এবং এটা যে কত প্রিয় আমল। এই আমল নবীজির ও আল্লাহতায়ালার মাহবুব ও প্রিয়পাত্র হওয়ার বড় সহায়ক। কিছু দরুদ শরিফ উল্লেখ করা হলো:

এক.
হজরত কাব ইবনে উজরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি নবীজিকে জিজ্ঞাসা করলেন- কীভাবে আমরা আপনার ওপর দরুদ পড়ব? তখন নবীজি বললেন, ‘তোমরা এভাবে বল-

দুই.
হজরত আবু মাসউদ আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা এইভাবে দরুদ পড়-

আল্লাহুম্মা সল্লিআলা মুহাম্মাদিউ ওয়ালা আলী মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়ালা আলী মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা ইবরাহিমা ফিল আলামিন ইন্নাকা হামিদুন মাজিদ।

অর্থ: ইয়া আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ ও মুহাম্মদের পরিবারের ওপর রহমত নাজিল করুন, যেমনিভাবে ইবরাহিমের ওপর নাজিল করেছেন এবং পৃথিবীতে মুহাম্মদ ও মুহাম্মদের পরিবার এবং পরিজনের ওপর বরকত নাজিল করুন, যেমনি ইবরাহিমের পরিবারের ওপর বরকত নাজিল করেছেন। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত মহান।’ -সহিহ মুসলিম

তিন.
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, (নবীবে প্রশ্ন করা হলো)‘হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আপনার ওপর কীভাবে দরুদ পড়ব?’ তিনি বললেন, ‘তোমরা বল-

আল্লাহুম্মা সল্লিআলা মুহাম্মাদিন আবদিকা ওয়া রাসূলিকা কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়া বাকির আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা ওয়ালা আলী ইবরাহিমা।

অর্থ: ইয়া আল্লাহ! আপনার রাসূল ও বান্দা মুহাম্মদের ওপর রহমত নাজিল করুন, যেমনিভাবে ইবরাহিমের ওপর নাজিল করেছেন এবং মুহাম্মদের ওপর ও মুহাম্মদের পরিবারের ওপর বরকত নাজিল করুন, যেমনিভাবে বরকত নাজিল করেছেন ইবরাহিমের পরিবারের ওপর।’ –সহিহ বোখারি


নিম্নে কয়েক্টি দরুদ শরিফ দেখে নিন। 

দরুদে ইব্রাহীম

اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى اَلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى اِبْرَ اهِيْمَ وَعَلَى اَلِ اِبْرَ اهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌاَللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى اَلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى اِبْرَ اهِيْمَ وَعَلَى اَلِ اِبْرَاهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌمَّجِيْدٌ

উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা সাল্লিআলা মুহাম্মাদিঁ ওয়া আলা আলি মুম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামিদুম্মাজীদ।আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিঁ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্মাজীদ ।

বৃষ্টির সময় যে দরুদ পড়তে হয়:-

اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَّسَلِّمْ عَلىٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَّ علىٰ اٰلِهٖ سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ بِعَدَدِ قَطْرَاتِ الْأَمْطَارِ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়া সাল্লিম আ’লা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আ’লা আলিহি সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন্ বি আদাদি ক্বাতরাতিল আমতার!

দরুদে মাহী:- 

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ خَيْرِ الْخَلَائِقِ اَفْضَلِ الْبَشَرِ شَفِيْعِ اْلاُمَّةِ يَوْمِ الْحَشَرِ وَالنَّشَرِسَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ بِعَدَدِ كُلِّ مَعْلُوْمِ لَّكَ وَصَلِّ عَليٰ جَمِيْعِ اْلاَنْۭبِيَاءِ وَالْمُرْسَلِيْنَ وَالْمَلۤائِكَةِ الْمُقَرَّبِيْنَ وَعَليٰ عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ وَارْحَمْنَا مَعَهُمْ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ-

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিন খাইরিল খালায়িক্বি আফদ্বালিল বাশারি শাফীয়িল উম্মাতি ইয়াওমাল হশারি ওয়ান্নাশরি সইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিম্ বিআদাদি কুল্লি মা’লুমিল্লাকা ওয়া সাল্লি আ’লা জমীয়িল আম্বিয়ায়ি ওয়াল মুরসালীনা ওয়াল মালায়িকাতিল মুর্ক্বারাবীনা ওয়া আ’লা ইবাদিল্লাহিস্ সালিহীনা ওয়ারহাম্না মাআ’হুম বিরহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীনা।

দরুদে তুনাজ্জিনা

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَعَليٰ اٰلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ صَلوٰةً تُنَجِّيْنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْأَهْوَالِ وَاْلآفَاتِ وَتَقْضِيْ لَنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْحَاجَاتِ وَتُطَهِّرُنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ السَّيِّاٰتِ وَتَرْفَعُنَا بِهَا عِنْدَكَ اَعْليٰ الدَّرَجَاتِ وَتُبَلِّغُنَا بِهَا اَقْصىٰ الْغَايَاتِ مِنْ جَمِيْعِ الْخَيْرَاتِ فِي الْحَيَاتِ وَبَعْدَ الْمَمَاتِ- اِنَّكَ عَليٰ كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٍ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ-

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন ওয়ালা আ-লি সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন সালাতান তুনাজ্জিনা বিহা মিন জামীয়িল আহ্ওয়ালি ওয়াল আফাত, ওয়া ত্বাক্দি লানা মিন জামীয়িল হাজাত। ওয়া তুতাহ্হিনরুনা বিহা মিন জামীয়িস্ সাইয়্যিআত। ওয়া তারফউনা বিহা ইন্দাকা আ’লাদ্দারাজাত। ওয়া তুবাল্লিগুনা বিহা আকসাল গায়াত মিন জামীয়িল খাইরাত ফিল হয়াতি ওয়া বা’দাল মামাত। ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর; বিরহমাতিকা ইয়া আরহার্মা রহিমীন।

দরুদে তাজ

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَاحِبِ التَّاجِ وَالْمِعْرَاجِ وَالْبُرَاقِ وَالْعَلَمِ دَافِعِ الْبَلَاءِ وَالْوَبَاءِ وَالْقَحَطِ وَالْمَرَضِ وَالاَلَمِ اِسْمُهُ مَكْتُوْبٌ مَرْفُوْعٌ مَشْفُوْعٌ مَنْقُوْشٌ فِي اللَّوْحِ وَالْقَلَمِ سَيِّدِ الْعَرَبِ وَالْعَجَمِ جِسْمُهُ مُقَدَّسٌ مُعَطَّرٌ مُطَهَّرٌ مُنَوَّرٌ فِي الْبَيْتِ وَالْحَرَمِ شَمْسِ الضُّحىٰ بَدْرِ الدَّجىٰ صَدْرِ الْعُلىٰ نُوْرِ الْهُدٰى كَهْفِ الْوَرٰى مِصْبَاحِ الظُّلَمِ جَمِيْلِ الشِّيَمِ شَفِيْعِ الْاُمَمِ صَاحِبِ الْجُوْدِ وَالْكَرَمِ وَاللهُ عَاصِمُهُ وَجِبْرِيْلُ خَادِمُهُ وَالْبُرَاقُ مَرْكَبُهُ وَالْمِعْرَاجُ سَفَرُهُ وَسِدْرَةُ الْمُنْتَهٰى مَقَامُهُ وَقَابَ قَوْسَيْنِ مَطْلُوْبُهُ وَالْمَطْلُوْبُ مَقْصُوْدُهُ وَالْمَقْصُوْدُ مَوْجُوْدُهُ سَيِّدِ الْمُرْسَلِيْنَ خَاتَمِ النَّبِيّيْنَ شَفِيْعِ الْمُذْنَبِيْنَ اَنِيْسِ الْغَرِيْبِيْنَ رَحْمَةً لِلْعٰلَمِيْنَ رَاحَةً الْعَاشِقِيْنَ مُرَادِ الْمُشْتَاقِيْنَ شَمْسِ الْعَارِفِيْنَ سِرَاجِ السَّالِكِيْنَ مِصْبَاحِ الْمُقَرَّبِيْنَ مُحِبِّ الْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِيْنَ سَيِّدِ الثَّقْلَيْنِ نَبِيِّ الْحَرَمَيْنِ اِمَامِ الْقِبْلَتَيْنِ وَسِيْلَتِنَا فِي الدَّارَيْنِ صَاحِبِ قَابَ قَوْسَيْنِ مَحْبُوْبِ رَبِّ الْمَشْرِقَيْنِ وَالْمَغْرِبَيْنِ جَدِّ الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ مَوْلَانَا وَمَوْلىٰ الثَّقْلَيْنِ اَبِى الْقَاسِمِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ نُوْرٍ مِنْ نُوْرِ اللهِ يَا اَيُّهَا الْمُشْتَاقُوْنَ بِنُوْرِ جَمَالِهٖ صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيْمًا

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা সায়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন, সাহিবিত্ তাজি ওয়াল মি’রাজি ওয়াল বুরাক্বি ওয়াল আলাম। দা-ফিয়িল বালায়ি, ওয়াল ওবায়ি, ওয়াল ক্বাহাতি, ওয়াল মারাদ্বি, ওয়াল আলাম। ইসমুহু মাক্বতুবুন, মারফুউন, মাশফুউন, মানকূশুন, ফিল-লাওহি ওয়াল ক্বালাম। সায়্যিদিল আরাবি ওয়াল আজম। জিসমুহু মুক্বাদ্দাসুন, মুয়াত্তারুন, মতাহ্হারুন, মুনাও-ওয়ারুন, ফিল বাইতি ওয়াল হারাম। শাসছিদ্দুহা, বদরিদ্দুজা, সাদরিল-উলা, নু-রিল হুদা, কাহফিল ওয়ারা, মিসবাহিয্ যুলাম। জামীলিশ্ শিয়ামি শাফিয়িল উমামি, সা-হিবিল জু-দি ওয়াল কারাম। ওয়াল্লাহু আছিমুহু, ওয়া জিব্রীলু খাদিমুহু, ওয়াল বুরাক্বু মারকাবুহু, ওয়াল মি’রাজু ছাফারুহু, ওয়া সিদরাতুল মুন্তাহা মাক্বামুহু ওয়া ক্বাবা ক্বাওসাইনি, মাতলুবুহু ওয়াল মাতলুবু, মাক্বসুদহু ওয়াল মাক্বসুদু মাওজুদুহু, সায়্যিদিল মুরসালীনা, খা-তামিন নাবিইয়্যীনা, শাফিয়িল মুযনিবীনা, আনীছিল গারীবীনা রহ্মাতাল-লিল আ’লামীনা, রহাতিল আ-শিক্বীনা, মুরাদিল মুশ্তাক্বীনা, শামছিল আ-রিফীনা, সিরাজিছ্ ছা-লিকিনা, মিছবাহিল্ মুর্ক্বারাবীনা, মুহিব্বিল্ ফোক্বারায়ি ওয়াল গোরাবায়ি, ওয়াল মাছাকীনা, সয়্যিদিছ্ ছাক্বলায়নি, নাবিয়্যিল হারামায়নি, ইমামিল ক্বিবলাতাইনি, ওয়াসীলাতিনা ফিদ্দারায়নি, ছাহিবি ক্বা-বা ক্বাওছাইনি, মাহ্বূবি রাব্বিল মাশরিকায়নি ওয়াল মাগরিবাইনি, জাদ্দিল হাসানি ওয়াল হুসাইনি (রাদ্বিআল্লাহু আন্হুমা) মাওলানা ওয়া মাওলাছ্ সাক্বলাইনি, আবিল ক্বাছিম মুহাম্মদ বিন আব্দিল্লাহি নূরিম মিন নূরিল্লাহ। ইয়া আয়য়ূহাল মুশতাকুনা বিনূরি জামালিহী সাল্লু আলায়হি ওয়া সাল্লিামূ তাসলীমা

দরুদে খাইর

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا وَنَبِيِّنَا وَشَفِيْعِنَا وَمَوْلَآنَا مُحَمَّدٍ صَلَّي اللهَ عَلَيْهِ وَعَليٰ اٰلِهٖ وَاَصْحَابِهِ وَاَزْوَاجِهِ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা সইয়্যিদিনা ওয়া নাবিয়্যিনা ওয়া শাফীয়িনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আ’লা আলিহী ওয়া আসহাবিহী ওয়া আযওয়াজিহী ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম।

দরুদে তুনাজ্জিনা

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَعَليٰ اٰلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ صَلوٰةً تُنَجِّيْنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْأَهْوَالِ وَاْلآفَاتِ وَتَقْضِيْ لَنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْحَاجَاتِ وَتُطَهِّرُنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ السَّيِّاٰتِ وَتَرْفَعُنَا بِهَا عِنْدَكَ اَعْليٰ الدَّرَجَاتِ وَتُبَلِّغُنَا بِهَا اَقْصىٰ الْغَايَاتِ مِنْ جَمِيْعِ الْخَيْرَاتِ فِي الْحَيَاتِ وَبَعْدَ الْمَمَاتِ- اِنَّكَ عَليٰ كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٍ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ-

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন ওয়ালা আ-লি সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন সালাতান তুনাজ্জিনা বিহা মিন জামীয়িল আহ্ওয়ালি ওয়াল আফাত, ওয়া ত্বাক্দি লানা মিন জামীয়িল হাজাত। ওয়া তুতাহ্হিনরুনা বিহা মিন জামীয়িস্ সাইয়্যিআত। ওয়া তারফউনা বিহা ইন্দাকা আ’লাদ্দারাজাত। ওয়া তুবাল্লিগুনা বিহা আকসাল গায়াত মিন জামীয়িল খাইরাত ফিল হয়াতি ওয়া বা’দাল মামাত। ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর; বিরহমাতিকা ইয়া আরহার্মা রহিমীন।

দরুদে খাইর

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا وَنَبِيِّنَا وَشَفِيْعِنَا وَمَوْلَآنَا مُحَمَّدٍ صَلَّي اللهَ عَلَيْهِ وَعَليٰ اٰلِهٖ وَاَصْحَابِهِ وَاَزْوَاجِهِ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা সইয়্যিদিনা ওয়া নাবিয়্যিনা ওয়া শাফীয়িনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আ’লা আলিহী ওয়া আসহাবিহী ওয়া আযওয়াজিহী ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম।

দরুদ শরীফ পড়ার উত্তম সময় সমূহ

  • ১) নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহ্হুদ পাঠ করার পর।
  • ২) জানাযার নামাযে ২য় তাকবীর বলার পর।
  • ৩) জুম’আর দিবসে।
  • ৪) মুয়াজ্জিনের আযান শোনার পর।
  • ৫) মসজিদে প্রবেশের পূর্বে এবং তা হতে বের হওয়ার পূর্বে।
  • ৬) সাফা ও মারওয়া সা’য়ী করার সময়।
  • ৭) কোন মজলিস থেকে পৃথক হওয়ার পূর্বে।
  • ৮) সকাল-সন্ধা।
  • ৯) পাঠ শুরু করার পূর্বে এবং শেষ করার পূর্বে।
  • ১০) দু’আ বা মুনাজাত করার সময়।


আমাদের সঙ্গেই থাকুন। 

সুন্দর সুন্দর ইসলামী আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।



No comments:

Post a Comment